আড়াই হাত থেকে বারো হাত: গামছা -র ফ্যাশন বিবর্তন
” শিবরাম হেসে বললেন, `বাপ্ তুললেন, বংশ তুললেন, তাতেও হল না শেষে গামছা তুলে অপমান করলেন’?” এই হাসির মধ্যে লুকিয়ে আছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির একটা দ্বন্দ্ব।
” শিবরাম হেসে বললেন, `বাপ্ তুললেন, বংশ তুললেন, তাতেও হল না শেষে গামছা তুলে অপমান করলেন’?” এই হাসির মধ্যে লুকিয়ে আছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির একটা দ্বন্দ্ব।
হোগলাপাতা সহজে পচনশীল হওয়ায় পরিবেশ দূষণের কোনো আশঙ্কা নেই। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই পরিবেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যখন আলোচনায় তুঙ্গে তখন হোগলা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
পরিত্যাক্ত নারিকেলের মালা—যা একসময় বর্জ্য হিসেবে গণ্য হতো, আজ তা কারিগরদের হাতে রূপান্তরিত হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ও নান্দনিক হস্তশিল্পে।
নকশী পিঠা শুধু খাবার নয়, এটি একটি লোকশিল্প। এটি মেয়েলি শিল্প নামেও পরিচিত। বাঙালি নারীদের হাতের এই শিল্পকর্ম আলপনার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
‘হাতপাখা? ওটা তো গ্রামের জিনিস!’—তাও তার বাড়িতে কোথাও একটা নকশি পাখা লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
মণিপুরী তাঁত প্রবাদ আছে—মণিপুরী নারীরা জন্মসূত্রেই তাঁতি। প্রায় ৯০ শতাংশ মণিপুরী নারী তাঁতের সঙ্গে যুক্ত।
“শীতের কাঁথা, বর্ষার ছাতা আর গরমের পাখা”—এই কথা শুনলেই বাঙালির জীবনের সহজাত ও চিরকালীন চিত্রটি সামনে ভেসে ওঠে।
রান্নাঘরের আড়া থেকে ঝুলিয়ে রাখা হতো এই শিকা, যাতে খাবারদাবার আর সংসারের ছোটখাটো জিনিস সযত্নে সংরক্ষণ করা যেত।
ছন আর তালপাতা দিয়ে তৈরি এই ঝুড়িগুলো শুধু প্রয়োজন মেটাতো না, গ্রামীণ মানুষের সৃজনশীলতা আর প্রকৃতির সাথে একাত্মতার গল্পও বলতো।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলার মৃৎশিল্পীরা সরার নকশা, চিত্রকর্ম, রং এবং আকৃতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এসেছেন। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন, শরৎকালের এই উৎসবে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয়।