durgha puja bangladesh 23

Featured Artwork : Bipul Hossain

এবার আমি দুর্গা হতে চাই | শারদীয় শুভেচ্ছা

এই ভাবেই দুর্গা প্রধানতম দেবী হিসেবে আবির্ভূত হন বাঙ্গালী হিন্দুদের কাছে। যা আজ বাংলার সর্ববৃহৎ পূজায় রুপান্তরিত হয়েছে।

যে কোন উৎসবের সাথে প্রকৃতি-এ একটা গভির সম্পর্ক রয়েছে। মেঘের ভেলা আর মাঠ জুড়ে কাশফুলের দোল মনে করিয়ে দেয় শরৎ এর আগমন, সাথে শারদীয় দূর্গাপূজা। বঙ্গদেশীয় দুর্গাপূজার ইতিহাস এবং শরৎকাল দুইটিই পরিপূরক উৎসব। সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা

দুর্গাপূজার ইতিহাস অনেক প্রাচিন হলেও এটি ব্যপকতা পেয়েছে গত দেড়শ-দুশ বছর এর ভিতরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্কৃত ভাষায় রচিত রামায়ণে দুর্গা পূজার কোন উল্লেখ ছিল না। ছয়শো বছর আগে কৃত্তিবাস ওঝা যখন রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেন, তখন লোকায়ত গল্পে যেখানে দুর্গার কাহিনী প্রচলিত ছিল, সেটি অন্তর্ভুক্ত করেন তিনি। এরপর যেহেতু বাঙ্গালী বাংলা ভাষায় রামায়ণ পেল, এবং সেখানে দেখল দুর্গার সাহায্যে রামচন্দ্র রাবণকে বধ করতে পারে, তাহলে দেবীর আরাধনা হোক। এই ভাবেই দুর্গা প্রধানতম দেবী হিসেবে আবির্ভূত হন বাঙ্গালী হিন্দুদের কাছে। যা আজ বাংলার সর্ববৃহৎ পূজায় রুপান্তরিত হয়েছে। দিন দিন হয়ে উঠেছে সার্বজনীন থেকে সার্বজনীনতর।


অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ । তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা



সম্রাট আকবরের সময় তাহিরপুরের রাজা কংসনারায়ন রায় প্রথম চালু করেন এ পূজা।

কৃত্তিবাসের রামায়নে আছে, শ্রী রাম চন্দ্র কালিদহ সাগর (বগুড়া) থেকে ১০১ টি নীল পদ্ম সংগ্রহ করে সাগর কূলে বসে বসন্তকালে সীতা উদ্ধারের জন্য সর্বপ্রথম শক্তি তথা দুর্গোৎসবের আয়োজন করেছিলেন। আবার কালিকা পুরাণ ও বৃহদ্ধর্ম পুরাণ মতে, শ্রীরাম ও রাবণের তুমুল যুদ্ধের সময় এই শরতেই দেবী দুর্গাকে আরাধনা করা হয়। শারদীয়া দুর্গাপুজকে অকালবোধ বলা হয়।

প্রথা অনুযায়ী, প্রতি বছর দুর্গার আগমন ও গমন হয় আলাদা আলাদা বাহনে চড়ে। মা দুর্গা এ বছর হাতিতে চড়ে আসবেন অর্থাৎ তাঁর আগমন গজে, গমন করবেন ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায়। ঘোটকের অর্থ ছত্রভঙ্গ। ঘোটক বা ঘোড়ার অর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির এলোমেলো অবস্থা। যুদ্ধ- বিগ্রহ, অশান্তি, বিপ্লব ইত্যাদির সংকেত। 

তবুও দেবী দুর্গাকে আরাধনার মাধ্যমে শান্তির প্রথনা করতে হবে। নিজেকে খুজতে হবে দেবীর শক্তিতে। ” এবার আমি দুর্গা হতে চাই “। মা দুর্গার শক্তিতে নিজস্ব সৌন্দর্য আর ব্যাক্তিত্ব দিয়ে অশুভ শক্তি দূর করতে হবে।

to be a star

মহালয়া থেকে বিসর্জন পর্যন্ত
নিজেকে সাজিয়ে তুলবেন কিভাবে ?
.

