কালের আবর্তে প্রতিনিয়তই পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগছে হালের দেশীয় ফ্যাশনে। প্রাচ্যের সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রাণিত হলেও আবহমান বাংলার চিরাচরিত সংস্কৃতিই প্রাধান্য পেয়েছে দেশীয় ফ্যাশনের প্রধান উপাদান হিসেবে। এই আবহমান বাংলার সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংগ্রহ করে, তা সংকলণ ও সংরক্ষণের প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা “ বাংলাদেশ ফ্যাশন আর্কাইভ ” এর। এতে সংরক্ষিত থাকবে বাংলাদেশের সমসাময়িক ফ্যাশন জগতের খবরাখবর যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য দলিল হিসেবে কাজ করবে।
অন্যের সংস্কৃতি চর্চায় আমরা হারাতে বসেছি আমাদের মৌলিকত্ব। আমরা শেকড় থেকে বিচ্যুতির পথে। এখনই সময় , ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে আমাদের নিজস্বতা। আমাদের সমৃদ্ধময় ঐতিহ্যবাহী শিল্প, লোকজ খেলা, লোকসাহিত্য পরিচয় করিয়ে দিতে হবে পরবর্তী প্রজন্মর সাথে। এগিয়ে আসতে হবে নিজ দায়িদ্ববোধ থেকে। তবেই সমৃদ্ধ হবে আমাদের ঐতিহ্য ।
আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি ছবি এক একটি দলিল হয়ে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। যা আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কে দিক নির্দেশনা দিয়েছে যুগ যুগ ধরে। সাক্ষ্য দিয়েছে আমাদের সমৃদ্ধশালী অতীতের। মুখে মুখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তেমন কিছু তথ্যই একটি ছাতার নিচে নিয়ে আসার নাম “বাংলাদেশ ফ্যাশন আর্কাইভ”।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এর একটি বানী দিয়ে শেষ করছি। শিল্পাচার্য বলেছিলেন,
“ এখনতো চারিদিকে রুচির দুর্ভিক্ষ! একটা স্বাধীন দেশে সুচিন্তা আর সুরুচির দুর্ভিক্ষ! এই দুর্ভিক্ষের কোন ছবি হয়না। ”
আপনিও এগিয়ে আসুন । সমৃদ্ধময় হোক সকেলের প্রচেষ্টায়- আমাদের বাংলাদেশ।
বিশ্বাস আর নির্ভরতায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে ”বাংলাদেশ ফ্যাশন আর্কাইভ”। প্রতিটি তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা থাকবে। একদম ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওয়ান ম্যান আর্মি স্টাইলে কাজগুলো করার চেষ্টা করছি, যদি তথ্যের কোন অসংগতি পাওয়া যায়, তবে শুধরে দেওয়ার অনুরোধ রইল। এটা তো আমাদেরই দেশ তাই না !
আপনার একটি শেয়ার আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা
আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংক