বাংলাদেশ ইতিহাস ঐতিহ্যর দেশ। এদিক থেকে বেশ সমৃদ্ধশালী। দেশের বিভিন্ন জেলার নিজস্ব সংস্কৃতি, রয়েছে বিখ্যাত কিছু পন্য যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। রয়েছে নিজস্ব কিছু খাবার, রয়েছে ঐতিহাসিক স্থান সমূহ যা সুবিশাল ভান্ডারে সমৃদ্ধ আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের ৮টি বিভাগের মধ্যে মোট ৬৪টি জেলা রয়েছে এবং প্রত্যেকটি জেলা কোন না কোন কারণে বিখ্যাত। “ আমার জেলার ব্রান্ডিং “ এই অধ্যায় থাকবে রংপুর বিভাগ -এর জেলাগুলো কী কারনে বিখ্যাত।
আমাদের জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত এমন কিছু কিছু ঐতিহ্যবাহী স্থান আছে যেখানে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটকের আনাগোনা যেনো মুখর থাকে, সেই ভাবে ব্রান্ডিং করতে হবে। কথা হচ্ছে নিদৃষ্ট কিছু স্থান নয়, আমাদের এগিয়ে আসতে হবে প্রতিটি পর্যায়ে- আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার, ঐতিহ্যবাহী স্থান, আমাদের সংস্কৃতি এবং আমাদের আলোকিত পূর্ব পুরুষ, যাদের আত্নত্যাগে আমরা আলোকিত।
বিশ্বায়নের এই যুগে দেশের খ্যাতি ও সুনামকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য এখন জোরেসোরে দেশকে ব্রান্ডিং করতে হবে নিজ নিজ উদ্যগে। এই ব্রান্ডিংয়ের মানে হচ্ছে দেশের সমৃদ্ধময় দিকগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। ব্রান্ডিংয়ের সুফল হচ্ছে, দেশের ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং খাড়া করতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে দেশের জনশক্তি, পর্যটন, দেশে তৈরি পণ্য, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সেবাও মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে এবং গ্রহণযোগ্যতা পাবে। এই ব্রান্ডিং ইমেজ দেখেই মানুষ ঠিক করবে কোন শহরে বেড়াতে যাবে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই ব্রান্ডিংকে গুরুত্ব দিচ্ছে । যেমন মালয়েশিয়া “ট্রুলি এশিয়া | Truly Asia ”, ভারত ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া | Incredible India’, চীন সারা বিশ্বের ‘কারখানা’ এবং শ্রীলঙ্কা ‘রিফ্রেশিংলি শ্রীলঙ্কা | Refreshing SriLanka ’ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া থাইল্যান্ড নিজেকে তুলে ধরছে ‘অ্যামেজিং থাইল্যান্ড | amazing thailand ’ নামে। আর আমাদের !
বাংলাদেশ এ ল্যান্ড অফ হসপিটালিটি। Bangladesh a Land of Hospitality
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার সেরা খাবার, পন্য বা ঐতিহাসিকস্থান সমুহের লিস্ট দেয়া হলো। পুরো লেখা আট পর্বে ভাগ করা আছে। এখানে রংপুর বিভাগ
রংপুর বিভাগ
THE LAND OF HERITAGE AND FINNEST SHATARANJI
রংপুর
RANGPUR
বাংলাদেশের দ্বিতীয়তম জেলা রংপুর। ১৭৬৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে রংপুর জেলা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। রংপুর জেলা সবচেয়ে বেশি তামাক এর জন্য বিখ্যাত হলেও জিআই পণ্য শতরঞ্জি রংপুর জেলাকে সারা বিশ্বে পরিচয় করিয়েছে। রংপুরের ব্রান্ডিং পন্য হলো ৭০০ বছরের ঐতিহ্যের ধারক বাহক শতরঞ্জি। জামদানির পর ২০২১ সালের জুন মাসে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে রংপুরের শতরঞ্জি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।