এই ঋতুতে হুটহাট করে বর্ষার আগমন সাথে গরম আমেজ মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করা উচিৎ। দিনের বেলা কিংবা সন্ধ্যা বা রাত পোশাক নির্বাচনে এবং সাজসজ্জা থাকতে পারে  ভিন্নতা।

মহালয়া

মহালয়া থেকেই নিজেক গুছিয়ে নিন, প্রভাতে হালকা নীল রঙ এ কামিজ সাথে সাদা দোপাট্টা ছুয়ে যাবে শরতের নীল আকাশের শুভ্রতা। নিয়ে নিতে পারেন হালকা মেকাপ, চোখের পাতায় একটু স্মোকি শেড আপনাকে করে তুলবে আরও প্রানবন্ত।

আবার-ও বলছি নিজেকে ফ্যাশনেবল করে তুলতে হলে পোশাকের সাথে সাথে চাই পরিমিত সাজসজ্বা। যা আপনাকে করে তুলবে সবার থেকে আলাদা ।

মায়ের অঞ্জলি

মায়ের অঞ্জলি-তে শাড়ি প্রাধান্য পেলেও নিজেকে আলাদা করতে পরে ফেলুন সাদা সালোয়ার কামিজ সাথে সিদুর লাল দোপাট্টা , দোপাট্টার চারপাশে ভারি গোল্ডেন জড়ি পাড়। চুল টা কে বেনি করে ফেলুন, গুজে দিন একটা ফুল। হাতে থাকুক কাচের রেশমি চুড়ি। কপালে একটা লাল টিপ কি পরবেন? থাক না একটা ছোট টিপ  . . .

নবমীতে

মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে বেড়ানো, বন্ধু-বান্দব দের সাথে ঘুরে বেড়ানো পাট চুকিয়ে ফেলতে পারেন নবমীতে। সকালে পড়ে ফেলুন ফ্লোরাল প্রিন্ট এর সালোয়ার সাথে লাইট কালার এ কামিজ, লং কিংবা সেমি শর্ট । নিজেকে পরিপাটি করে নিন হালকা মেকাপ দিয়ে। কানে ঝুলিয়ে নিন একটা ঝুমকা। বেশ লাগবে আপনাকে।

রাতের আয়োজনে নিয়ে আসুন উৎসবের পরিপূর্ণতা। নিজেকে সাজিয়ে নিন পরিপূর্ণ ভাবে। হোক না চমকালো রঙিন। নবমী রাতের জন্যে হয়ে যান স্টার

আপনাকে স্টার করে তুলতে ফ্যাশন হাউজ গুলো তৈরী। হাতে সময় কম। প্লান করে চটজলদি বেড়িয়ে পরুন শপিং করতে। “ আড়ং, রঙ, অঞ্জন , কে-ক্রাফট, নিত্যউপহার, দেশাল, অরন্যর মত আরও দেশীয় ফ্যাশন হাউজ গুলো আপনার অপেক্ষায়।

durgha puja bangladesh 23

এবার আমি দুর্গা হতে চাই

সব শেষে একটা কথা মনে রাখা দরকার ব্যাকরণ মেনে যে পোশাকই পরুন না কেন, থাকা চাই স্বচ্ছন্দ আর কনফিডেন্স লেবেল ১০০/১০০। ব্যাস 

Puja collection of Bangladesh fashion Houses

বিভিন্ন বছরে দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোর
পূজা কালেকশন

Durga puja পূজা x bfa x fxyz web

আরও পড়ুন

ফ্যাশনে দূর্গা পূজা: ঐতিহ্যের সঙ্গে সৃজনশীলতার উৎসব

বঙ্গদেশীয় দুর্গা পূজার ইতিহাস এবং শরৎকাল দুইটিই পরিপূরক উৎসব। সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা

বিসর্জনের বাজনা বাজে

আরও পড়ুন

বিসর্জনের বাজনা বাজে

Durga puja 2024

২০২৪ সালের দুর্গা পুজোর
সময়ক্ষন
.

