Bangladesh is a land of hospitality

আমার জেলার ব্রান্ডিং | ঢাকা বিভাগ

মালয়েশিয়া “ট্রুলি এশিয়া”, ভারত ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’, চীন সারা বিশ্বের ‘কারখানা’ এবং শ্রীলঙ্কা ‘রিফ্রেশিংলি শ্রীলঙ্কা’ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া থাইল্যান্ড নিজেকে তুলে ধরছে ‘অ্যামেজিং থাইল্যান্ড’ নামে। আর আমাদের ! বাংলাদেশ এ ল্যান্ড অফ হসপিটালিটি। Bangladesh a Land of Hospitality


বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা অপরিসীম। দেশের ভৌগোলিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্যবাহী স্থান, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং আলোকিত ইতিহাসকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হলে আমাদের কার্যকরী ব্র্যান্ডিংয়ের পথে হাঁটতে হবে। বিশ্বায়নের এই যুগে প্রতিটি দেশ নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করছে, যা পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশও এই ক্ষেত্র থেকে পিছিয়ে থাকতে পারে না।

আমাদের দেশে রয়েছে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এবং ঐতিহ্যের এক বিশাল ভাণ্ডার। যেমন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ি অঞ্চল বান্দরবান, রাঙামাটি, এবং খাগড়াছড়ি, যেখানে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে আছে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। এসব স্থানকে সঠিকভাবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারলে তা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে।

দেশের বিভিন্ন জেলার নিজস্ব সংস্কৃতি, রয়েছে বিখ্যাত কিছু পন্য যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। রয়েছে নিজস্ব কিছু খাবার, রয়েছে ঐতিহাসিক স্থান সমূহ যা সুবিশাল ভান্ডারে সমৃদ্ধ আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের ৮টি বিভাগের মধ্যে মোট ৬৪টি জেলা রয়েছে এবং প্রত্যেকটি জেলা কোন না কোন কারণে বিখ্যাত। “ আমার জেলার ব্রান্ডিং “ এই নামে পুরো লেখা আট পর্বে ভাগ করা আছে। এই অধ্যায় থাকবে ঢাকা বিভাগ -এর জেলাগুলো কী কারনে বিখ্যাত।

প্রতিটি পর্যায়ে

আমাদের জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত এমন কিছু কিছু ঐতিহ্যবাহী স্থান আছে যেখানে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটকের আনাগোনা যেনো মুখর থাকে, সেই ভাবে ব্রান্ডিং করতে হবে। কথা হচ্ছে নিদৃষ্ট কিছু স্থান নয়, আমাদের এগিয়ে আসতে হবে প্রতিটি পর্যায়ে- আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার, ঐতিহ্যবাহী স্থান, আমাদের সংস্কৃতি এবং আমাদের আলোকিত পূর্ব পুরুষ, যাদের আত্নত্যাগে আমরা আলোকিত।

দেশের ব্র্যান্ডিং

বিশ্বায়নের এই যুগে দেশের খ্যাতি ও সুনামকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য এখন জোরেসোরে দেশকে ব্রান্ডিং করতে হবে নিজ নিজ উদ্যগে। এই ব্রান্ডিংয়ের মানে হচ্ছে দেশের সমৃদ্ধময় দিকগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। ব্রান্ডিংয়ের সুফল হচ্ছে, দেশের ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং খাড়া করতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে দেশের জনশক্তি, পর্যটন, দেশে তৈরি পণ্য, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সেবাও মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে এবং গ্রহণযোগ্যতা পাবে। এই ব্রান্ডিং ইমেজ দেখেই মানুষ ঠিক করবে কোন শহরে বেড়াতে যাবে।

বাংলাদেশ এ ল্যান্ড অফ হসপিটালিটি। Bangladesh a Land of Hospitality

কিশোরগঞ্জ
গাজীপুর
গোপালগঞ্জ
টাঙ্গাইল
ঢাকা
নরসিংদী
নারায়ণগঞ্জ
ফরিদপুর
মাদারিপুর
মানিকগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জ
রাজবাড়ী
শরিয়তপুর

The city of
Culture and Heritage

ঢাকা বিভাগ
.

বর্তমান ঢাকা  “বিশ্বের রিকশা রাজধানী” নামে পরিচিত হলেও এর আছে এক দীর্ঘ ইতিহাস । মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে এই শহর জাহাঙ্গীর নগর নামে পরিচিত ছিলো।  ঢাকাতে বিশ্বের সেরা মসলিন কাপড় উৎপাদিত হতো। বিশ্বব্যাপী মসলিন বাণিজ্যের একটি কেন্দ্র ছিলো ঢাকা এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীগণ এখানে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসতেন।  বিশ্ব বাণিজ্য শিল্পের কারনে আস্তে আস্তে আমাদের গড়ে উঠে নিজস্ব একটা  সংস্কৃতি, যা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্পে পরিনত হয় ।

একান্তভাবে দেশীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের ব্যবহারে শিল্পীদের মৌলিক শিল্পবোধ ও ধ্যান ধারনায় সৃষ্টি “ঢাকাই জামদানি”। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর আর কোন দেশের কারিগরদের পক্ষে জামদানি তৈরি সম্ভব হয়নি। আদিকাল থেকেই ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম, সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকায় জামদানি কারুশিল্পীদের বংশানুক্রমিক বসবাস। ‘প্রাচ্যের ম্যানচেষ্টার’ বলে খ্যাত শেখেরচর (নরসিংদী জেলার বাবুরহাট) এই বিভাগেই অবস্থিত। বাংলাদেশের বিশেষ এবং উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্য হচ্ছে তাঁত শিল্প। বাংলাদেশের তাঁত বস্ত্রের চাহিদার প্রায় সিংহভাগ পূরণ করছে এ জেলার তাঁত শিল্প। ‘চমচম, টমটম ও শাড়ি, এই তিনে টাঙ্গাইলের বাড়ি।’ প্রবাদ প্রবচনের ছড়াটি যে টাঙ্গাইলকে ঘিরে, তাও ঢাকা বিভাগে অন্তর্ভুক্ত । এছাড়া মিরপুরের বেনারসি পল্লি , ফরিদপুর জেলা নকশি কাঁথা , শরীয়তপুর জেলার মৃৎ শিল্প ও ধামরাই এর কাঁসা-পিতল শিল্পে সমৃদ্ধ ঢাকা বিভাগ 

DHAKA

ঢাকা

বেনারসি


ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পন্যগুলোর একটি এই বেনারসি। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় ভারতের বেনারস থেকে কয়েকটি পরিবার বাংলাদেশে চলে আসে। তারা বসবাস শুরু করে মিরপুর ও পুরান ঢাকা এলাকায় এবং তৈরি করতে থাকে মোহনীয় বেনারসি শাড়ি। বাংলাদেশের কেবল ঢাকাতেই বেনারসি শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে কাজের অভাবে জীবিকাহীন হয়ে পড়ায় অনেক পরিবারই জীবিকা হিসেবে বেছে নেয় এ পেশাকে। ফলে বাড়তে থাকে তাঁতির সংখ্যা এবং পরিবর্তন আসতে থাকে বেনারসি শিল্পে। সে সময় পুরান ঢাকার কারখানাগুলো সরে আসে ঢাকার মিরপুরে।


Mirpur Benarasi sharee BFA feature

মিরপুরের বেনারসি শাড়ি

আহসান মঞ্জিল 


ঢাকার অন্যতম প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন আহসান মঞ্জিল। বাংলার গৌরবময় ইতিহাস ও নবাবি ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে টিকে থাকা এক সমৃদ্ধশালা হলো আহসান মঞ্জিল। বলা হয় ঢাকা শহরের প্রথম ইট-পাথরের তৈরী প্রথম স্থাপনা আহসান মঞ্জিল। এবং তৎকালীন নবাবদের হাতেই প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে উঠে এই ভবনে। নওয়াব আবদুল গনি ১৩ বছর সময় নিয়ে এই প্রাসাদটি তৈরি করেন এবং তার প্রিয় পুত্র খাজা আহসানুল্লাহর নাম অনুসারে এর নামকরন করা হয় হয় ’ আহসান মঞ্জিল ‘। বর্তমানে আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশ সরকারের জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষিত । ১৯৯২ সালে জনসাধারনের পরিদশের্নের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়।


