RANGPUR-রংপুর-বিভাগ-THE-LAND-OF-HERITAGE-AND-FINNEST-SHATARANJI-x-bfa-x-fxyz-V2

সমৃদ্ধময় বাংলাদেশের ৬৪ জেলা | রংপুর বিভাগ

জিআই পণ্য শতরঞ্জি,  দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির, তেঁভাগা আন্দোলন ,ভাওয়াইয়া গান রংপুর বিভাগকে করেছে সমৃদ্ধ

বাংলাদেশ ইতিহাস ঐতিহ্যর দেশ। এদিক থেকে বেশ সমৃদ্ধশালী। দেশের বিভিন্ন জেলার নিজস্ব সংস্কৃতি, রয়েছে বিখ্যাত কিছু পন্য যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। রয়েছে নিজস্ব কিছু খাবার, রয়েছে ঐতিহাসিক স্থান সমূহ যা সুবিশাল ভান্ডারে সমৃদ্ধ আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের ৮টি বিভাগের মধ্যে মোট ৬৪টি জেলা রয়েছে এবং প্রত্যেকটি জেলা কোন না কোন কারণে বিখ্যাত। “ আমার জেলার ব্রান্ডিং “ এই অধ্যায় থাকবে রংপুর বিভাগ -এর জেলাগুলো কী কারনে বিখ্যাত।

আমাদের জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত এমন কিছু কিছু ঐতিহ্যবাহী স্থান আছে যেখানে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটকের আনাগোনা যেনো মুখর থাকে, সেই ভাবে ব্রান্ডিং করতে হবে। কথা হচ্ছে নিদৃষ্ট কিছু স্থান নয়, আমাদের এগিয়ে আসতে হবে প্রতিটি পর্যায়ে- আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার, ঐতিহ্যবাহী স্থান, আমাদের সংস্কৃতি এবং আমাদের আলোকিত পূর্ব পুরুষ, যাদের আত্নত্যাগে আমরা আলোকিত।

বিশ্বায়নের এই যুগে দেশের খ্যাতি ও সুনামকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য এখন জোরেসোরে দেশকে ব্রান্ডিং করতে হবে নিজ নিজ উদ্যগে। এই ব্রান্ডিংয়ের মানে হচ্ছে দেশের সমৃদ্ধময় দিকগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। ব্রান্ডিংয়ের সুফল হচ্ছে, দেশের ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং খাড়া করতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে দেশের জনশক্তি, পর্যটন, দেশে তৈরি পণ্য, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সেবাও মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে এবং গ্রহণযোগ্যতা পাবে। এই ব্রান্ডিং ইমেজ দেখেই মানুষ ঠিক করবে কোন শহরে বেড়াতে যাবে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই ব্রান্ডিংকে গুরুত্ব দিচ্ছে । যেমন মালয়েশিয়া “ট্রুলি এশিয়া | Truly Asia ”, ভারত ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া | Incredible India’, চীন সারা বিশ্বের ‘কারখানা’ এবং শ্রীলঙ্কা ‘রিফ্রেশিংলি শ্রীলঙ্কা | Refreshing SriLanka ’ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া থাইল্যান্ড নিজেকে তুলে ধরছে ‘অ্যামেজিং থাইল্যান্ড | amazing thailand ’ নামে। আর আমাদের !

বাংলাদেশ এ ল্যান্ড অফ হসপিটালিটি। Bangladesh a Land of Hospitality

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার সেরা খাবার, পন্য বা ঐতিহাসিকস্থান সমুহের  লিস্ট দেয়া হলো। পুরো লেখা আট পর্বে ভাগ করা আছে। এখানে রংপুর বিভাগ

