চমচমিয়া টাঙ্গাইল: ১ম পর্ব | Tangail
সুপ্রাচীন জমিদারি প্রথার স্বর্গরাজ্য, পোড়াবাড়ির মিষ্টান্ন চমচম, ঐতিহ্যবাহী শাড়ি শিল্প আর ভাওয়ালের লাল মেটে মাটির গড় অঞ্চলের জন্য বিখ্যাত দেশের সমৃদ্ধ এক জেলা ‘ টাঙ্গাইল ‘।
সুপ্রাচীন জমিদারি প্রথার স্বর্গরাজ্য, পোড়াবাড়ির মিষ্টান্ন চমচম, ঐতিহ্যবাহী শাড়ি শিল্প আর ভাওয়ালের লাল মেটে মাটির গড় অঞ্চলের জন্য বিখ্যাত দেশের সমৃদ্ধ এক জেলা ‘ টাঙ্গাইল ‘।
দুচোখের সামনে ভেসে উঠবে পাহাড় থেকে ধোঁয়ার মতো ঘন কুয়াশা ভেসে উঠার অপূর্ব দৃশ্য। এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে একসময় জলপ্রপাতের কাছাকাছি চলে যাই আর গিরিপথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ের পাদদেশ ধরে কিছু দূর গেলেই শুনতে পাই হামহাম জলপ্রপাতের শব্দ।
প্রাচীন লিপিতে বিহারের নাম ‘সোমপুর মহাবিহার’ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও শুধু স্থান নাম বিবেচনায় পাহাড়পুর বিহার নামকরণ করা হয়েছে, যা মোটেও যৌক্তিক নয়।
এখন তো পকেটের বিশ টাকার কাগজী নোটেও ষাট গম্বুজ মসজিদ -এর ছবির মুদ্রণ দেখতে পাই….! কতটা সম্মানজনক এই স্থাপনা, ভাবা যায়!
‘মঠ’ বলতে এমন একটি অবকাঠামোকে বুঝায় যেখানে কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গ ধর্মীয় কারণে অবস্থান করেন এবং ধর্মীয় গুরুগণ উপদেশ ও শিক্ষা প্রদান করেন। কিন্তু বেশীরভাগ মঠ ই সমাধি সৌধ।
একসময় দেশের ৫০ টাকার নোট ও ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিটে দেখা মিলতো পাঁচশো বছরের প্রাচীন স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার শাহী বাঘা মসজিদ।
চাঁপাইয়ের চাষা ভাই সোনা ফলা মাঠে যাচ্ছেন হালচাষের জন্য। লাঙল দাবাতেই খেয়াল করলেন শক্ত কি যেন একটা ফলার সাথে আঘাত লাগলো। হাতে নিয়ে চক্ষু চড়কগাছ! সে কি!
‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে….’ মন্ত্রদীক্ষিত হয়ে একাই বেরিয়ে পড়লাম। শীতের সকালের হালকা সোনা রোদ গায়ে মাখিয়ে দূর্গাপুর বাজারে সকালে এ জেলার ব্র্যান্ডিং মিষ্টান্ন ‘বালিশ মিষ্টি’র স্বাদ নিয়ে চলে এলাম তেরীঘাট বাজার।
সাড়ে চারশ বছরের ঐতিহ্য ও স্মৃতি ধারণ করা ‘কুসুম্বা মসজিদ’ ২০১১ সালের ৯ আগস্ট বাংলাদেশের বর্তমান ৫ টাকা মূল্যমানের কাগজী নোটের পেছনে এই মসজিদটির ছবি মূদ্রণ করা হয় ।