clay art মৃৎশিল্প বাংলাদেশের এক প্রাচীন ঐতিহ্য x bfa x fxyz

কাদা মাটি থেকে শিল্প: মৃৎশিল্প বাংলাদেশের এক প্রাচীন ঐতিহ্য

মৃৎশিল্পের উৎপত্তি সর্বপ্রথম চীনের থাংশান শহরে। এ কারণে থাংশানকে মৃৎশিল্পের শহর বলা হয়। মৃৎশিল্প বাংলাদেশের এক প্রাচীন ঐতিহ্য

clay
art
.

‘মৃৎ’ শব্দটি অর্থে মৃত্তিকা বা মাটি বোঝায়, আর ‘শিল্প’ বলতে বোঝানো হয় সুন্দর ও সৃষ্টিশীল বস্তু। সেই অর্থে, মাটি দিয়ে তৈরি সব শিল্পকর্মকেই মৃৎশিল্প বলা হয়। ইংরেজিতে মৃৎশিল্পকে সাধারণত ‘পটারি’ বা ‘সিরামিক আর্ট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যারা মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করেন তাদেরকে কুম্ভকার বা চলিত বাংলায় কুমার এবং যে কর্মশালাতে তারা এগুলি তৈরি করেন তাকে কুম্ভশালা বা কুমারশালা বলা হয়।

বাংলাদেশের মৃৎশিল্প একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিল্প, যা মাটির তৈরি জিনিসপত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিল্প এবং হাজার বছরের বেশি পুরোনো। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃৎশিল্প একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, যেখানে কুমার সম্প্রদায় এ শিল্পের প্রধান ধারক হিসেবে পরিচিত।

মৃৎশিল্পের ইতিহাস মূলত গ্রামীণ জীবনের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত, কারণ একসময় এটি গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরির প্রধান উৎস ছিল। তবে আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশ এবং প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম, ও স্টিলের পণ্যের ব্যবহার বাড়ায় মৃৎশিল্পের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে কমে এসেছে।

ফলে অনেক কুমার পরিবার তাদের পৈতৃক পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। তবুও মৃৎশিল্প বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি মূল্যবান অংশ হিসেবে রয়ে গেছে, এবং এর পুনর্জাগরণের সম্ভাবনাও রয়েছে। বাংলাদেশের মৃৎশিল্পের পণ্যসমূহ তার ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক সম্পদকে বহন করে, যা আজও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমাদৃত।

The ancient history of pottery in Bangladesh

বাংলাদেশে
মৃৎশিল্পের প্রাচীন
ইতিহাস
.

মৃৎশিল্পের উৎপত্তি সর্বপ্রথম চীনের থাংশান শহরে। এ কারণে থাংশানকে মৃৎশিল্পের শহর বলা হয়। এই শহরটি চীনের পেইচিং শহর থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। থাংশানে মৃৎশিল্পের বিকাশ শুরু হয় মিং রাজবংশের ইয়ুং লে-এর শাসনামলে। এই শহরের মৃৎশিল্পের ইতিহাস প্রায় ৬০০ বছরের পুরোনো। থাংশানে তৈরি চীনামাটির মৃৎশিল্পের সংখ্যা ৫০০-এরও বেশি। এখানে বিভিন্ন প্রকার চীনামাটি পাওয়া যায়, যেমন প্রাচীন স্থাপত্য চীনামাটি, স্বাস্থ্যসম্মত চীনামাটি, শিল্পায়ন চীনামাটি, হাইটেক চীনামাটি, এবং শিল্পকলা চীনামাটি।

বাংলাদেশের মৃৎশিল্পের ইতিহাস প্রত্নতাত্ত্বিক খনন থেকে পাওয়া বিভিন্ন মৃৎপাত্র এবং মাটির তৈরি বস্তু থেকে জানা যায়। দেশের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান যেমন মহাস্থানগড়, ময়নামতি, এবং পাহাড়পুর থেকে বিভিন্ন ধরনের মৃৎশিল্পের নিদর্শন পাওয়া গেছে, যা ইঙ্গিত করে যে প্রাচীনকাল থেকেই এই শিল্প বাংলার সংস্কৃতির অংশ ছিল।


