আড়াই হাত থেকে বারো হাত: গামছা -র ফ্যাশন বিবর্তন
” শিবরাম হেসে বললেন, `বাপ্ তুললেন, বংশ তুললেন, তাতেও হল না শেষে গামছা তুলে অপমান করলেন’?” এই হাসির মধ্যে লুকিয়ে আছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির একটা দ্বন্দ্ব।
বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মূল ভিত্তি হলো গ্রাম। গ্রামীণ জীবনের সরলতা, প্রকৃতির সান্নিধ্য, এবং লোকজ ঐতিহ্যের বহুবিধ প্রকাশ আমাদের সংস্কৃতির মৌলিক বৈশিষ্ট্য। গ্রামের মানুষের হাতে গড়া নৈপুণ্য এবং ঐতিহ্যময় হস্ত ও কারুশিল্প শিল্পসম্ভার বাংলাদেশকে করেছে অনন্য ও বৈচিত্র্যময়।
বাংলাদেশের হস্ত ও কারুশিল্পের এই ঐতিহ্যবাহী ভাণ্ডারে রয়েছে তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠ, পিতল ও কাঁসার সামগ্রী, বাঁশ ও বেতের কাজ, এবং পাটশিল্পের মতো অনন্য সৃষ্টিসম্ভার। দেশের প্রতিটি জেলা তার নিজস্ব কারুশিল্প ও ঐতিহ্যের গল্প বলে, যা স্থানভেদে বৈচিত্র্যপূর্ণ ও স্বতন্ত্র।
একটি মানচিত্রের মাধ্যমে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পের বিস্তার বুঝতে গেলে দেখা যায়, প্রতিটি জেলার প্রতিটি কোণই একেকটি সংস্কৃতির খনি। এসব গ্রামীণ হস্তশিল্প শুধু আমাদের ঐতিহ্যের ধারকই নয়, বরং এটি দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার ঐতিহ্যময় হস্ত ও কারুশিল্প মানচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই প্রচেষ্টায় সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা অপরিহার্য। যদি কোথাও তথ্যগত ত্রুটি থেকে থাকে, অনুগ্রহ করে তা সংশোধনে সহায়তা করুন। যেকোনো নতুন তথ্য, সংযোজন বা সংশোধন মানচিত্রটিকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারে। আপনাদের সহযোগিতায় মানচিত্রটি পূর্ণতা লাভ করবে এবং আমাদের ঐতিহ্য আরও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠবে।
” শিবরাম হেসে বললেন, `বাপ্ তুললেন, বংশ তুললেন, তাতেও হল না শেষে গামছা তুলে অপমান করলেন’?” এই হাসির মধ্যে লুকিয়ে আছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির একটা দ্বন্দ্ব।
হোগলাপাতা সহজে পচনশীল হওয়ায় পরিবেশ দূষণের কোনো আশঙ্কা নেই। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই পরিবেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যখন আলোচনায় তুঙ্গে তখন হোগলা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
পরিত্যাক্ত নারিকেলের মালা—যা একসময় বর্জ্য হিসেবে গণ্য হতো, আজ তা কারিগরদের হাতে রূপান্তরিত হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ও নান্দনিক হস্তশিল্পে।
নকশী পিঠা শুধু খাবার নয়, এটি একটি লোকশিল্প। এটি মেয়েলি শিল্প নামেও পরিচিত। বাঙালি নারীদের হাতের এই শিল্পকর্ম আলপনার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
‘হাতপাখা? ওটা তো গ্রামের জিনিস!’—তাও তার বাড়িতে কোথাও একটা নকশি পাখা লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
মণিপুরী তাঁত প্রবাদ আছে—মণিপুরী নারীরা জন্মসূত্রেই তাঁতি। প্রায় ৯০ শতাংশ মণিপুরী নারী তাঁতের সঙ্গে যুক্ত।
“শীতের কাঁথা, বর্ষার ছাতা আর গরমের পাখা”—এই কথা শুনলেই বাঙালির জীবনের সহজাত ও চিরকালীন চিত্রটি সামনে ভেসে ওঠে।
জয়নুল মেলা কিংবা ঢাকা মার্কাস—দুই মেজাজের দুই ইভেন্ট। তবু দু’জায়গাতেই খুঁজে পাওয়া যায় শখের হাঁড়ি।
পাবনার শাড়ি তাঁতশিল্পের ইতিহাস এক কথায় রোমাঞ্চকর। যা পাবনার মানুষের পরিশ্রম, সৃজনশীলতা আর ঐতিহ্যের প্রতীক।
রান্নাঘরের আড়া থেকে ঝুলিয়ে রাখা হতো এই শিকা, যাতে খাবারদাবার আর সংসারের ছোটখাটো জিনিস সযত্নে সংরক্ষণ করা যেত।