ব্রান্ডিং:
ব্রান্ডিং হলো একটি প্রতিষ্ঠানের বা পণ্যের পরিচয় এবং ভাবমূর্তি গড়ে তোলার প্রক্রিয়া। এটি প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ, উদ্দেশ্য, এবং ব্র্যান্ডের পরিচয় কী হবে তা নির্ধারণ করে। ব্রান্ডিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের মনে একটি নির্দিষ্ট ইমেজ তৈরি করা হয়, যেমন পণ্যের গুণগত মান, প্রতিষ্ঠানটির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য, এবং প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য।
ব্র্যান্ডিং স্থায়ী: এটি ব্যবসার আত্মা – আপনি কী, কেন করছেন। এটা একবার ঠিক করে নিলে সেটা লং টার্মের জন্য।
ব্রান্ডিংয়ের উপাদানগুলো হলো:
লোগো, স্লোগান, এবং রঙের পছন্দ: এগুলো দিয়ে ব্র্যান্ডটি গ্রাহকদের কাছে ভিজ্যুয়াল বা মানসিক ইমেজ তৈরি করে।
বিশ্বাসযোগ্যতা এবং মান: গ্রাহকদের কাছে ব্র্যান্ডটি কতটা বিশ্বস্ত এবং তাদের কি ধরনের অভিজ্ঞতা দেয় তা ব্রান্ডিংয়ের অংশ।
ব্র্যান্ডের উদ্দেশ্য: ব্র্যান্ডটি কেন আছে এবং কী উদ্দেশ্যে কাজ করছে, এটি প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি পরিচয়ের একটি বড় অংশ।
মার্কেটিং:
মার্কেটিং হলো একটি ব্র্যান্ড বা পণ্যের বিক্রয় বা প্রচারের কৌশল। এটি কৌশলগত কর্মকাণ্ডের একটি সেট, যার মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি তার পণ্য বা পরিষেবাগুলি প্রচার করে, বাজারজাত করে, এবং গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্য হলো সরাসরি বিক্রয় বৃদ্ধি এবং গ্রাহকদের কার্যকরভাবে পৌঁছানো।
মার্কেটিং পরিবর্তনশীল: এটি সময়, ট্রেন্ড, বা নির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী বদলায়। আজ ফেসবুকে ক্যাম্পেইন চলছে, কাল ইমেইল মার্কেটিং।
মার্কেটিংয়ের উপাদানগুলো হলো:
বাজার গবেষণা: গ্রাহক চাহিদা, প্রতিযোগী, এবং বাজারের প্রবণতাগুলোকে বুঝে নেয়া।
প্রচার কৌশল: বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণা, ইমেইল মার্কেটিং, সেলস প্রমোশন ইত্যাদি।
কন্টেন্ট তৈরি এবং ডিস্ট্রিবিউশন: ব্র্যান্ডের বার্তা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন মাধ্যমের ব্যবহার।
বিক্রয় কৌশল: পণ্যের মূল্য নির্ধারণ, প্রমোশনাল অফার, এবং ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়।
আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া লিংক