Ahsan Manzil আহসান মঞ্জিল thumline

আহসান মঞ্জিল

ইট-পাথরের তৈরী প্রথম স্থাপনা 

বাকরখানি

বাকরখানির মূল ইতিহাস ভারতীয় উপমহাদেশের সাথে মুঘলদের আগমনের সময়ের সাথে যুক্ত। এটি প্রথমত কাশ্মীর থেকে আসা এক ধরনের রুটি বলে বিশ্বাস করা হয়। মুঘল আমলের সময় উচ্চশ্রেণির মানুষদের জন্য বিশেষ ধরনের খাবার হিসেবে বাকরখানির প্রচলন শুরু হয়েছিল। কাশ্মীরি রুটি ও মুঘল খাদ্য সংস্কৃতির সমন্বয়ে এটি তৈরি হয়েছিল। কাশ্মীরি মাইগ্রান্টরা ঢাকায় আসার পর এটির ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বাকরখানি দুই ধরনের একটা নোনতা/স্বাদহীন আর মিষ্টি।  বাকরখানি তৈরি হয় ময়দা, তেল, ডালডা, পানি, নুন, চিনি দিয়ে।

ডালরুটি

পুরান ঢাকার সে রকম ঐতিহ্যবাহী একটি খাবারের নাম। তবে এখন বিভিন্ন কারণে ঢাকার আদি খাবারগুলোর মধ্যে এটি টিকে আছে কোনোভাবে।

ঢাকা বিভাগ

আহছান মঞ্জিল
বায়তুল মোকাররম মসজিদ
ঢাকেশ্বরী মন্দির
কাজী নজরুল ইসলামের মাজার
বলধা গার্ডেন
অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্য
জাতীয় ঈদগাহ ময়দান
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন
জাতীয় জাদুঘর
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
শাহী মসজিদ
জয়কালী মন্দির
বড় কাটারা
শাপলা চত্বর ফোয়ারা
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার
স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্য
লোকশিল্প জাদুঘর
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
কমলাপুর বৌদ্ধবিহার
একাডেমী গ্রন্থাগার
ছোট কাটারা-চকবাজারের দক্ষিণে
জাগ্রত মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিনত বিবির মসজিদ
দুরন্ত ভাস্কর্য-শিশু একাডেমী
হোসনি দালান
বলাকা ভাস্কর্য
শিখা অনির্বাণ
সাত গম্বুজ মসজিদ
নভোথিয়েটার
তারা মসজিদ
লালবাগ দুর্গ
বাহাদুর শাহ পার্ক

MUNSHIGANJ

মুন্সীগঞ্জ

মুন্সিগঞ্জের পাতক্ষীরশা

পাতক্ষীরশা মুন্সিগঞ্জের বিখ্যাত খাবার। লোকমুখে শোনা যায়, এটি জেলার শতবর্ষী পুরোনো খাবার। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা সদরের সন্তোষপাড়া গ্রামের প্রয়াত ইন্দ্রমোহন ঘোষের স্ত্রী রাজলক্ষ্মী ঘোষ প্রথম পাতক্ষীরশা তৈরি করেন। বর্তমানে তাঁদের বংশধর পাতক্ষীরশা তৈরির পেশায় যুক্ত রয়েছেন।

একটি পাতক্ষীরশা বানাতে প্রায় তিন লিটার দুধের প্রয়োজন হয়। একটি পাতিলে দুধ ঢেলে অনেকক্ষণ জ্বাল দিতে হয়। জ্বাল দেওয়ার সময় কাঠের তৈরি চামচ দিয়ে নাড়তে হয় যাতে পাতিলের তলায় দুধ লেগে না যায়। এরপর দুধ ঘন হয়ে এলে সামান্য পরিমাণে হলুদ ও চিনি মিশিয়ে চুলা থেকে নামানো হয়। চুলা থেকে নামানোর পর মাটির পাতিলে রেখে ঠান্ডা করা হয়। এরপর কলার পাতায় মুড়িয়ে পাতক্ষীরশা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়।