কুড়িগ্রাম
গাইবান্ধা
ঠাকুরগাঁও
দিনাজপুর
নীলফামারী
পঞ্চগড়
রংপুর
লালমনিরহাট

রংপুর বিভাগ

THE LAND OF HERITAGE AND FINNEST SHATARANJI

রংপুর 

RANGPUR

বাংলাদেশের দ্বিতীয়তম জেলা রংপুর। ১৭৬৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে রংপুর জেলা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। রংপুর জেলা সবচেয়ে বেশি তামাক এর জন্য বিখ্যাত হলেও জিআই পণ্য শতরঞ্জি রংপুর জেলাকে সারা বিশ্বে পরিচয় করিয়েছে। রংপুরের ব্রান্ডিং পন্য হলো ৭০০ বছরের ঐতিহ্যের ধারক বাহক শতরঞ্জি। জামদানির পর ২০২১ সালের জুন মাসে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে রংপুরের শতরঞ্জি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়। 

২০২১ সালের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে রংপুরের শতরঞ্জি।

এছাড়া রংপুর জেলায় প্রচুর পরিমানে আলু-ধান-পাট উৎপাদিত হয়। এছাড়া রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম জিআই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে জার্নাল আকারে প্রকাশ করা আছে। স্বীকৃতির দ্বারপ্রান্তে। এছাড়া রংপুরের ইক্ষু বেশ জনপ্রিয়। রংপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এক ঐতিহ্যবাহী জনপদ।

ভিন্নজগত পার্ক
তাজহাট জমিদার বাড়ি
অবসর পার্ক
ইকোপার্ক
খান চৌধুরী মসজিদ
চিকলির বিল
টাউন হল
তিস্তা নদীর উপর নির্মিত গ্রোয়েন বাঁধ
দেওয়ানবাড়ির জমিদারবাড়ি
নলঝুড়ি শ্রীশ্রী ১০৮ স্বামী নিগমানন্দ স্বারস্বত আশ্রম
পায়রাবন্দ জমিদার
লালদীঘি নয় গম্বুজ মসজিদ
প্রয়াস সেনা বিনোদন পার্ক
দেবী চৌধুরাণীর রাজবাড়ি
নান্দিনার দিঘী
ধুম নদী
দক্ষিন মমিনপুর জহুরিয়া বুড়া মসজিদ
তনকা প্রাচীন মসজিদ
ঝাড়বিশলা (কবি হেয়াত মামুদের সমাধি)
গংগাচড়া শেখ হাসিনা সেতু
কেরামতিয়া মসজিদ ও মাজার
ইটাকুমারী জমিদারবাড়ি
আনন্দ নগর

বেগম রোকেয়া
বাংলার মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত

মশিউর রহমান
সাবেক প্রধানমন্ত্রী (১৯৭৯)

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও ষষ্ঠ সেনাপ্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

আনিসুল হক
লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক

রাশিদ আসকারী
বাংলা-ইংরেজি লেখক, প্রাবন্ধিক,কলামিস্ট, অনুবাদক ও ১২তম উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী

এম এ ওয়াজেদ মিয়া
পরমাণু বিজ্ঞানী

নাসির হোসেন
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার

জাহানারা ইমাম
লেখিকা, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ

রফিকুল হক
ছড়াকার, সাংবাদিক

SHOTRANJI শতরঞ্জি, রংপুরের ঐতিহ্যবাহী বুননশিল্প x bfa x fxyz web

শতরঞ্জি, রংপুরের ঐতিহ্যবাহী বুননশিল্প

রংপুরের ঘাঘট নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার জলবায়ু এবং ঘাঘট নদীর পানি শতরঞ্জি বুননের উপযোগী। যেমন জামদানির জন্য উপযোগী শীতলক্ষ্যা নদীর পানি।

