Bangladesh is a land of hospitality all district

সমৃদ্ধময় বাংলাদেশের ৬৪ জেলা | বরিশাল বিভাগ

বরিশালকে বাংলার ভেনিস বলা হয়। এই ব্রান্ডিংয়ের মানে হচ্ছে দেশের সমৃদ্ধময় দিকগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।

বাংলাদেশ ইতিহাস ঐতিহ্যর দেশ। এদিক থেকে বেশ সমৃদ্ধশালী। দেশের বিভিন্ন জেলার নিজস্ব সংস্কৃতি, রয়েছে বিখ্যাত কিছু পন্য যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। রয়েছে নিজস্ব কিছু খাবার, রয়েছে ঐতিহাসিক স্থান সমূহ যা সুবিশাল ভান্ডারে সমৃদ্ধ আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের ৮টি বিভাগের মধ্যে মোট ৬৪টি জেলা রয়েছে এবং প্রত্যেকটি জেলা কোন না কোন কারণে বিখ্যাত। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার সেরা খাবার, পন্য বা ঐতিহাসিকস্থান সমুহে নিয়ে, পুরো লেখা আট পর্বে ভাগ করা আছে। “ আমার জেলার ব্রান্ডিং “ এই অধ্যায় থাকবে বরিশাল বিভাগ এর জেলাগুলো কী কারনে বিখ্যাত।

প্রতিটি পর্যায়ে

আমাদের জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত এমন কিছু কিছু ঐতিহ্যবাহী স্থান আছে যেখানে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটকের আনাগোনা যেনো মুখর থাকে, সেই ভাবে ব্রান্ডিং করতে হবে। কথা হচ্ছে নিদৃষ্ট কিছু স্থান নয়, আমাদের এগিয়ে আসতে হবে প্রতিটি পর্যায়ে- আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার, ঐতিহ্যবাহী স্থান, আমাদের সংস্কৃতি এবং আমাদের আলোকিত পূর্ব পুরুষ, যাদের আত্নত্যাগে আমরা আলোকিত।

দেশের ব্র্যান্ডিং

বিশ্বায়নের এই যুগে দেশের খ্যাতি ও সুনামকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য এখন জোরেসোরে দেশকে ব্রান্ডিং করতে হবে নিজ নিজ উদ্যগে। এই ব্রান্ডিংয়ের মানে হচ্ছে দেশের সমৃদ্ধময় দিকগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। ব্রান্ডিংয়ের সুফল হচ্ছে, দেশের ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং খাড়া করতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে দেশের জনশক্তি, পর্যটন, দেশে তৈরি পণ্য, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সেবাও মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে এবং গ্রহণযোগ্যতা পাবে। এই ব্রান্ডিং ইমেজ দেখেই মানুষ ঠিক করে কোন শহরে বেড়াতে যাবে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই ব্রান্ডিংকে গুরুত্ব দিচ্ছে । যেমন মালয়েশিয়া “ট্রুলি এশিয়া | Truly Asia ”, ভারত ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া | Incredible India’, চীন সারা বিশ্বের ‘কারখানা’ এবং শ্রীলঙ্কা ‘রিফ্রেশিংলি শ্রীলঙ্কা | Refreshing SriLanka ’ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া থাইল্যান্ড নিজেকে তুলে ধরছে ‘অ্যামেজিং থাইল্যান্ড | amazing thailand ’ নামে। আর আমাদের !

বাংলাদেশ এ ল্যান্ড অফ হসপিটালিটি। Bangladesh a Land of Hospitality

ঝালকাঠি
পটুয়াখালী
পিরোজপুর
বরগুনা
বরিশাল
ভোলা

BARISHAL

বরিশাল
.

বরিশাল জেলা, যা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত, তার ইতিহাস, প্রকৃতি এবং সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। ১৭৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ জেলা ১৭৯৬ সাল পর্যন্ত “বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ” নামে পরিচিত ছিল। বরিশালের নামকরণ নিয়ে নানা মতভেদ আছে। কেউ বলেন, বড় বড় শাল গাছ থাকার কারণে ‘বড়+শাল’ থেকে বরিশাল নাম এসেছে। অন্যদিকে, পর্তুগীজ বণিকদের প্রেমকাহিনী ‘বেরী ও শেলী’র সাথে বরিশালের নামকরণ যুক্ত। আবার অনেকের মতে, এখানে নবাবদের বড় লবণের চৌকি ছিল, এবং লবণের দানা বড় হওয়ায় পর্তুগীজ বণিকরা এ অঞ্চলকে “বরিসল্ট” বলতো, যা পরে “বরিশাল” নাম ধারণ করে।