ভাগ্যকুল বাজার

দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে পারুন আর না-ই পারুন, ভাগ্যকুল বাজারের ঘোলের স্বাদ আপনাকে ধাধায় ফেলে দিবে! মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল বাজারের ঘোল এবং মিষ্টি ভোজনরসিকদের তীর্থস্থান।  

মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাড়ি, সংস্কৃতির একটি প্রতীক x bfa x fxyz

মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাড়ি, সংস্কৃতির একটি প্রতীক

মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাড়ি শুধুমাত্র স্থাপত্য নয়, বরং আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং জীবনধারার একটি অংশ।

ঢাকা বিভাগ

NARAYANGANJ

নারায়ণগঞ্জ

জামদানী

জামদানি শুধু একটি জেলা নারায়ণগঞ্জ না, পুরো বাংলাদেশ কে ব্রান্ডিং করার জন্য বড় হাতিয়ার। রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও অঞ্চলের জামদানি ও মসলিনের কাপড় তৈরির ইতিহাস প্রায় সাড়ে ৪ শত বছরের পুরোনো। বলা হয় প্রাচীনকালের মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে জামদানি শাড়ি । যা বাংলাদেশের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।

ঐতিহ্যবাহী নকশা ও বুননের কারণে ২০১৬ সালে জামদানিকে
বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।

এছাড়াও এই জেলা পাটের জন্য বিখ্যাত। এইজন্য নারায়ণগঞ্জ প্রাচ্যের ডেন্ডি নামে পরিচিত।

জামদানি jamdani saree বাংলাদেশি সেরা ১০ শাড়ি

জামদানি

জামদানি সম্পর্কে বিস্তারিত

ঢাকা বিভাগ


NARSINGDI

নরসিংদী

উয়ারী-বটেশ্বর

উয়ারী-বটেশ্বর নরসিংদীর বেলাবো ও শিবপুর উপজেলায় অবস্থিত দুটি প্রাচীন গ্রাম, যা বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই এলাকায় একটি সমৃদ্ধ সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল বলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয়, এই সভ্যতা প্রাচীন গঙ্গাঋদ্ধি রাজ্যের অংশ ছিল, যা গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর মাঝে অবস্থিত এক শক্তিশালী রাজ্য ছিল।

উয়ারী-বটেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসে ১৯৩৩ সালে, যখন স্থানীয়রা সেখানে প্রাচীন মুদ্রা ও অন্যান্য প্রত্নবস্তু খুঁজে পায়। পরে ২০০০ সালের দিকে বিশিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিকরা এখানকার খননকাজ পরিচালনা করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উন্মোচিত হয়। খননকাজে পাওয়া প্রত্নবস্তু যেমন মুদ্রা, পোড়ামাটির পাত্র, অস্ত্র, নগর ব্যবস্থার অবকাঠামো, এবং দুর্গের দেয়ালের অংশ প্রাচীন সভ্যতার স্বাক্ষর বহন করে।

এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি শুধু নরসিংদী জেলার নয়, বরং পুরো বাংলাদেশের একটি গর্বের প্রতীক, যা আমাদের প্রাচীন সমৃদ্ধ সভ্যতার স্মারক।

সাগর কলা

নরসিংদী সাগর কলার জন্য বিখ্যাত। অনেকে বলে, ব্রিটিশ শাসনামলে অতিথিদের আপ্যায়নের তালিকায় সাগর কলা ছিল। সেই রেওয়াজ এখনো চালু আছে। এখনো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে অতিথিদের সাগর কলা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও লটকন উৎপাদনে নরসিংদী প্রথম।

এছাড়া নরসিংদীতে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাটকল ইউএমসি অবস্থিত।

ঢাকা বিভাগ

MANIKGONJ

মানিকগঞ্জ

হাজারী গুড়

মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে হাজারী গুড়ের নাম। জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা এলাকার কয়েকটি গাছি পরিবার আজও এই গুড়ের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন।