মহালয়া- ৭ অক্টোবর, ২০২৪

দেবীপক্ষের প্রতিপদ তিথি ৮ অক্টোবর, ২০২৪

মহাষষ্ঠী পালিত হবে ৯ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার।

মহাসপ্তমী পালিত হবে ১০ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

মহাষ্টমী পালিত হবে ১১ অক্টোবর ২০২৪ শুক্রবার।

মহানবমী পালিত হবে ১২ অক্টোবর ২০২৪ শনিবার।

বিজয়া দশমী পালিত হবে ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার।




এই বছর মহাসপ্তমী বৃহস্পতিবার দেবীর আগমন হবে দোলা বা পালকিতে। শাস্ত্র অনুসারে দোলা বা পালকিতে দেবীর আগমন হলে দেখা দেয় ভয়ঙ্কর মহামারী, যাতে বিপুল প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। আবার ২০২৪-এ বিজয়া দশমী -তে দেবী ফিরে যাবেন গজ বা হাতিতে। গজ হল দেবীর উৎকৃষ্টতম বাহন, দেবীর আগমন বা গমন হাতিতে হলে মর্ত্যলোক ভরে ওঠে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে, ভক্তদের মনের ইচ্ছে পূরণ হয়।




এই দিনে দেবী দুর্গার সবচেয়ে ভয়ানক রূপ অর্থাৎ কালরাত্রি রূপের পূজা করা হয়। এর ফলে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন দেবী দুর্গা। .

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার তৃতীয় দিনে উদযাপিত হবে মহাঅষ্টমী। অষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা।

এটি মা দুর্গার কুমারী রূপকে প্রতীকীভাবে সম্মান জানাতে পালিত হয়। কুমারী পূজার মাধ্যমে নারীত্বের মহিমা ও শক্তিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়, বিশেষ করে দুর্গার ঐশ্বরিক শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

মহাঅষ্টমীতে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেবী দুর্গার পূজা করা হয়, যিনি অসুর মহিষাসুরকে বধ করে পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন। এই দিনে সকালে পূজা ও অঞ্জলি দেওয়া হয়, এবং সন্ধ্যায় সন্ধিপূজার মাধ্যমে অষ্টমী ও নবমীর মিলনকেও উদযাপন করা হয়।

symbol of goddess durga

দুর্গার কোন বাহন
কিসের প্রতীক

প্রথা অনুযায়ী, প্রতি বছর দুর্গার আগমন ও গমন হয় আলাদা আলাদা বাহনে চড়ে। আলাদা আলাদা বাহনের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক বহন করে। কোন বাহন কিসের প্রতীক জেনে নেয়া যাক।

দোলা:
দোলা অর্থাৎ পালকি হল মহামারী বা মরকের প্রতীক। 


নৌকা:
নৌকা বন্যার প্রতীক। আবার অনেকে মনে করেন, নৌকায় দেবী দুর্গার আগমন হলে চারিদিকে ভাল ফসল হয় ।

ঘোটক:
ঘোটকের অর্থ ছত্রভঙ্গ। ঘোটক বা ঘোড়ার অর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির এলোমেলো অবস্থা। যুদ্ধ- বিগ্রহ, অশান্তি, বিপ্লব ইত্যাদির সংকেত।

গজ:
গজ বা হাতি হল শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। গজে আগমন বা গমন হলে বসুন্ধরা শস্য শ্যামলা হয়। 

symbol of goddess

এ বছর অন্যান্য
পূজা
.

এই বছর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো পালিত হবে আগামী ১৭ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার।
কালীপুজো আগামী ৩১ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার।
ভাইফোঁটা বা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পড়েছে আগামী ৩ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার।


keep in touch


আরও পড়ুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

আপনার একটি শেয়ার আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!
Skip to content