প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বরিশালকে বাংলার ‘ভেনিস’ বলা হয়, কারণ এর অসংখ্য নদী, খাল এবং জলপথ এই অঞ্চলকে জালের মতো পরিবেষ্টিত করে রেখেছে। বরিশাল জেলার মাটি এবং আবহাওয়া আমড়া চাষের জন্য উপযোগী, ফলে এই অঞ্চলে আমড়ার চাষ ব্যাপকভাবে হয়, যা বরিশালকে ‘আমড়ার জন্য বিখ্যাত’ করেছে। বরিশালের আরেকটি উল্লেখযোগ্য পণ্য হলো গুঠিয়ার সন্দেশ, যা এ জেলার অন্যতম পরিচিত মিষ্টি এবং এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবেও বিবেচিত হয়।

রিশালের ধান, নদী এবং খাল অঞ্চলের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে প্রতিফলিত করে, যা একে অনন্য করে তুলেছে।


Bangladesh is a land of hospitality BARISHAL land of river x bfa

শাপলা বিল
ভাসমান পেয়ারা বাজার
জীবনানন্দ দাশ এর বাড়ি(ধানসিঁড়ি)
এবাদুল্লাহ মসজিদ
অশ্বিনী কুমার টাউন হল
দুর্গাসাগর দিঘী
গুঠিয়া মসজিদ
গজনী দীঘি
বিবির পুকুর
ব্রজমোহন কলেজ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
সংগ্রাম কেল্লা
মাধবপাশা জমিদার বাড়ি
কলসকাঠী জমিদার বাড়ি
শরিফলের দুর্গ
মুকুন্দ দাসের কালিবাড়ী
কবি বিজয়গুপ্তর মনসামঙ্গল কাব্যে উল্লেখিত মনসা মন্দির
পাক্কা বাড়ি দূর্গ মেহেন্দিগঞ্জ
লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

JHALOKATI

ঝালকাঠি
.

কবি জীবনানন্দ দাশ এর বিখ্যাত কবিতা,
আবার আসিব ফিরে

আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে – এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় – হয়তো বা শঙখচিল শালিকের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিঁকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।


ঝালকাঠি জেলা কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, বিশেষ করে তার বিখ্যাত কবিতা “আবার আসিব ফিরে” যেখানে তিনি ধানসিঁড়ি নদীর উল্লেখ করেন। এই নদীটি ঝালকাঠি জেলায় অবস্থিত, যা জীবনানন্দের কবিতায় বারবার ফিরে আসে এবং তার নস্টালজিক অনুভূতিকে তুলে ধরে। কবিতায় জীবনানন্দ প্রকৃতির সঙ্গে তার আত্মিক সংযোগ প্রকাশ করেন এবং বাংলার মাটিতে, বিশেষ করে ধানসিঁড়ির তীরে, ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। এটি ঝালকাঠি জেলার প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত এক অসাধারণ সাংস্কৃতিক সংযোগ।

ঝালকাঠি জেলা শুধু ধানসিঁড়ি নদীর জন্যই নয়, এর শিল্প ও ঐতিহ্যের জন্যও বিখ্যাত। ঝালকাঠির লবণ শিল্পের ঐতিহ্য স্বাধীনতার পর থেকেই বিকশিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের লবণাক্ত জল থেকে উৎপন্ন অপরিশোধিত লবণ এখানে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়, যা ঝালকাঠির লবণ শিল্পকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কালের বিবর্তনে ঝালকাঠির লবণ শিল্প এখনও তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।

জেলার আরেকটি বিখ্যাত পণ্য হলো ঝালকাঠির গামছা, যা বিশেষভাবে পরিচিত “গনি মিয়ার গামছা” নামে। এই ঐতিহ্যবাহী তাঁতের গামছা শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও সমাদৃত। চল্লিশ বছর আগে শুরু হওয়া এই গামছা শিল্প এখনও সমান জনপ্রিয় এবং এটি ঝালকাঠির ব্র্যান্ডিংয়ের অন্যতম প্রধান পণ্য। ঝালকাঠির গামছা এবং শীতলপাটি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশী মেহমানদের দেশীয় সুভেনিয়র হিসেবে উপহার দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে, যা জেলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে কাজ করে।

এইভাবে ঝালকাঠি জেলা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শিল্প ও ঐতিহ্যের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ব্র্যান্ডিং তৈরি করেছে, যা তার পরিচিতি আরও বিস্তৃত করে তুলেছে।

Bangladesh is a land of hospitality BARISHAL land of river x bfa

রাজাপুর সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি
কবি জীবনানন্দ দাশ এর মামা বাড়ি
কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি
গাবখান সেতু
ধানসিঁড়ি নদী
রূপসা খাল
গালুয়া পাকা মসজিদ
নেছারাবাদ কমপেস্নক্স
পোনাবালিয়া  মন্দির
সিদ্ধকাঠী জমিদার বাড়ি
নলছিটি পৌর ভবন
চায়না কবর
যামিনী সেনের বাড়ী।

BHOLA

ভোলা
.

ভোলা জেলা, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দ্বীপ জেলা, তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এবং “কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ” খেতাবে ভূষিত। ভোলার পূর্ব নাম ছিল “দক্ষিণ শাহবাজপুর,” কিন্তু বর্তমানে এটি তার অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য আরও বেশি পরিচিত। এই জেলার মধ্যে মনপুরা দ্বীপ একটি বিশেষ আকর্ষণ, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবুজ ভূমি, এবং হরিণের অভয়ারণ্য পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। মনপুরার তিন দিকে মেঘনা নদী এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বিশাল বিস্তৃতি দ্বীপটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অনন্য দৃশ্য এখানে বিশেষভাবে মনোমুগ্ধকর।

ভোলা জেলার আরেকটি গর্বের বিষয় হলো মহিষের দুধের দই। এটি ভোলার অন্যতম প্রধান ব্র্যান্ডিং পণ্য হিসেবে পরিচিত, এবং এই দইয়ের জন্য ভোলা জেলা সারাদেশে প্রসিদ্ধ। এর সুস্বাদু স্বাদ এবং অনন্য পুষ্টিগুণ ভোলার স্থানীয় খাদ্যসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।

ভোলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যবাহী পণ্য একত্রিতভাবে জেলাটিকে একটি বিশেষ পর্যটন এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে, যা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

Bangladesh is a land of hospitality BARISHAL land of river x bfa

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি যাদুঘর
তারুয়া সমূদ্র সৈকত
মনপুরা দ্বীপ
চর কুকরি মুকরি
ঢাল চর
নিজাম হাসিনা ফাউন্ডেশন মসজিদ
তুলাতলী পর্যটন কেন্দ্র (ভোলা সদর)
ভোলা শিশু পার্ক
স্বাধীনতা জাদুঘর
ফাতেমা খানম মসজিদ
সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক
শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র
বোরহানউদ্দিন জমিদার বাড়ি
জ্যাকব ওয়াচ টাওয়ার
চরফ্যাশন
শেখ রাসেল বিনোদন কেন্দ্র ও শিশু পার্ক
খামার বাড়ি -নজরুল নগর

PATUAKHALI

পটুয়াখালী
.

পটুয়াখালি জেলার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, যা “সমুদ্র কন্যা” হিসেবে খ্যাত, এই জেলার ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য অন্যতম আকর্ষণ। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকত উপমহাদেশের একমাত্র স্থান যেখানে পর্যটকরা একসঙ্গে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। কুয়াকাটার এই অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটককে আকর্ষণ করে, যা পটুয়াখালিকে একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

কুয়াকাটা শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই নয়, এর আশেপাশের অঞ্চলগুলির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং ঐতিহ্যের জন্যও বিখ্যাত। এখানকার আদিবাসী রাখাইন জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, খাবার, এবং তাদের উৎসব পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া সৈকতের কাছেই রয়েছে জাউতলা, যেখানে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য রয়েছে, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক অতুলনীয় অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে।

সৌন্দর্য এবং অনন্যতা মিলিয়ে কুয়াকাটা সৈকত পটুয়াখালি জেলার ব্র্যান্ডিংয়ের প্রধান সম্পদ হিসেবে কাজ করছে, যা পর্যটন শিল্পে বিশাল অবদান রাখতে সক্ষম।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির
ফাতরার চর
সোনারচর
কাজলার চর
জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত
পায়রা বন্দর
কানাই বলাই দিঘী
পানি জাদুঘর
শৌলা পার্ক
কনকদিয়া পালপাড়া মৃৎশিল্প
মদনপুরার মৃৎশিল্প
মজিদবাড়িয়া মসজিদ
মনিপাড়া মৎস খামার
হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার
কালাইয়া প্রাচীন বন্দর
মহেন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি
শ্রীরামপুর জমিদার বাড়ি
চন্দ্রদ্বীপের রাজকন্যা কমলারানীর দিঘি
সীমা বৌদ্ধ বিহার
তমিরুদ্দিন আউলিয়ার মাজার – কালাইয়া
কানাই বলাই দিঘী
তুফানিয়ার চর
ঘসেটি বিবির মসজিদ

কুয়াকাটা KUAKATA

KUAKATA

কুয়াকাটা

বাংলাদেশের সাগর কন্যা নামে পরিচিত

BARGUNA

বরগুনা
.