হাজারী গুড় নিয়ে দুটি জনপ্রিয় কাহিনী প্রচলিত। প্রথম গল্পটি ব্রিটিশ আমলের। জনশ্রুতি আছে, রানি এলিজাবেথ যখন ভারতবর্ষ সফরে আসেন, তাকে মানিকগঞ্জের এই বিশেষ গুড় দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। রানি গুড় হাতে নিয়ে যখন চাপ দেন, তখন তা ছোট ছোট টুকরায় ভেঙে যায়। গুড় খেয়ে রানি এতোটাই মুগ্ধ হন যে, তিনি ‘হাজারী’ নামের সীল মোহর তৈরি করার নির্দেশ দেন। 


দ্বিতীয় গল্পটি মোহাম্মদ হাজারী নামে একজন গাছির। বলা হয়, তিনি ঝিটকা অঞ্চলের একজন বিখ্যাত গাছি ছিলেন, যিনি খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরি করতেন। একদিন সন্ধ্যায় গাছ থেকে রস সংগ্রহের সময় এক দরবেশ তার কাছে রস চেয়ে পান করেন। রস খেয়ে দরবেশ তাকে আশীর্বাদ দিয়ে বলেন, ‘কাল থেকে তুই যে গুড় তৈরি করবি, তা সবাই খাবে এবং তোর গুড়ের সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে। তোর সাত পুরুষ এই সুনাম ধরে রাখবে।’ সেই দিন থেকেই মোহাম্মদ হাজারীর নামানুসারে এই গুড়ের নামকরণ হয় ‘হাজারী গুড়’।


এছাড়া, মানিকগঞ্জের তাঁতে হাফসিল্ক, কটন, এ্যন্ডিসিল্ক, কাতান, কোটা শাড়ি, চুমকি শাড়ি, গামছা, লুঙ্গি, গজকাপড়সহ নানা ধরনের পোশাক তৈরি হচ্ছে, যা এই জেলার ঐতিহ্য ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ঢাকা বিভাগ

art-and-craft-dhaka-division final part 1 bng

হস্ত ও কারুশিল্প মানচিত্র | ঢাকা বিভাগ

বিস্তারিত জানতে

GAZIPUR

গাজীপুর 

সাফারি পার্ক

গাজীপুর জেলার ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় সাফারি পার্ক— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। এই পার্কটি একটি বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য, যেখানে বন্য প্রাণীরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায়, আর মানুষ নির্দিষ্ট অঞ্চলে বন্দি অবস্থায় থাকে। এটি চিড়িয়াখানার বিপরীত ধারণা, যেখানে প্রাণীরা বন্দি অবস্থায় থাকে এবং মানুষ খোলা জায়গায় ঘোরে।

গাজীপুরের ইতিহাসেও রয়েছে বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দী থেকেই এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তুলা উৎপাদন হতো। তুলা উৎপাদনের কারণে গাজীপুরের একটি উপজেলার নামকরণ করা হয় “কাপাসিয়া”। সংস্কৃত ও হিব্রু ভাষায় তুলার অপর নাম “কার্পাস,” যা থেকে কাপাসিয়া নামটি এসেছে।

গাজীপুর জেলা কাঁঠাল এবং পেয়ারার জন্যও বিখ্যাত। এই জেলার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে ভাওয়াল রাজবাড়ী, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এবং নুহাশ পল্লী, যা প্রতিনিয়ত পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

ঢাকা বিভাগ

KISHOREGANJ

কিশোরগঞ্জ

নিকলি হাওর

কিশোরগঞ্জ জেলা একটি বৈচিত্র্যময় জনপদ, যেখানে হাওর, বাওর এবং সমতল ভূমি মিলেমিশে একটি অনন্য ভূপ্রকৃতি গঠন করেছে। এই জেলার অন্যতম আকর্ষণ নিকলি হাওর, যা এখন বাংলাদেশের একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। নিকলি হাওরকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্র্যান্ডিং করা সম্ভব, যা কিশোরগঞ্জের পর্যটনকে আরও প্রসারিত করবে।