দিনাজপুর

Dinajpur

দিনাজপুরের ঢেপা নদীর তীরের কান্তজীর মন্দির বা কান্তনগর মন্দির টেরাকোটার স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য নিদর্শন, যা একটি মধ্যযুগীয় হিন্দু মন্দির। মন্দিরের বাইরের দেয়াল জুড়ে রয়েছে পোড়ামাটির ফলক যেখানে চিত্রায়ান করা আছে রামায়ণ, মহাভারত এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী। ১৫০০০ এর মতো টেরাকোটার ফলকসমৃদ্ধ এই মন্দির অবিভক্ত ভারতের এগারতম আশ্চর্য ছিল এটি। এছাড়া কান্তনগরের শান্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ যা শুধুমাত্র দেশীয় নয়, বিদেশি ভ্রমণপিপাসুর কাছে নিঃসন্দেহে আকর্ষণের। দিনাজপুর জেলাকে ব্রান্ডিং করার জন্য যথেষ্ট।

এছাড়াও দিনাজপুর জেলা লিচুর জন্য বিখ্যাত। বলা যায় বাংলাদেশের সেরা লিচু উৎপাদন করা হয় এখানে। বর্তমানে বিদেশে লিচু রপ্তানি হচ্ছে।

কান্তজির মন্দির
রামসাগর দিঘী
নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান
দিনাজপুর রাজবাড়ী
লিচু বাগান
সিংড়া জাতীয় উদ্যান
নয়াবাদ মসজিদ
সুখ সাগর ইকোপার্ক
স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট
দীপশিখা স্কুল, দিনাজপুর

এম আব্দুর রহিম
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,
সংবিধান রচনাকারী ও সাবেক সংসদ সদস্য

জাম্বু
বাংলাদেশী অভিনেতা।

সুভাষ দত্ত
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রশিল্পী, নির্মাতা ও অভিনেতা

আব্দুল বারী
বাংলাদেশের দিনাজপুরে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশী লেখক ও শিক্ষাবিদ,
বিচারপতি 

নিতুন কুন্ডু
বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায়ী

খালেদা জিয়া
বাংলাদেশের সাবেক ও প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী

শহীদ ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান

(বীর উত্তম), শহীদ মুক্তিযোদ্ধা

নাজিব তারেক
একজন বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী

লিটন দাস
বাংলাদেশি ক্রিকেটার

Kantajew Temple কান্তজিউ মন্দির x bfa x fxyz web

কান্তজিউ মন্দির | অবিভক্ত ভারতের এগারতম আশ্চর্য

রামায়ণ, মহাভারত এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী চিত্রায়ণ করা পুরো মন্দিরে প্রায় ১৫,০০০-এর মতো টেরাকোটা টালি রয়েছে।

পঞ্চগড়

Panchagarh

বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জনপদ এই পঞ্চগড়। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায় প্রাচীনকালের ‘পুন্ড্র’ নগরের একটা নগরী ছিল এই পঞ্চগড়, যাকে সম্ভবত ‘পঞ্চনগরী’ ডাকা হত। তবে নামের ব্যাপারে বহুল প্রচলিত মত হচ্ছে, পাঁচটি গড়ের অবস্থানের কারণেই একে পঞ্চগড় বলে ডাকা হয়। ‘পঞ্চ’ শব্দের অর্থ ‘পাঁচ’, আর ‘গড়’ শব্দের অর্থ ‘বন বা জঙ্গল’। গড়গুলো হচ্ছে ভিতরগড়, মীরগড়, হোসেনগড়, রাজনগড় এবং দেবেনগড়।  

পঞ্চগড় জেলাকে ব্রান্ডিং করার জন্য পর্যটনের নগরী তৈরীতে এগিযে আসতে হবে। হিমালয়কন্যা খ্যাত পঞ্চগড় জেলায় আছে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর। তাছাড়াও এ জেলাটিকে নদী বেষ্টিত জেলা বলা হয় কারন প্রায় ২৩টি নদী রয়েছে এই পঞ্চগড়ে।

আছে প্রায় ১৫০০ বছর প্রাচীন, মহারাজার দীঘি। আছে প্রায় ৪০০ বছর পুরানো মির্জাপুর শাহী মসজিদ ও
ছেপড়াঝাড় পাহাড়ভাঙ্গা মসজিদ। এছাড়া আবহাওয়া ভালো থাকলে পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন পাওয়া যায়।

ভিতরগড় দুর্গ

মহারাজার দীঘি
(প্রায় ১৫০০ বছর প্রাচীন) ও কাজল দীঘি

রকস মিউজিয়াম
বাংলাদেশের একমাত্র পাথরের যাদুঘর

বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর ও জিরো পয়েন্ট

তেঁতুলিয়া ডাক বাংলো

মির্জাপুর শাহী মসজিদ
(প্রায় ৪০০ বছর পুরানো)

ছেপড়াঝাড় পাহাড়ভাঙ্গা মসজিদ
প্রায় ৪০০ বছরের পুরানো

বার আউলিয়ার মাজার

গোলকধাম মন্দির

বদেশ্বরী পিঠ মন্দির
দেদেশ্বরী মন্দির
গোবিন্দ মন্দির


জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি

সমতল ভূমির চা-বাগান এবং কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট বাংলো

দেবীগঞ্জ সেতু ও ধরধরা রেল সেতু

মীরগড়ের অবশিষ্ঠাংশ; হোসেনগড়, দেবেনগড়, রাজনগড় এবং মীরগড়ের বেশিরভাগ অংশই এখন বিলুপ্তপ্রায়।

মহানন্দী নদী

পাথর উত্তোলন

ভারতের জলপাইগুড়ি ব্রীজ


কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন
হেমন্তকালে এবং শীতের শুরুতে কিংবা শেষের দিকে

শহীদুল্লাহ কায়সার
মুক্তিযুদ্ধের শহীদ

ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা
বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার

মোহাম্মদ সুলতান
ভাষা সৈনিক

ঠাকুরগাঁও

Thakurgaon

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের এই জেলা হিমালয়ের কোলে অবস্থিত। ঠাকুরগাঁওয়ের রয়েছে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জনপদ। বলা হয় ঠাকুর পরিবারের বা এ এলাকায় ব্রাহ্মণদের সংখ্যাধিক্যের কারণে ঠাকুরগাঁও নামকরণ হয়েছে। ১৯৮৪ সালে ১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও জেলা হিসেবে যাত্রা শুরু করে।

ঠাকুরগাঁও জেলা “সূর্যাপুরী” নামে একটি আম গাছের জন্য বেশ বিখ্যাত। দু’বিঘা জমি জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই গাছটি কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে এশিয়ার সর্ব বৃহত্তম আম গাছ।  ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারি সীমান্তের মন্ডুমালা গ্রামে রয়েছে এই বিশাল আম গাছ। প্রায় দু’শ বছরের অসংখ্য ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে আমগাছটি দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় ৫০ হাত প্রস্থের প্রবীণ এই গাছটি চারদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে বিস্তৃত ডালপালা। গাছটিকে দেখলে মনে হয় সারি সারি আমগাছ জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে। 

এছাড়া লোক সংস্কৃতিতে ঠাকুরগাঁও জেলার ধামের গান, ভাওয়াইয়া, পালাগান, পল্লীগীতি, কবিগান, বিচারগান, কোয়ালী গান, বিষহরি গান, সত্যপীরের গান, কীর্তন, বিয়ের গানের জন্য বিখ্যাত।