বরগুনা জেলা, বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের জেলা, তার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে অবস্থিত এই জেলা প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ এবং পর্যটকদের জন্য একটি মনোমুগ্ধকর গন্তব্য। বরগুনার বেলাভূমি এবং বনভূমির নৈসর্গিক শোভা, বিশেষত উপকূলীয় অঞ্চলের সৌন্দর্য, পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সমুদ্রের ধারের শান্ত পরিবেশ এবং বিস্তৃত বনাঞ্চল এই অঞ্চলকে প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য বানিয়েছে।

বরগুনা জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে বিসকি (বা বিস্কি) একটি উল্লেখযোগ্য নাম। বরিশাল আঞ্চলের বিশেষ এই আঞ্চলিক খাবারটি বরগুনার নিজস্ব পরিচয় বহন করে। এটি বরগুনার খাদ্যসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং জাতীয় পর্যায়ে জেলার ব্র্যান্ডিং করার জন্য যথেষ্ট। বরগুনার বিসকি বা বিস্কি খাবারটি তার স্বাদ এবং উপাদানের কারণে মানুষের মাঝে জনপ্রিয় হয়েছে এবং স্থানীয় ঐতিহ্য হিসেবে টিকে আছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের সম্মিলনে বরগুনা জেলা তার নিজস্ব পরিচিতি তৈরি করেছে, যা পর্যটন এবং অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

বেতাগীর বিবি চিনি মসজিদ
পাথরঘাটার হড়িনঘাটার লালদিয়া সমুদ্র সৈকত
সোনাকাটার সমুদ্র সৈকত
সোনাকাটা ইকোপার্ক
তালতলীর বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ একাডেমি
বিহঙ্গ দিপ বা ধানসিঁড়ি চর
শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত
ফাতরার বন

PIROJPUR

পিরোজপুর
.

পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার অন্তর্গত স্বরূপকাঠির ভাসমান পেয়ারার বাজার পর্যটকদের জন্য অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের এই অনন্য বাজারটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যের মিলিত অভিজ্ঞতা প্রদান করে। ভাসমান এই বাজারটি একটি জীবন্ত দৃশ্যের মতো যেখানে নৌকায় পেয়ারা বিক্রি হয়, আর তার চারপাশে আঁকাবাঁকা খাল ও সবুজাভ প্রকৃতি পর্যটকদের মোহিত করে রাখে। অনেকে এই ভাসমান বাজারটির তুলনা থাইল্যান্ডের ফ্লোটিং মার্কেটের সাথে করে থাকেন, যা এটিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

পেয়ারার মৌসুমে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, প্রতিদিন হাজার হাজার মন পেয়ারা বেচাকেনা হয় এই বাজারে। ভাসমান পেয়ারা বাজারটি পিরোজপুর জেলার বিশেষত্ব এবং এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৃষি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়েছে। খালপথে নৌকায় চড়ে পেয়ারা বেচাকেনার এই দৃশ্য ভ্রমণকারীদের জন্য এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়, যা তাদের মনে স্বর্গীয় অনুভূতি তৈরি করে।

পিরোজপুর জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যবাহী এই ভাসমান বাজারের মিলিত আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা এনে দেয়, যা এই অঞ্চলের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য অপরিহার্য একটি সম্পদ।

রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি
পিরোজপুর প্রচীন মসজিদ
আটঘর আমড়া বাগান
মাঝের চর
পারের হাট জমিদার বাড়ি
মঠবাড়িয়া সালেজা কুঠিবাড়ি-মমিন মসজিদ
বলেশ্বর ঘাট
প্রণব মঠ সেবাশ্রম
শেরে বাংলা পাবলিক লাইব্রেরী
ডিসি পার্ক পিরোজপুর
হুলারহাট নদীবন্দন
সাড়েংকাঠি পিকনি ষ্পট

Why are the districts of Barisal famous?

বরিশাল বিভাগের জেলাগুলো কী কারনে বিখ্যাত?



content writer

September 27, 2024

বৈশ্বিক পর্যটনে বাংলাদেশ: ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেওয়া

fayze hassan
আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ইতিহাস, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মানুষের আতিথেয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে একটি বিশেষ পর্যটন ইমেজ…
September 27, 2024

https://www.pinterest.co.uk/bdfashionarchive/bangladesh-photography/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

আপনার একটি শেয়ার আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!