প্রাচীন বাংলার পুণ্ড্র, বগুড়া, এবং রংপুর অঞ্চলে মৃৎশিল্পের নিদর্শন পাওয়া গেছে, যেগুলো ছিল রান্না করার পাত্র, খাবার সংরক্ষণের পাত্র, এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত মাটির মূর্তি। এই সমস্ত পণ্য তৈরি করতে কুমার সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত দক্ষতা দেখিয়েছে। মৃৎশিল্পের মধ্যে পাথরের মতো শক্ত মাটি পুড়িয়ে তৈরি করা টেরাকোটা (ভাস্কর্য ও শিল্পকর্ম) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা হিন্দু-বৌদ্ধ স্থাপত্য এবং মন্দিরে ব্যবহৃত হতো।

মধ্যযুগের মৃৎশিল্প:

মধ্যযুগে মুঘল এবং সুলতানি আমলে মৃৎশিল্প আরও উন্নত হয়। মাটির তৈরি বিভিন্ন কারুকার্য, টেরাকোটা প্যানেল, এবং মসজিদে ব্যবহৃত অলঙ্কারিক মৃৎপাত্র এই সময়ে বেশ জনপ্রিয় ছিল। বাংলার মন্দির এবং মসজিদে টেরাকোটার ব্যবহার তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। বিশেষ করে কান্তজীর মন্দির, সোনারগাঁও, এবং ষাট গম্বুজ মসজিদে টেরাকোটার কারুকাজ এর নিদর্শন হিসেবে উল্লেখযোগ্য।

ঔপনিবেশিক ও আধুনিক যুগের মৃৎশিল্প:

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে মৃৎশিল্প কিছুটা অবনতি হয়, কারণ পশ্চিমা ধাতু ও মেশিন দ্বারা তৈরি পণ্য আসতে শুরু করে। তারপরেও গ্রামীণ এলাকায় মৃৎশিল্প টিকে থাকে কারণ এটি ছিল সস্তা এবং সহজলভ্য। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে রান্নার হাঁড়ি, পাতিল, জল রাখার পাত্র, এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের প্রতিমা তৈরি করা হতো মাটি দিয়ে।


The social and economic impact of pottery.

মৃৎশিল্পের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব
.

বাংলাদেশের মৃৎশিল্প সামাজিক এবং অর্থনৈতিক জীবনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। কুমার সম্প্রদায়, যারা এই শিল্পের সাথে জড়িত, তাদের জীবিকা এই শিল্পের উপর নির্ভর করত। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এটি ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, কারণ প্রায় প্রতিটি পরিবারেই মাটির পাত্রের প্রয়োজন হতো। ধর্মীয় উৎসব ও রীতিনীতিতে মাটির তৈরি প্রতিমা, পাত্র, ও প্রদীপের ব্যবহার ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

আধুনিকতার সঙ্গে প্লাস্টিক, মেলামাইন, এবং অন্যান্য কৃত্রিম পণ্যের উত্থান মৃৎশিল্পের চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে। অনেক পরিবার এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে, কারণ মাটির পণ্যের দাম কম এবং এর মাধ্যমে জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

তবে, কিছুক্ষেত্রে মৃৎশিল্প আবারও ফ্যাশন বা সজ্জাসামগ্রী হিসেবে ফিরে আসছে। বিশেষ করে শহুরে এলাকায় আধুনিক শৈলীর মৃৎশিল্পের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে, যা এই শিল্পের একটি নতুন দিক উন্মোচিত করছে। কিন্তু মূলত এই শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিকরা এখনো অর্থনৈতিকভাবে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

মৃৎশিল্পের
বিভিন্ন ধরণ
.

বাংলাদেশে মৃৎশিল্পের মধ্যে বেশ কয়েকটি ধরণ দেখা যায়, যার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হল:

clay art মৃৎশিল্প x bfa x fxyz mobile (23)

পোড়ামাটির পণ্য:

রান্না করার পাত্র, জল রাখার কলসি, এবং ঘর সাজানোর সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

কান্তজিউ মন্দির, Kantajew Temple

টেরাকোটা:

মন্দির ও মসজিদে ব্যবহৃত অলঙ্কারিক শিল্প, যা স্থাপত্যের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

মাটির খেলনা:

