আড়াই হাত থেকে বারো হাত: গামছা -র ফ্যাশন বিবর্তন
” শিবরাম হেসে বললেন, `বাপ্ তুললেন, বংশ তুললেন, তাতেও হল না শেষে গামছা তুলে অপমান করলেন’?” এই হাসির মধ্যে লুকিয়ে আছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির একটা দ্বন্দ্ব।
বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হস্তশিল্প। মাটি, কাঠ, পাট, বাঁশ, বেত, কাপড় ও ধাতব সামগ্রী দিয়ে তৈরি এই হস্তশিল্প আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে নিজস্ব ঢঙে তৈরি হয় নানান কারুশিল্প, যা স্থানীয় সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরে। এসব শিল্প শুধু শৈল্পিক সৌন্দর্যের নয়, বরং বহু মানুষের জীবিকার মাধ্যমও।
বাংলাদেশের ক্রাফট বা হস্তশিল্পের ইতিহাস মূলত গ্রামীণ জীবনযাত্রা এবং প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। এখানকার মানুষ তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটাতে হাতে তৈরি পণ্য তৈরি করেছে, যা ধীরে ধীরে লোকজ ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠেছে।
এই সেগমেন্টে বাংলাদেশের ক্রাফট বা হস্তশিল্পের ধারনা দেয়া হলো।
” শিবরাম হেসে বললেন, `বাপ্ তুললেন, বংশ তুললেন, তাতেও হল না শেষে গামছা তুলে অপমান করলেন’?” এই হাসির মধ্যে লুকিয়ে আছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির একটা দ্বন্দ্ব।
হোগলাপাতা সহজে পচনশীল হওয়ায় পরিবেশ দূষণের কোনো আশঙ্কা নেই। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই পরিবেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যখন আলোচনায় তুঙ্গে তখন হোগলা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
পরিত্যাক্ত নারিকেলের মালা—যা একসময় বর্জ্য হিসেবে গণ্য হতো, আজ তা কারিগরদের হাতে রূপান্তরিত হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ও নান্দনিক হস্তশিল্পে।
নকশী পিঠা শুধু খাবার নয়, এটি একটি লোকশিল্প। এটি মেয়েলি শিল্প নামেও পরিচিত। বাঙালি নারীদের হাতের এই শিল্পকর্ম আলপনার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
‘হাতপাখা? ওটা তো গ্রামের জিনিস!’—তাও তার বাড়িতে কোথাও একটা নকশি পাখা লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
মণিপুরী তাঁত প্রবাদ আছে—মণিপুরী নারীরা জন্মসূত্রেই তাঁতি। প্রায় ৯০ শতাংশ মণিপুরী নারী তাঁতের সঙ্গে যুক্ত।
“শীতের কাঁথা, বর্ষার ছাতা আর গরমের পাখা”—এই কথা শুনলেই বাঙালির জীবনের সহজাত ও চিরকালীন চিত্রটি সামনে ভেসে ওঠে।
জয়নুল মেলা কিংবা ঢাকা মার্কাস—দুই মেজাজের দুই ইভেন্ট। তবু দু’জায়গাতেই খুঁজে পাওয়া যায় শখের হাঁড়ি।
পাবনার শাড়ি তাঁতশিল্পের ইতিহাস এক কথায় রোমাঞ্চকর। যা পাবনার মানুষের পরিশ্রম, সৃজনশীলতা আর ঐতিহ্যের প্রতীক।
রান্নাঘরের আড়া থেকে ঝুলিয়ে রাখা হতো এই শিকা, যাতে খাবারদাবার আর সংসারের ছোটখাটো জিনিস সযত্নে সংরক্ষণ করা যেত।