রাজা টংকনাথের রাজবাড়ী

জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ


বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আমগাছ


রাজভিটা
জাবরহাট ইউনিয়ন


রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি


হরিপুর রাজবাড়ি


জগদল রাজবাড়ি


প্রাচীন রাজধানীর চিহ্ন


নেকমরদ মাজার


হেশপুর মহালবাড়ি


সনগাঁ মসজিদ
ফতেহপুর মসজিদ
মেদিনী সাগর মসজিদ
গেদুড়া মসজিদ


গোরক্ষনাথ মন্দির এবং কূপ


হরিণমারী শিব মন্দির
গোবিন্দনগর মন্দির
ঢোলরহাট মন্দির
ভেমটিয়া শিবমন্দির


মালদুয়ার দুর্গ
গড়গ্রাম দুর্গ


বাংলা গড়
গড় ভবানীপুর
গড়খাঁড়ি
কোরমখান গড়


সাপটি বুরুজ।

১।
বসিবা দিলে শুতিবা চাহে।
২।
নরম মাটিত বিলাই হাগে।
৩।
হবে ছুয়া কহিবে বাপ, তে জুড়াবে মনের তাপ।
৪।
মাঘ মাসের জারে ভঁইষের শিং নড়ে।
৫।
আমও গেল, ছালাও গেল্।
৬।
হাজার ধুলেও কয়লার নি যায় রং সাত ধুয়া দিলেও শুটকির নি যায় গন্। ৭।
যত খাউক হলুয়া রুটি তাহুঁ ওই পচকটা কটি।
৮।
কিয়ের মাঝত কি তিত কল্লাত ঘি।

কুড়িগ্রাম

Kurigram

‘ভাওয়াইয়া গানের ধাম, নদ-নদীময় কুড়িগ্রাম’ কুড়িগ্রাম জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের স্লোগানটিতে বোঝা যায় ভাওয়াইয়া গান আর নদীবিধৌত অঞ্চল হিসেবে কুড়িগ্রামের সুখ্যাতি। এ জনপদের ঐতিহ্য আছে, আছে স্বকীয়তা। এ অঞ্চলে এখনও অনুষ্ঠিত হয় চিলমারীর অষ্টমীর মেলা, সিঁন্দুরমতির মেলা, মাদাইখালের মেলা, মাসানকুড়ার মেলা, দশহরার মেলা, চেংরার মেলা, সিদ্ধেশ্বরীর মেলা, কালীর মেলা, শিবের মেলা ইত্যাদি।

বাংলাদেশের দুইজন বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার একজন কুড়িগ্রামের তারামন বিবি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কুড়িগ্রাম জেলায় নিজ গ্রাম শংকর মাধবপুরে ছিলেন। তিনি ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন যার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন আবু তাহের বীর উত্তম।

এছাড়া বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি, উপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রবন্ধকার, অনুবাদক, চিত্রনাট্য রচয়িতা, সংলাপ লেখক ও গীতিকার সৈয়দ শামসুল হক এই কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর।

কুড়িগ্রাম জেলার একটি উপজেলা উলিপুর এখানকার বিখ্যাত “পাবনা ভাগ্যলক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার” এর- তৈরিকৃত ” ক্ষীরমোহন ” কুড়িগ্রাম জেলাকে করেছে সমৃদ্ধ।

পাঙ্গা জমিদার বাড়ি

ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদার বাড়ী
ভিতরবন্দ জমিদার বাড়ী
নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ি

ধরলা ব্রিজ
ধরলা বাঁধ

চান্দামারী মসজিদ

কোটেশ্বর শিব মন্দির

টুপামারী (জিয়া পুকুর)

মুন্সিবাড়ী

ধাম শ্রেণী মন্দির

জালার পীরের দরগাহ

উদুনা-পুদুনার বিল

বেহুলার চর

সোনাহাট ব্রিজ

ফুল সাগর

চতুর্ভূজ সেনপাড়া শিব মন্দির

ধলডাঙ্গা বাজার

কালজানি ঘাট

চিলমারী বন্দর।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
ক্ষুদ্রঋণের জনক এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা

শাহারা খাতুন

কুড়িগ্রামের চর রাজীবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী শাহারা খাতুন নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একজন পথপ্রদর্শক।

তারামন বিবি
বীর প্রতীক

সৈয়দ শামসুল হক
বাঙালি সাহিত্যিকখেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।

আব্বাসউদ্দীন আহমদ
সঙ্গীতশিল্পী

কছিম উদ্দিন
ভাওয়াইয়া সঙ্গীতশিল্পী

নীলফামারী

Nilphamari

উত্তরের দীপ্তিমান নীলফামারী অতীত ইতিহাসের অনেক সাক্ষী বহন করে। নীলফামারী জেলাকে নীলের দেশ বলা হয়। দুই শতাধিক বছর পূর্বে এ অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা। এ অঞ্চলের উর্বর ভূমি নীল চাষের অনুকূল হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় নীলফামারীতে বেশি সংখ্যায় নীলকুঠি ও নীল খামার গড়ে ওঠে।

