sylhet
division
.
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর আধ্যাত্মিকতার অপূর্ব মিশেলে সজ্জিত সিলেট বিভাগ বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এক অনন্য রত্ন। এই অঞ্চল শুধুমাত্র তার চা-বাগান, পাহাড় আর জলাভূমির জন্যই বিখ্যাত নয়, বরং এর হস্ত ও কারুশিল্পের অপরিসীম বৈচিত্র্য এবং গভীর ঐতিহ্যের জন্যও সমানভাবে প্রশংসিত।
সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলা—সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ—নিজ নিজ কোণে একেকটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক স্বাক্ষর রেখে চলেছে, যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে স্থানীয় কারিগরদের হাতে গড়ে উঠেছে। শীতল পাটির বিশ্বখ্যাত বুননশৈলী থেকে শুরু করে বেতের কারুকার্য, মণিপুরী তাঁতশিল্প কিংবা অন্যান্য লোকশিল্প—প্রতিটি জেলার প্রতিটি কোণে লুকিয়ে আছে ঐতিহ্যের একেকটি গল্প। এই বৈচিত্র্যময় হস্তশিল্পের সমন্বয়ে সিলেট বিভাগ শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, সাংস্কৃতিকভাবেও এক অনুপম উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এই নিবন্ধে সিলেট বিভাগের হস্ত ও কারুশিল্প মানচিত্র -এর মাধ্যমে সিলেটের
ইতিহাস, বৈচিত্র্য এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলের হস্তশিল্পের প্রভাব ও মূল্যায়ন যেমন হবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, তেমনি স্থানীয় কারুশিল্পীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সৃষ্টিশীলতাকেও যথাযথভাবে তুলে ধরা হবে।
সিলেট বিভাগের
জেলা সমূহ
–
সিলেট বিভাগে বর্তমানে মোট ০৪ জেলা রয়েছে। এই জেলাগুলোর প্রতিটির রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, যা সিলেট বিভাগের সামগ্রিক বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে। জেলাগুলো হলো:
সিলেট
সুনামগঞ্জ
মৌলভীবাজার
হবিগঞ্জ
সিলেট বিভাগের
উল্লেখযোগ্য হস্ত ও কারুশিল্প
–
মণিপুরী নৃ-গোষ্টির বয়ন শিল্প
শীতল পাটি
বাঁশ, বেত শিল্প
সিলেট বিভাগের
ঐতিহ্যময় হস্ত ও কারুশিল্প মানচিত্র
–
সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলার ঐতিহ্যময় হস্ত ও কারুশিল্পকে মানচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হলো সিলেটের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের বৈচিত্র্য ও অনন্যতা সবার সামনে তুলে ধরা। মানচিত্রটি তৈরি করতে এবং সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ত্রুটি বা অসম্পূর্ণতা থাকলে তা সঠিকভাবে সংশোধনের জন্য আপনাদের মূল্যবান মতামত ও সহযোগিতা কাম্য। মানচিত্রটি আরও সমৃদ্ধ করতে যেকোনো নতুন তথ্য, সংশোধনী বা সংযোজন যুক্ত করা যেতে পারে।
আপনারা যে কোনো ধরনের পরামর্শ, সংশোধনী বা তথ্য প্রদান করলে এই মানচিত্রটি আরও নির্ভুল ও তথ্যবহুল হয়ে উঠবে। এতে কেবলমাত্র মানচিত্রটির পূর্ণতা নিশ্চিত হবে না, আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও আরও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হবে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সিলেট বিভাগের হস্ত ও কারুশিল্পের গৌরবময় ইতিহাস এবং ঐতিহ্য আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
ঐতিহ্যময় হস্ত ও কারুশিল্প পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র দেখতে ক্লিক করুন
সিলেট বিভাগের
হস্ত ও কারুশিল্পের
বিস্তারিত
.
Manipuri TAT
মণিপুরী তাঁত
মণিপুরী সমাজে তাঁতশিল্প কেবল এক পেশা নয়, এটি তাদের জীবনের অনিবার্য অংশ। তাঁতের শব্দ—ঠকঠক, ঝটঝট—যেন তাদের দৈনন্দিন জীবনের সুর। মেয়েদের জীবনের সঙ্গে এই শিল্পের সম্পর্ক শুরু হয় শৈশবেই। প্রবাদ আছে—মণিপুরী নারীরা জন্মসূত্রেই তাঁতি। প্রায় ৯০ শতাংশ মণিপুরী নারী তাঁতের সঙ্গে যুক্ত। এভাবে তাঁতশিল্প মণিপুরী নারীদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।
Saree of Bangladesh | The Bearer of Tradition
বাংলাদেশি সেরা দশ শাড়ি
দেশিয় সংস্কৃতির এক অনন্য অনুষঙ্গ হলো শাড়ি। যা বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক । একেকটি শাড়ি যেন একেকটি ভালোবাসার গল্প ।
SHITAL PATI
শীতল পাটি
শীতল পাটি একই সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প ও লোকশিল্প। সিলেটের বালাগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা মূলত এ শিল্পের আদি স্থান। যুগ যুগ ধরেই বংশপরম্পরায় এসব গ্রামের নারী-পুরুষেরা পাটি বুননের কাজ করেন। জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেসকো ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ সালের সম্মেলনে সিলেটের শীতলপাটিকে ঘোষণা দেয় বিশ্বের ‘নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ বা ‘Intangible Cultural Heritage’ হিসেবে।
আপনার একটি শেয়ারে জানবে বিশ্ব, আমাদের দেশ কতটা সমৃদ্ধ
BAMBOO CRAFT
ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প
অঙ্কে তৈলাক্ত বাঁশের ধাঁধা নয়, জীবন অঙ্কের ধাঁধায় বাধা পড়ে আছে শিল্পীদের জীবনযাত্রা। আর বিভিন্ন সংকটে ধীরে ধীরে চাপা পড়ছে এ শিল্পের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারা। যেমন যান্ত্রিক যুগে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের অনুভূতি, তেমনি আমাদের শিল্প ও শিল্পকর্ম। দিন যতই যাচ্ছে সময়ের সাথে সাথে এ পুরনো ঐতিহ্য গুলো আজ বিলুপ্তির পথে। এমনি এক শিল্প, ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প। যা আমাদের জনজীবন থেকে দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে।
সিলেটের হবিগঞ্জ অঞ্চল, বেতের জিনিসপত্রের সাথে বাঁশজাত পণ্য তৈরীর জন্যও বিখ্যাত।

















