শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন । Zainul Abedin
“এখনতো চারিদিকে রুচির দুর্ভিক্ষ! একটা স্বাধীন দেশে সুচিন্তা আর সুরুচির দুর্ভিক্ষ! এই দুর্ভিক্ষের কোন ছবি হয়না।” এটি বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন -এর বিখ্যাত একটি উক্তি।
বাংলাদেশের শিল্পী রা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক এবং প্রগতির অগ্রদূত। তাদের সৃজনশীলতা শুধু ক্যানভাস বা ভাস্কর্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে। গ্রামীণ লোকশিল্প থেকে আধুনিক বিমূর্ত শিল্পধারা—প্রতিটি ক্ষেত্রে এ দেশের শিল্পীদের অবদান আমাদের জাতীয় পরিচয় গঠনে অপরিসীম। এই সেগমেন্টে আমরা এমন কিছু শিল্পীর কথা জানব, যারা তাদের সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন এবং বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন।
“এখনতো চারিদিকে রুচির দুর্ভিক্ষ! একটা স্বাধীন দেশে সুচিন্তা আর সুরুচির দুর্ভিক্ষ! এই দুর্ভিক্ষের কোন ছবি হয়না।” এটি বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন -এর বিখ্যাত একটি উক্তি।
ক্যানভাসে মটিফগুলো ছিলো প্রাচীন বাঙালি লোকচরিত্র, রাজসিক রাতজাগা প্যাঁচা, টেপা পুতুল, মাটির পুতুল, গাজির পট, বাউল শিল্প, সখের হাড়ি, মাছের লোকজ আদল, জামদানি, ১০ পয়সার মত হারিয়ে যাওয়া অনেক উপাদান এসেছে ক্যানভাসের মটিফ হিসেবে।
তাঁর গড়া ভাস্কর্য টিএসসি এলাকায় ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা, এসএম হলের পাশে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ ভাস্কর্য
যে শিশু সুন্দর ছবি আঁকে, তার গ্রামের ছবি আঁকে, সে সুন্দর ফুলের ছবি আঁকে, তার জীবজন্তুর ছবি আঁকে, গাছপালার ছবি আঁকে, সে কোনোদিন অপরাধ করতে পারে না, সে কোনোদিন কাউকে ব্যথা দিতে পারে না।”
শুধু প্রচ্ছদ অঙ্কন নয়, তিনি কবিতা ও গল্প লিখে থাকেন। ১৯৯০-এর পর থেকে তিনি হুমায়ূন আহমেদের অধিকাংশ গল্প-গ্রন্থের প্রচ্ছদ অঙ্কন করেছেন। ধ্রুব এষ ১৯৮৯ সালে ঢাকা চারুকলায় দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায়
শিল্পী নুরুল ইসলাম বৃত্তের বাইরে বলে নিজেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি নিজেই শিল্পকলার গ্যালারি ভাড়া দিয়ে প্রদর্শনী . . .
পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়, সে নামটি চারুকলা অনুষদের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমদাদ হোসেন এর দেওয়া।
রাজবাড়ির বিজয়নগরে গড়ে তুলেছেন ‘বুনন আর্ট স্পেস’। এদেশে শিল্পকলার জন্য ব্যাক্তিগত পর্যায়ে গড়ে তোলা একমাত্র প্রতিষ্ঠান।
মা রাজিয়া মাহবুব ছিলেন কীর্তিমান লেখক। তিনিই আসলে শিল্পী। মাসুমা খান তাঁর গড়া শিল্পকর্ম। শারীরিক ত্রুটি নিয়েই মেয়েকে শিল্পী হিসেবে গড়েছেন। মাসুমার ভেতরও সেই শক্তিটা ছিল।
তাঁর ক্যানভাসে ওঠে আসে স্থাপত্য কাঠামোর মধ্যে নারী। ঈভ রূপে তিনি নারীকে উপস্থাপন করে চলেছেন সৃষ্টিশীলতা ও শক্তির প্রতীক হিসেবে।