বাউন্ডারি ব্রেকিং: প্রচলিত ধারার চ্যালেঞ্জ
ফ্যাশন সবসময়ই পরিবর্তনশীল এবং সাহসী পরীক্ষার জায়গা। কোনো নির্দিষ্ট স্টাইলকে ‘ফো পা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, কারণ সেটি প্রচলিত রীতির বাইরে চলে যায়। কিন্তু এই ভিন্নতা একসময় নতুন ধারা হয়ে উঠতে পারে, যদি এটি সমাজের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পায়। উদাহরণস্বরূপ:
রিপড জিনস: একসময় ছেঁড়া জিনসকে অবহেলা বা ভুল হিসেবে ধরা হতো। কিন্তু এটি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিদ্রোহ ও সৃষ্টিশীলতার প্রতীক হয়ে ওঠে, এবং আজ এটি মূলধারার ফ্যাশন।
মিশম্যাচ স্টাইলিং: ভিন্ন ভিন্ন প্রিন্ট, রং, বা টেক্সচার মিশিয়ে পরা একসময় অস্বাভাবিক বলে বিবেচিত হতো। কিন্তু বর্তমানে এটি ‘এক্সপেরিমেন্টাল ফ্যাশন’ নামে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সেলিব্রিটি কালচার ও গণমাধ্যমের প্রভাব
ফ্যাশন নিয়ে সাহসী পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে সেলিব্রিটিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তারা ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির প্রচলিত নিয়মকে অস্বীকার করে নতুন কিছু পরিধান করেন, যা প্রথমে সমালোচিত হলেও পরবর্তী সময়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে। যেমন:
লেডি গাগার মিট ড্রেস: এটি বিতর্কিত হলেও ফ্যাশন জগতে নতুন আলোচনা শুরু করে। যদিও এটি সরাসরি মূলধারায় যায়নি, তবে এটি অনুপ্রাণিত করেছে ‘বোল্ড ফ্যাশন’ ধারণাকে।
বিলি আইলিশের ওভারসাইজ পোশাক: এরকম স্টাইল আগে ‘ফ্যাশন ফো পা’ হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু বিলির মাধ্যমে এটি এখন জেনজিদের জন্য জনপ্রিয় ট্রেন্ড।
ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির গ্রহণযোগ্যতা
যখন ফ্যাশন ডিজাইনাররা বা বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো একটি ‘ফো পা’ স্টাইলকে তাদের ডিজাইনে অন্তর্ভুক্ত করেন, তখন সেটি বৈধতা পায়। উদাহরণ:
ক্রপড টপ: আগে এই ধরনের পোশাককে ‘অপ্রচলিত’ বা ‘অভদ্র’ হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু বিখ্যাত ব্র্যান্ড এবং ডিজাইনাররা যখন এটি ফ্যাশন শো-তে তুলে ধরেন, তখন এটি গণমাধ্যমে আলোচিত হয়ে মূলধারায় জায়গা করে নেয়।
ক্লগ বা ক্রোকস: একসময় ‘অস্বস্তিকর’ বা ‘অপ্রীতিকর’ জুতা হিসেবে পরিচিত হলেও, হাই-এন্ড ব্র্যান্ডগুলোর কারণে এখন এটি ট্রেন্ডি ফ্যাশনের অংশ।
সামাজিক পরিবর্তন ও স্বীকৃতি
সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের সঙ্গে ফ্যাশনের স্বীকৃতিও বদলে যায়। উদাহরণস্বরূপ:
অ্যান্ড্রোজিনাস ফ্যাশন: নারী ও পুরুষের পোশাকের ভেদাভেদ ঘুচিয়ে যে ফ্যাশন এসেছে, তা একসময় ব্যঙ্গাত্বক হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু এখন এটি ‘জেন্ডার নিউট্রাল ফ্যাশন’ হিসেবে স্বীকৃত। এখানে নারী বা পুরুষের জন্য নির্দিষ্ট কোনো পোশাকের ধারণা থাকে না। বরং পোশাকের ডিজাইন, রং, এবং স্টাইল এমনভাবে তৈরি হয় যে তা যে কোনো জেন্ডারের মানুষ পরিধান করতে পারেন। এটি ফ্যাশনের সেই ধারা, যা ব্যক্তিত্বের ওপর জোর দেয়, জেন্ডারের ওপর নয়।
লো রাইজ জিনস: ২০০০-এর দশকে এটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল, তবে পরে সমালোচিত হয়ে হারিয়ে যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি আবার ফিরে আসছে।
ছবি এবং তথ্যসূত্র: ইস্টারনেট

সারা লাইফস্টাইল | SaRa Lifestyle Ltd.
bdfashion archive
মাহীন খানের ‘Crafting the Many Threads of Cultural Textiles’: বাংলাদেশের ঐতিহ্যের প্রদর্শনী
bdfashion archive
রানা প্লাজা ভবন ধস এবং “Who Made My Clothes?” আন্দোলনের উত্থান
bdfashion archive
প্রাদা কিনছে ভার্সাচি: দুই আইকনের একত্রীকরণ
bdfashion archive
বিবি রাসেল: এক নারীর স্বপ্ন, একটি দেশের গর্ব
fayze hassan
বসন্ত উৎসবে রঙ বাংলাদেশ
bdfashion archive“পলাশেরও নেশা মাখি চলেছি দুজনে বাসনার রঙে মিশি শ্যামলে স্বপনেকুহু কুহু শোনা যায়, কোকিলের কুহুতান,…
আরও পড়ুন -
-
মাহীন খানের ‘Crafting the Many Threads of Cultural Textiles’: বাংলাদেশের ঐতিহ্যের প্রদর্শনী
-
রানা প্লাজা ভবন ধস এবং “Who Made My Clothes?” আন্দোলনের উত্থান
-
প্রাদা কিনছে ভার্সাচি: দুই আইকনের একত্রীকরণ
-
অ্যান্ড্রোজিনাস ফ্যাশন, যেখানে লিঙ্গ বলে কিছু নেই!
-
ব্র্যান্ডিং বনাম মার্কেটিং: সহজ কথায় পার্থক্য আর সংযোগ