কিশোরগঞ্জের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো উপমহাদেশের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর বাড়ি, যা নীলগঞ্জে অবস্থিত। এ ছাড়াও, বাংলার বার ভুঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁর বিখ্যাত বাড়ি “জঙ্গল বাড়ি” কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে অবস্থিত, যা ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরটি শোলাকিয়া মাঠের জন্য বিখ্যাত, যেখানে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদুল ফিতরের সময় শোলাকিয়া ময়দানে প্রতি বছর প্রায় তিন লক্ষাধিক মুসল্লি একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করেন, যা কিশোরগঞ্জের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক।
এছাড়া, কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত বালিশ মিষ্টি ও নকশী পিঠা এই জেলার ঐতিহ্যবাহী খাদ্য সংস্কৃতির অংশ, যা স্থানীয়দের গর্বের বিষয় এবং ভোজনরসিকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।

ঢাকা বিভাগ


GOPALGANJ

গোপালগঞ্জ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধটি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে অবস্থিত। এটি প্রতিদিন হাজারো মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন, যা গোপালগঞ্জের ঐতিহ্য ও গর্বের অংশ।

গোপালগঞ্জ জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও কম নয়। বর্ষা মৌসুমে কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার লাল শাপলার বিল অপূর্ব দৃশ্য তৈরি করে, যা যেকোনো দর্শনার্থীকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। এই বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।

এছাড়া গোপালগঞ্জ জেলা বাদাম, পাট এবং তরমুজের জন্যও বিখ্যাত, যা এই জেলার কৃষি অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ঢাকা বিভাগ
sheikh mujibur rahman

Sheikh Mujibur Rahman

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান


এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
১৭ই মার্চ ১৯২০–১৫ই আগস্ট ১৯৭৫

TANGAIL

টাঙ্গাইল 

টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি

টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্প বাংলাদেশের অন্যতম পুরোনো কুটিরশিল্প, এবং এর ঐতিহ্যবাহী শাড়ি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি এই জেলাতেই তৈরি হয়, এবং জেলার নামেই এর পরিচিতি। টাঙ্গাইল শাড়ি জেলার ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য একটি শক্তিশালী উপাদান, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর খ্যাতি বৃদ্ধি করতে সক্ষম।

এছাড়া, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ি চমচমও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রায় দুইশ বছরের পুরোনো এই মিষ্টি টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য ও গৌরব বহন করে, যা মিষ্টিপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। টাঙ্গাইল শাড়ি ও পোড়াবাড়ি চমচম একসঙ্গে এই জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।

ঢাকা বিভাগ
টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ি

টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ি

বিস্তারিত জানতে

FARIDPUR

ফরিদপুর

পাট ও পাটজাত পণ্য

“সোনালি আঁশে ভরপুর, ভালোবাসি ফরিদপুর”—এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ফরিদপুর জেলার ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত পাট ও পাটজাত পণ্য। ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলায়, বিশেষ করে বোয়ালমারী, নগরকান্দা, সালথা, মধুখালী, এবং ভাঙ্গায় উৎকৃষ্ট মানের তোষা পাট আবাদের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। এই পাটের গুণগত মানের জন্য ফরিদপুর দেশের গুরুত্বপূর্ণ পাট উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে সুপরিচিত।
ফরিদপুর জেলার নামকরণ হয়েছে প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে। এছাড়াও, এই জেলার কৃতিসন্তান পল্লী কবি জসিম উদ্দিন, যিনি বাংলার মানুষের কাছে তাঁর গ্রামীণ কবিতার জন্য অমর হয়ে আছেন। ফরিদপুরের ঐতিহ্য ও কীর্তি এই অঞ্চলের গৌরবময় ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