২০২১ সালের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে রংপুরের শতরঞ্জি।
এছাড়া রংপুর জেলায় প্রচুর পরিমানে আলু-ধান-পাট উৎপাদিত হয়। এছাড়া রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম জিআই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে জার্নাল আকারে প্রকাশ করা আছে। স্বীকৃতির দ্বারপ্রান্তে। এছাড়া রংপুরের ইক্ষু বেশ জনপ্রিয়। রংপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এক ঐতিহ্যবাহী জনপদ।
শতরঞ্জি, রংপুরের ঐতিহ্যবাহী বুননশিল্প
রংপুরের ঘাঘট নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার জলবায়ু এবং ঘাঘট নদীর পানি শতরঞ্জি বুননের উপযোগী। যেমন জামদানির জন্য উপযোগী শীতলক্ষ্যা নদীর পানি।
দিনাজপুর
Dinajpur
দিনাজপুরের ঢেপা নদীর তীরের কান্তজীর মন্দির বা কান্তনগর মন্দির টেরাকোটার স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য নিদর্শন, যা একটি মধ্যযুগীয় হিন্দু মন্দির। মন্দিরের বাইরের দেয়াল জুড়ে রয়েছে পোড়ামাটির ফলক যেখানে চিত্রায়ান করা আছে রামায়ণ, মহাভারত এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী। ১৫০০০ এর মতো টেরাকোটার ফলকসমৃদ্ধ এই মন্দির অবিভক্ত ভারতের এগারতম আশ্চর্য ছিল এটি। এছাড়া কান্তনগরের শান্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ যা শুধুমাত্র দেশীয় নয়, বিদেশি ভ্রমণপিপাসুর কাছে নিঃসন্দেহে আকর্ষণের। দিনাজপুর জেলাকে ব্রান্ডিং করার জন্য যথেষ্ট।
এছাড়াও দিনাজপুর জেলা লিচুর জন্য বিখ্যাত। বলা যায় বাংলাদেশের সেরা লিচু উৎপাদন করা হয় এখানে। বর্তমানে বিদেশে লিচু রপ্তানি হচ্ছে।
কান্তজিউ মন্দির | অবিভক্ত ভারতের এগারতম আশ্চর্য
রামায়ণ, মহাভারত এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী চিত্রায়ণ করা পুরো মন্দিরে প্রায় ১৫,০০০-এর মতো টেরাকোটা টালি রয়েছে।
পঞ্চগড়
Panchagarh
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জনপদ এই পঞ্চগড়। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায় প্রাচীনকালের ‘পুন্ড্র’ নগরের একটা নগরী ছিল এই পঞ্চগড়, যাকে সম্ভবত ‘পঞ্চনগরী’ ডাকা হত। তবে নামের ব্যাপারে বহুল প্রচলিত মত হচ্ছে, পাঁচটি গড়ের অবস্থানের কারণেই একে পঞ্চগড় বলে ডাকা হয়। ‘পঞ্চ’ শব্দের অর্থ ‘পাঁচ’, আর ‘গড়’ শব্দের অর্থ ‘বন বা জঙ্গল’। গড়গুলো হচ্ছে ভিতরগড়, মীরগড়, হোসেনগড়, রাজনগড় এবং দেবেনগড়।
পঞ্চগড় জেলাকে ব্রান্ডিং করার জন্য পর্যটনের নগরী তৈরীতে এগিযে আসতে হবে। হিমালয়কন্যা খ্যাত পঞ্চগড় জেলায় আছে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর। তাছাড়াও এ জেলাটিকে নদী বেষ্টিত জেলা বলা হয় কারন প্রায় ২৩টি নদী রয়েছে এই পঞ্চগড়ে।
আছে প্রায় ১৫০০ বছর প্রাচীন, মহারাজার দীঘি। আছে প্রায় ৪০০ বছর পুরানো মির্জাপুর শাহী মসজিদ ও
ছেপড়াঝাড় পাহাড়ভাঙ্গা মসজিদ। এছাড়া আবহাওয়া ভালো থাকলে পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন পাওয়া যায়।
ঠাকুরগাঁও
Thakurgaon
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের এই জেলা হিমালয়ের কোলে অবস্থিত। ঠাকুরগাঁওয়ের রয়েছে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জনপদ। বলা হয় ঠাকুর পরিবারের বা এ এলাকায় ব্রাহ্মণদের সংখ্যাধিক্যের কারণে ঠাকুরগাঁও নামকরণ হয়েছে। ১৯৮৪ সালে ১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও জেলা হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
ঠাকুরগাঁও জেলা “সূর্যাপুরী” নামে একটি আম গাছের জন্য বেশ বিখ্যাত। দু’বিঘা জমি জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই গাছটি কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে এশিয়ার সর্ব বৃহত্তম আম গাছ। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারি সীমান্তের মন্ডুমালা গ্রামে রয়েছে এই বিশাল আম গাছ। প্রায় দু’শ বছরের অসংখ্য ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে আমগাছটি দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় ৫০ হাত প্রস্থের প্রবীণ এই গাছটি চারদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে বিস্তৃত ডালপালা। গাছটিকে দেখলে মনে হয় সারি সারি আমগাছ জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে।
এছাড়া লোক সংস্কৃতিতে ঠাকুরগাঁও জেলার ধামের গান, ভাওয়াইয়া, পালাগান, পল্লীগীতি, কবিগান, বিচারগান, কোয়ালী গান, বিষহরি গান, সত্যপীরের গান, কীর্তন, বিয়ের গানের জন্য বিখ্যাত।
কুড়িগ্রাম
Kurigram
‘ভাওয়াইয়া গানের ধাম, নদ-নদীময় কুড়িগ্রাম’ কুড়িগ্রাম জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের স্লোগানটিতে বোঝা যায় ভাওয়াইয়া গান আর নদীবিধৌত অঞ্চল হিসেবে কুড়িগ্রামের সুখ্যাতি। এ জনপদের ঐতিহ্য আছে, আছে স্বকীয়তা। এ অঞ্চলে এখনও অনুষ্ঠিত হয় চিলমারীর অষ্টমীর মেলা, সিঁন্দুরমতির মেলা, মাদাইখালের মেলা, মাসানকুড়ার মেলা, দশহরার মেলা, চেংরার মেলা, সিদ্ধেশ্বরীর মেলা, কালীর মেলা, শিবের মেলা ইত্যাদি।
এছাড়া বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি, উপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রবন্ধকার, অনুবাদক, চিত্রনাট্য রচয়িতা, সংলাপ লেখক ও গীতিকার সৈয়দ শামসুল হক এই কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর।
কুড়িগ্রাম জেলার একটি উপজেলা উলিপুর এখানকার বিখ্যাত “পাবনা ভাগ্যলক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার” এর- তৈরিকৃত ” ক্ষীরমোহন ” কুড়িগ্রাম জেলাকে করেছে সমৃদ্ধ।
নীলফামারী
Nilphamari
উত্তরের দীপ্তিমান নীলফামারী অতীত ইতিহাসের অনেক সাক্ষী বহন করে। নীলফামারী জেলাকে নীলের দেশ বলা হয়। দুই শতাধিক বছর পূর্বে এ অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা। এ অঞ্চলের উর্বর ভূমি নীল চাষের অনুকূল হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় নীলফামারীতে বেশি সংখ্যায় নীলকুঠি ও নীল খামার গড়ে ওঠে।
কৃষক বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, তেঁভাগা আন্দোলন নীলফামারীর ইতিহাসে গৌরবময় কিছু অধ্যায়। এছাড়া এ জেলার ঐতিহ্য বহন করে সত্যপীরের গান, হাঁস খেলা, মাছ খেলাসহ অনেক উৎসব ও মেলা। এবং নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ডোমারের সন্দেশের খ্যাতি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট
Lalmonirhat
১৭৮৩ সালে সাধারণ কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লালমনি নামে এক মহিলা কৃষক নেতা নুরুলদিনকে সাথে নিয়ে ব্রিটিশ সৈন্য ও জমিদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে। সেই থেকে এ জায়গার নাম হয় ‘লালমনি’। কালের বিবর্তনে ‘হাট’ শব্দটি ‘লালমনি’ শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে ‘লালমনিরহাট’ নামকরণ হয়েছে।
আবার অনেকেই মনে করে যে, মাটির নিচে লাল পাথর পাওয়া গিয়েছিল এজন্য এর নাম লালমনি হয়েছে।
প্রাচীন জনপদ মুসলিম দের তীর্থস্থান এই লালমনিরহাট জেলা। রাসুল পাক (সাঃ) এর মামা বিবি আমিনার চাচাতো ভাই আবু আক্কাস (আঃ) খ্রিস্টপূর্ব ৬২০- ৬২৬ বাংলাদেশে আসেন ইসলাম প্রচার করতে। সে সময় হুজুর পাক( সঃ) জিবিত থাকা অবস্থায় তার নির্দেশে লালমনিরহাটে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই এশিয়া মহাদেশের মধ্যে প্রথম মসজিদ হিসেবে খ্যাত।
’ভুট্টায় ভরবে সবার ঘর, লালমনিরহাট হবে স্বনির্ভর’ – এ স্লোগানে ভুট্টাকে ব্র্যান্ডিং ফসল ঘোষনা করা হয়।
এছাড়া লালমনিরহাট জেলা তিনবিঘা করিডোর, তিস্তা ব্রিজ, লাল পাথর, তামাক চাষ, আদা ও শোলকার জন্য বিখ্যাত।
গাইবান্ধা
Gaibandha District
দেশের ভোজনরসিকদের কাছে গাইবান্ধা এখন রসমঞ্জরির জেলা হিসেবে পরিচিত। শুধু তাই নয় রসমঞ্জরীর খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়েছে। রসমঞ্জরী প্রস্তুত করা হয় দুধ, ছানা, ক্ষীর ও চিনির মিশ্রণে। ছোট ছোট গোলাকার ছানার তৈরি মিষ্টিতে ঘন রস ব্যবহার করা হয় বলে একে রসমঞ্জরী নামে ডাকা হয়।
স্বাদে ভরা রসমঞ্জরির ঘ্রাণ, চরাঞ্চলের ভুট্টা-মরিচ গাইবান্ধার প্রাণ। এই শ্লোগান নিয়ে গাইবান্ধা জেলাকে ব্র্যান্ডিং করতে তিনটি পণ্যকে সমগ্র দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক পণ্যের সঙ্গে বাজার সৃষ্টি, বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে সারা দেশে ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধার রসমঞ্জরি: গাইবান্ধা জেলার ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু এক মিষ্টির নাম রসমঞ্জরি। ব্যবসায়িকভাবে ১৯৪০ সালে এই মিষ্টির উৎপাদন শুরু হয়। তবে এর সুনাম ও পরিচিতি দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ১৯৫০ সালের দিকে। রসমঞ্জরির উদ্ভাবন করেছিলেন গাইবান্ধা শহরের মিষ্টি ভান্ডারের মালিক রাম মোহন দে। (তথ্যসূত্র: প্রথম আলো)
জানা যায়, এক কেজি রসমঞ্জরি তৈরি করতে আড়াই কেজি দুধ, ১০০ গ্রাম চিনি, ২৫ গ্রাম ময়দা, ২০০ গ্রাম দুধের ছানা, এলাচসহ পাঁচ টাকার মসলার প্রয়োজন। প্রথমে ছানার সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে গুটি গুটি রসগোল্লা তৈরি করতে হয়। ছোট ছোট মার্বেল আকৃতির এই মিষ্টি দুধের ক্ষীরের সঙ্গে গরম করে মেশাতে হয়। এরপর দুধ ঘন করে জ্বাল দিয়ে সেই ঘন দুধের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু রসমঞ্জরি। প্রতি কেজি রসমঞ্জরি তৈরি করতে শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ পড়ে প্রায় ২৬০ টাকা। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি রসমঞ্জরি ২৮০/৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রংপুর বিভাগের জেলাগুলো কিসের বিখ্যাত?
Districts of RANGPUR Division are famous for what?
আপনার একটি শেয়ারে জানবে বিশ্ব, আমাদের দেশ কতটা সমৃদ্ধ