বাংলাদেশের লোকশিল্প ও কারুশিল্প: এক নজরে
এক নজরে দেখে নিই — বাংলাদেশের লোকশিল্প ও কারুশিল্পের এই রঙিন মানচিত্রে ঠিক কীভাবে জেগে আছে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, আর জীবনের সৌন্দর্য।
বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হস্তশিল্প। মাটি, কাঠ, পাট, বাঁশ, বেত, কাপড় ও ধাতব সামগ্রী দিয়ে তৈরি এই হস্তশিল্প আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে নিজস্ব ঢঙে তৈরি হয় নানান কারুশিল্প, যা স্থানীয় সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরে। এসব শিল্প শুধু শৈল্পিক সৌন্দর্যের নয়, বরং বহু মানুষের জীবিকার মাধ্যমও।
বাংলাদেশের ক্রাফট বা হস্তশিল্পের ইতিহাস মূলত গ্রামীণ জীবনযাত্রা এবং প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। এখানকার মানুষ তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটাতে হাতে তৈরি পণ্য তৈরি করেছে, যা ধীরে ধীরে লোকজ ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠেছে।
এই সেগমেন্টে বাংলাদেশের ক্রাফট বা হস্তশিল্পের ধারনা দেয়া হলো।
এক নজরে দেখে নিই — বাংলাদেশের লোকশিল্প ও কারুশিল্পের এই রঙিন মানচিত্রে ঠিক কীভাবে জেগে আছে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, আর জীবনের সৌন্দর্য।
মাত্র একটি তার থাকে বলে এই বাদ্যযন্ত্রের নাম হয়েছে ‘একতারা’। হাতের তর্জনী দিয়ে সেই তার টিপে টিপেই বাজানো হয় একতারা। এক হাতে বাঁশের ফালি
পাটশিল্প এখন শুধু অতীতের ঐতিহ্য নয়; বরং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির নতুন ক্যানভাস—যেখানে ঐতিহ্য, উদ্ভাবন আর টেকসই ফ্যাশন মিলে যাচ্ছে একসাথে।
‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ/পাট পণ্যের বাংলাদেশ’ -এ স্লোগানে ২০১৭ সালে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হয় জাতীয় পাট দিবস।
একটি মাত্র রাজশাহী সিল্ক শাড়ি তৈরি করতে প্রায় ৫০০০টি রেশমগুটি প্রয়োজন হয়। সময়মতো গুটির ভেতরের পোকাকে মেরে না ফেললে পূর্ণ পোকা বা প্রজাপতি গুটি কেটে বেরিয়ে আসে, ফলে একটানা দীর্ঘ সুতা নষ্ট হয়ে যায়।
তাঁতটি কোমরের সঙ্গে বাঁধা থাকে বলে একে বলা হয় ‘কোমর তাঁত’। পাহাড়ি নারীরা উবু হয়ে বসে, কোমরে চাপ দিয়ে, হাতে সুতো টেনে টেনে . . .
ঝিনুক শুধু খোলসে নয়, তার ভেতরে লুকিয়ে রাখে ‘মুক্তা’—বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান রত্ন।
‘চাই’ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা গেলেও, বাংলাদেশের চাই তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে আলাদা।
” শিবরাম হেসে বললেন, `বাপ্ তুললেন, বংশ তুললেন, তাতেও হল না শেষে গামছা তুলে অপমান করলেন’?” এই হাসির মধ্যে লুকিয়ে আছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির একটা দ্বন্দ্ব।
হোগলাপাতা সহজে পচনশীল হওয়ায় পরিবেশ দূষণের কোনো আশঙ্কা নেই। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই পরিবেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যখন আলোচনায় তুঙ্গে তখন হোগলা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।