শিশুদের খেলনা হিসেবে গ্রামীণ এলাকায় মাটির তৈরি ছোট্ট গাড়ি, পুতুল, এবং প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা হয়।

clay art মৃৎশিল্প মূর্তি ও প্রতিমা x bfa x fxyz (98)

ধর্মীয় মূর্তি ও প্রতিমা:

দুর্গাপূজা, সরস্বতী পূজা, এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাটির তৈরি প্রতিমা ব্যবহার করা হয়।

টেপা পুতুল tepa putul craft of bangaldesh x bfa x fxyz

মৃৎশিল্প পুনরুজ্জীবনের করণীয়:

মৃৎশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং কুমার সম্প্রদায়কে আবারও স্বাবলম্বী করতে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:

প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন: মৃৎশিল্পীদের আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং প্রযুক্তির ব্যবহার শেখানো দরকার, যা তাদের কাজের মান উন্নত করতে পারে।


বাজার সম্প্রসারণ ও ই-কমার্স: স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মৃৎশিল্পের পণ্য বিক্রির জন্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে গ্রামীণ শিল্পীরা তাদের পণ্য সহজেই বাজারজাত করতে পারবেন এবং লাভজনক হতে পারবেন।


নতুন ডিজাইন ও উদ্ভাবন: পুরাতন পদ্ধতির পাশাপাশি আধুনিক নকশা ও ডিজাইনের সংযোজন করলে শহুরে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মৃৎশিল্পের চাহিদা বাড়ানো সম্ভব।


প্রশিক্ষণ ও অর্থায়ন: সরকার বা এনজিওদের সহায়তায়
মৃৎশিল্পীদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং অর্থায়নের ব্যবস্থা করা উচিত। সহজ ঋণ সুবিধা এবং অনুদানের মাধ্যমে তাদের পেশা চালিয়ে যেতে সহায়তা করা যেতে পারে। এছাড়া
মেলার আয়োজন করা উচিত, যেখানে মৃৎশিল্পীরা তাদের পণ্য প্রদর্শন এবং বিক্রি করতে পারবেন।


সাংস্কৃতিক সচেতনতা বৃদ্ধি: মৃৎশিল্পের ঐতিহ্য এবং গুরুত্ব নিয়ে প্রচারণা চালানো এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

মৃৎশিল্প বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, এবং এটি টিকিয়ে রাখতে যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত জরুরি।



টেপা পুতুল: শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শন

টেপা পুতুল বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করে। এটি শুধুমাত্র খেলনা নয়, বরং অনেক সময় প্রতীকী অর্থেও ব্যবহৃত হয়।

মৃৎশিল্প তৈরি
বিভিন্ন ধাপ
.

মৃৎশিল্প তৈরি করা একটি দীর্ঘ এবং দক্ষতাসম্পন্ন প্রক্রিয়া, যেখানে কাদা মাটি বিভিন্ন ধাপে পার হয়ে একটি সম্পূর্ণ শিল্পে রূপান্তরিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত কুমার সম্প্রদায়ের শিল্পীরা করেন, যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই কাজে দক্ষতা অর্জন করেছেন। মৃৎশিল্প তৈরি করতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে। নিচে মৃৎশিল্প তৈরির প্রতিটি ধাপের বিবরণ দেওয়া হলো।

১. মাটি সংগ্রহ ও প্রস্তুতি:

মৃৎশিল্পের প্রথম ধাপ হলো উপযুক্ত মাটি সংগ্রহ করা। সাধারণত, নদীর পাড় বা খাল-বিলের কাছ থেকে ভালো মানের কাদা মাটি সংগ্রহ করা হয়, কারণ এই মাটিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা ও নমনীয়তা থাকে। মাটি সংগ্রহ করার পর সেটি থেকে পাথর, কাঠ বা অন্যান্য অমিশ্রিত বস্তু আলাদা করা হয়। এরপর মাটি ভালোভাবে মেখে (kneading) নেওয়া হয়, যেন এটি কোমল এবং মসৃণ হয়। এই প্রক্রিয়ায় মাটির মধ্যে থাকা বাতাসের বুদবুদ বেরিয়ে আসে এবং মাটি নমনীয় হয়ে যায়। মাটি মেখে নরম ও কাজ করার উপযোগী করার পর এটি মৃৎশিল্প তৈরির জন্য প্রস্তুত হয়।


২. আকৃতি বা গড়ন দেওয়া:

মাটির গঠন তৈরি করার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়:
চাকা ঘোরানো (Potter’s Wheel):
মৃৎশিল্প তৈরির সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি হলো কুমার চাকার সাহায্যে পাত্র, কলসি, গ্লাস বা অন্যান্য পণ্য তৈরি করা। কুমার চাকার উপর মাটির একটি টুকরো রাখা হয় এবং হাতের চাপে এটি একটি নির্দিষ্ট আকৃতি পায়। চাকা ঘোরানোর সময় মাটিকে ধীরে ধীরে টেনে এবং চেপে পছন্দসই আকারে তৈরি করা হয়।

হাতের কাজ (Hand Building):
যদি বড় মাপের বা জটিল নকশার মৃৎশিল্প তৈরি করতে হয়, তবে মাটি হাত দিয়ে আকৃতি দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে সাধারণত কোষা, গ্লাস বা বিভিন্ন শিল্পমূর্তি তৈরি করা হয়।

ছাঁচ ব্যবহার (Molding):
কিছু জটিল নকশা বা সিরিজ পণ্য তৈরি করতে ছাঁচ ব্যবহার করা হয়। ছাঁচে মাটি ঢেলে দিয়ে সেটির আকৃতি তৈরি করা হয়।


৩. শুকানোর প্রক্রিয়া:

আকৃতি দেওয়ার পর, মাটির জিনিসগুলোকে রোদে শুকানো হয়। প্রথমে কিছুক্ষণ ছায়ায় রেখে তারপর রোদে রাখা হয়, যাতে ধীরে ধীরে জিনিসগুলো শুকিয়ে শক্ত হয়। এ প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ, কারণ দ্রুত শুকিয়ে গেলে মাটি ফেটে যেতে পারে। শুকানোর সময় পণ্যের আর্দ্রতা হারায় এবং এটি শক্ত ও টেকসই হয়।

৪. পুড়ানোর প্রক্রিয়া (Firing):

শুকানোর পর মাটির তৈরি জিনিসগুলোকে পোড়ানো(Firing) হয়। এই ধাপটি মৃৎশিল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, কারণ এটি মাটির তৈরি পণ্যকে চূড়ান্তভাবে শক্ত করে এবং দীর্ঘস্থায়ী করে। পোড়ানোর জন্য ভাঁটিত(kiln) মাটি রেখে উচ্চ তাপমাত্রায় পোড়ানো হয়। সাধারণত ৭০০-১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পোড়ানো হয়।এই প্রক্রিয়ায় মাটির আর্দ্রতা পুরোপুরি চলে যায় এবং মাটি পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়। পোড়ানোর পর জিনিসগুলো চূড়ান্তভাবে ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে। যদি ঠিকভাবে পোড়ানো না হয়, তাহলে মাটির পাত্র বা জিনিসপত্র সহজেই ভেঙে যেতে পারে।

৫. রং ও পালিশ (Finishing and Painting):

কিছু মৃৎশিল্পের পণ্য তাদের চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার জন্য রং করা হয়। রং করার পর আবার পোড়ানো হতে পারে, যাতে রং স্থায়ী হয়। কখনো কখনো মৃৎশিল্পে পালিশ করা হয়, যাতে জিনিসটি চকচকে ও মসৃণ হয়। বিশেষত, কিছু পণ্য যেমন ফুলদানি, শো-পিস, বা ঘর সাজানোর সামগ্রীতে নানা ধরনের নকশা ও রঙের কাজ করা হয়।

৬. শেষ ধাপ (Finishing):

মৃৎশিল্পের জিনিসগুলোতে কোনো মসৃণতা বা খুঁত থাকলে তা সারিয়ে তোলা হয়। রঙের কাজ বা নকশা করার পর সেটি শুকানো হয় এবং প্রয়োজনে পুনরায় পোড়ানো হয়, যাতে এটি স্থায়ী ও সুন্দর হয়। এরপর এই পণ্যগুলো বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়।

মৃৎশিল্প তৈরি বিভিন্ন ধাপ
ছবিসূত্র: উইকিপিডিয়া


তথ্যসূত্র:

উইকিপিডিয়া

ittefaq.com.bd/223680/মৃৎশিল্পের-ঐতিহ্য-ও-সম্ভাবনা


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Your share and comment are an inspiration to us

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!