কৃষক বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, তেঁভাগা আন্দোলন নীলফামারীর ইতিহাসে গৌরবময় কিছু অধ্যায়। এছাড়া এ জেলার ঐতিহ্য বহন করে সত্যপীরের গান, হাঁস খেলা, মাছ খেলাসহ অনেক উৎসব ও মেলা। এবং নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ডোমারের সন্দেশের খ্যাতি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিরাট দিঘী
বর্তমান নাম নীলসাগর

নীলকুঠি
নীলফামারী সদর

ভীমের মায়ের চুলা

চিনি মসজিদ

নট সেটেলমেন্ট (কারাগার ১৯৭১)

সৈয়দপুর গির্জা (১৮৯৩)

ডিমলা রাজবাড়ি

ডিমলা ফরেস্ট

রাজা ধর্মপালের গড় (দুর্গ) ও
তাঁর রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ

রাজা হরিশ চন্দ্রের রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ

তিন গম্বুজবিশিষ্ট ভেড়ভেড়ী জামে মসজিদ

কুন্দুপুকুর মাজার

হরিশচন্দ্রের পাঠ

আসাদুজ্জামান নুর
বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ

রথীন্দ্রনাথ রায়
পল্লীগীতি শিল্পী।
বেতার, টেলিভিশন, মঞ্চ এবং সিনেমায় ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করে

জাহানারা ইমাম
কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ

আনিসুল হক
লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক

বেবি নাজনিন
কন্ঠশিল্পী

মহেশ চন্দ্র রায়
ভাওয়াইয়া গানের শিল্পী

লালমনিরহাট

Lalmonirhat

১৭৮৩ সালে সাধারণ কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লালমনি নামে এক মহিলা কৃষক নেতা নুরুলদিনকে সাথে নিয়ে ব্রিটিশ সৈন্য ও জমিদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে। সেই থেকে এ জায়গার নাম হয় ‘লালমনি’। কালের বিবর্তনে ‘হাট’ শব্দটি ‘লালমনি’ শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে ‘লালমনিরহাট’ নামকরণ হয়েছে।

আবার অনেকেই মনে করে যে, মাটির নিচে লাল পাথর পাওয়া গিয়েছিল এজন্য এর নাম লালমনি হয়েছে।

প্রাচীন জনপদ মুসলিম দের তীর্থস্থান এই লালমনিরহাট জেলা। রাসুল পাক (সাঃ) এর মামা বিবি আমিনার চাচাতো ভাই আবু আক্কাস (আঃ) খ্রিস্টপূর্ব ৬২০- ৬২৬ বাংলাদেশে আসেন ইসলাম প্রচার করতে। সে সময় হুজুর পাক( সঃ) জিবিত থাকা অবস্থায় তার নির্দেশে লালমনিরহাটে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই এশিয়া মহাদেশের মধ্যে প্রথম মসজিদ হিসেবে খ্যাত

’ভুট্টায় ভরবে সবার ঘর, লালমনিরহাট হবে স্বনির্ভর’ – এ স্লোগানে ভুট্টাকে ব্র্যান্ডিং ফসল ঘোষনা করা হয়।

এছাড়া লালমনিরহাট জেলা তিনবিঘা করিডোর, তিস্তা ব্রিজ, লাল পাথর, তামাক চাষ, আদা ও শোলকার জন্য বিখ্যাত।