ঢাকা বিভাগ

SHARAITPUR

শরীয়তপুর 

বিবিখানা পিঠা

প্রাচীন গ্রামবাংলার নবান্ন উৎসবে পিঠার আয়োজন মানেই বিবিখানা পিঠা ছিল অন্যতম আকর্ষণ। তবে বৃহত্তর শরীয়তপুর অঞ্চল বিশেষভাবে এই “বিবিখানা” পিঠার জন্য বিখ্যাত। কথিত আছে, অতীতে সাহেব-বিবিরা এই পিঠা খেতেন বলে এর নামকরণ করা হয় “বিবিখানা”। ধারণা করা হয়, রাজা বিক্রমাদিত্যের সময় থেকে এই পিঠার প্রচলন হয়। শরীয়তপুরের গ্রামাঞ্চলে এই পিঠা “জামাই ভুলানো পিঠা” নামেও পরিচিত, যা শরীয়তপুরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ।

এছাড়াও শরীয়তপুরে রয়েছে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান, যেমন রুদ্রকর মঠ, উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ, কার্তিকপুর জমিদার বাড়ি, এবং মহিষারের দীঘি, যা পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করেছে।

ঢাকা বিভাগ

RAJBARI

রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর চমচম

“রাজবাড়ী” নামটির উৎস নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে এটি কোনো রাজার বাড়ির নামানুসারেই হয়েছে। অনেকের মতে, রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ হয়। রাজবাড়ি বলতে রাজ মিষ্টির গন্ধ না পাওয়া, তা তো হতে পারে না। এই জেলাটি বিখ্যাত হওয়ার মূল কারণই হলো তার বিখ্যাত চমচম মিষ্টি। এই জনপ্রিয় মিষ্টিটি প্রথম প্রস্তুত করেছিলেন ভাদু সাহা নামের একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি শুধু নিজেই নয়, বরং তার তৈরি করা চমচমের মাধ্যমে রাজবাড়িকেও সারা দেশে পরিচিত করেছেন। চমচম এখন রাজবাড়ীর গর্ব ও মিষ্টির ঐতিহ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

ঢাকা বিভাগ

MADARIPUR

মাদারীপুর 

মাদারীপুরের খেজুরের গুড়

মাদারীপুরের ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড় যুগ যুগ ধরে এই জেলার গর্ব। “খেজুর রস-খেজুর গুড়, দক্ষিণের দ্বার মাদারীপুর”—এই স্লোগানকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন ব্র্যান্ডিং করেছে খেজুরের রস ও গুড়ের ঐতিহ্যের কারণে। শীতের মৌসুম আসলেই গাছিরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু গুড়, যা এই জেলার অন্যতম পরিচিতি।

এছাড়া মাদারীপুরে রয়েছে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান, যেমন জমিদার রাজারাম রায় চৌধুরীর বাড়ি, লেখক পি.কে. গুহ’র বাড়ি, রাজারাম মন্দির, রাজারাম ইনস্টিটিউশন, আউলিয়াপুর নীলকুঠি, ঝাউদি গিরি, কুলপ্লী মনসা বাড়ি, পেয়ারপুর মোল্লামহল জমিদার বাড়ি, মিঠাপুর জমিদার বাড়ি, আলগী কাজি বাড়ি মসজিদ, হটি কালচার, শকুনী লেক, সেনাপতির দিঘী, ইকোপার্ক, এবং বাজিতপুরের প্রণব মঠ। এই স্থানগুলো মাদারীপুরের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিদর্শন বহন করে, যা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

ঢাকা বিভাগ

আপনার একটি শেয়ারে জানবে বিশ্ব, আমাদের দেশ কতটা সমৃদ্ধ


তথ্যসূত্র

সুনামগঞ্জ  দর্শনীয় স্থান

মুন্সীগঞ্জ জেলা

নারায়ণগঞ্জ

বাংলাপিডিয়া

somewhereinblog


বাংলাদেশ ফ্যাশন আর্কাইভ প্লাটফর্ম

September 27, 2024

বৈশ্বিক পর্যটনে বাংলাদেশ: ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেওয়া

fayze hassan
আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ইতিহাস, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মানুষের আতিথেয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে একটি বিশেষ পর্যটন ইমেজ…
September 27, 2024

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

আপনার একটি শেয়ার আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!
Skip to content