৬৯ হিজরির হারানো মসজিদ

তিস্তা ব্যারেজ

দহগ্রাম আঙ্গরপোতা ছিটমহল

তুষভান্ডার জমিদারবাড়ী।

তিন হাট রেলওয়ে স্টেশন

তিন বিঘা করিডোর

তিস্তা রেল সেতু

তুষভান্ডার জমিদারবাড়

কাকিনা জমিদারবাড়ি

সিন্ধুরমতি দিঘী

বোতল বাড়ি

নওদা বাস কালিগঞ্জ

কবি শেখ ফজলুল করিমের বসতভিটা

হাতীবান্ধা শালবন

ঐতিহ্যবাহী সিন্ধুর মন্দির এবং

বুড়িমারী জিরো পয়েন্ট

ফকির মজনু শাহ
ভারতীয় ফকির, সাধক।

মুসা ইব্রাহিম 

বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী।

গাইবান্ধা

Gaibandha District

দেশের ভোজনরসিকদের কাছে গাইবান্ধা এখন রসমঞ্জরির জেলা হিসেবে পরিচিত। শুধু তাই নয় রসমঞ্জরীর খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়েছে। রসমঞ্জরী প্রস্তুত করা হয় দুধ, ছানা, ক্ষীর ও চিনির মিশ্রণে। ছোট ছোট গোলাকার ছানার তৈরি মিষ্টিতে ঘন রস ব্যবহার করা হয় বলে একে রসমঞ্জরী নামে ডাকা হয়।

স্বাদে ভরা রসমঞ্জরির ঘ্রাণ, চরাঞ্চলের ভুট্টা-মরিচ গাইবান্ধার প্রাণ। এই শ্লোগান নিয়ে গাইবান্ধা জেলাকে ব্র্যান্ডিং করতে তিনটি পণ্যকে সমগ্র দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক পণ্যের সঙ্গে বাজার সৃষ্টি, বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে সারা দেশে ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গাইবান্ধার রসমঞ্জরি: গাইবান্ধা জেলার ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু এক মিষ্টির নাম রসমঞ্জরি। ব্যবসায়িকভাবে ১৯৪০ সালে এই মিষ্টির উৎপাদন শুরু হয়। তবে এর সুনাম ও পরিচিতি দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ১৯৫০ সালের দিকে। রসমঞ্জরির উদ্ভাবন করেছিলেন গাইবান্ধা শহরের মিষ্টি ভান্ডারের মালিক রাম মোহন দে। (তথ্যসূত্র: প্রথম আলো)

জানা যায়, এক কেজি রসমঞ্জরি তৈরি করতে আড়াই কেজি দুধ, ১০০ গ্রাম চিনি, ২৫ গ্রাম ময়দা, ২০০ গ্রাম দুধের ছানা, এলাচসহ পাঁচ টাকার মসলার প্রয়োজন। প্রথমে ছানার সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে গুটি গুটি রসগোল্লা তৈরি করতে হয়। ছোট ছোট মার্বেল আকৃতির এই মিষ্টি দুধের ক্ষীরের সঙ্গে গরম করে মেশাতে হয়। এরপর দুধ ঘন করে জ্বাল দিয়ে সেই ঘন দুধের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু রসমঞ্জরি। প্রতি কেজি রসমঞ্জরি তৈরি করতে শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ পড়ে প্রায় ২৬০ টাকা। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি রসমঞ্জরি ২৮০/৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজাবিরাট প্রসাদ

নলডাঙার জমিদার বাড়ী
বামনডাঙ্গার জমিদার বাড়ী

বর্ধনকুঠি

শাহ্ সুলতান গাজীর মসজিদ

ভরতখালী কাষ্ঠ মন্দির (কালি মন্দির)

ভবানীগঞ্জ পোস্ট অফিস

বালাসী ঘাট

প্রাচীন মাস্তা মসজিদ

পাকড়িয়া বিল


রংপুর বিভাগের জেলাগুলো কিসের বিখ্যাত?

Districts of RANGPUR Division are famous for what?


আপনার একটি শেয়ারে জানবে বিশ্ব, আমাদের দেশ কতটা সমৃদ্ধ


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

আপনার একটি শেয়ার আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Open chat
1
Scan the code
Hello
How can i help you?
Skip to content