আমরা বাঙ্গালিরা বরাবরই আড্ডা প্রিয় মানুষ। আর আড্ডা চলবে সাথে চা থাকবে না ! সে কি হয় । বরং আড্ডায় বসে আলাপচারিতার মাঝে কে কত কাপ চা খেল তা হিসেব করাটাই বোকামি । আড্ডা কিংবা অবসরে যেমন চা তেমনি ক্লান্তি দুর করতেও চায়ের জুড়ি নাই । আবার সকাল বেলা নাস্তার পর এক কাপ চা না হলে অনেকেরই চলে না। অলস দুপুর কিংবা বিকেলের আড্ডায় এক কাপ চা যেনো প্রাণদায়িনী!! বাংলাদেশের সেরা চা এর কথা জানা যাক ।
লোকমুখে প্রচলিত এক গল্প আছে যে
ব্রিটিশরা প্রথমে স্থানীয় মানুষদেরকে ডেকে এনে ফ্রি চা পান করাতো । একপর্যায়ে বাঙালি চা পানে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এরপর ব্রিটিশ সাহেবরা বললেন, “চা খেতে চাও? বেশ তো, কিনে খাও না!” গল্পের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয় আজ।
চা যে ভাবে আবিষ্কার হয়
এই চা পানীয়টি আকস্মিকভাবে আবিষ্কার হয়েছিলো। ২৭৩৭ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে চীনের সম্রাট শেন নাং বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তার জন্য একটি পাত্রে পানি গরম করা হচ্ছিল। তখন নিকটস্থ একটা গাছ থেকে হাওয়ায় উড়ে কিছু পাতা এসে পানিতে পড়তেই, পানির রঙ বাদামি হয়ে যায়। তিনি সেই গরম পানির কিছুটা পান করে চনমনে বোধ করেন। সেই থেকে চা পানের অভ্যাসটি ছড়িয়ে যায় পুরো চীনে, চীন থেকে গোটা বিশ্বে।
চা এর নামকরন
চা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যামেলিয়া সিনেনসিস। ইংরেজিতে চা এর প্রতিশব্দ হল টি। গ্রীক দেবী থিয়ার নামানুসারে এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল। চীনে টি এর উচ্চারণ ছিল চি। পরে হয়ে যায় চা।
চা উৎপাদনে বাংলাদেশ
লন্ডনভিত্তিক “ইন্টারন্যাশনাল টি কমিটি” প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে চা উৎপাদনে নবম স্থানে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে ৩ কোটি টাকার চা শিল্পের জন্য এটি দারুন সুখবর। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ চা চাষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড করেছে যা প্রায় ৮ কোটি ২১ হাজার কেজি। এর পুর্বে চা উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছিলো ২০১৬ সালে যার পরিমাণ ছিলো প্রায় ৮ কোটি কেজি চা। চায়ের উৎপাদনে এভাবেই ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে চা উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে চীন এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত।
চা উৎপাদনে বাংলাদেশ নবম স্থানে। বর্তমানে চা উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে চীন এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত।
বাংলাদেশে বানিজ্যিক ভাবে চা চাষ
চা বোর্ডের তথ্য অনুসারে, ১৮৫৪ সালে সিলেটে মালিনীছড়া চা-বাগানের মাধ্যমে প্রথম বানিজ্যিক ভিত্তিতে চা চাষ শুরু হয়। এটি উপমহাদেশের বৃহত্তম ও সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান।
বাংলাদেশের চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয়টি ‘চায়ের রাজ্য’ শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত৷ গবেষণার মাধ্যমে উন্নতমানের প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগের ধারাবাহিক লক্ষ্য নিয়েই ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠা হয় বাংলাদেশের চা গবেষণা ইন্সটিটিউট বিটিআরআই।
দেশ স্বাধীন হবার পুর্বে দুইটি জেলায় চা চাষ করা হতো। সিলেট জেলায় “সুরমা ভ্যালী” এবং চট্টগ্রাম জেলায় ‘হালদা ভ্যালি”। বর্তমানে সুরমা ভ্যালীকে ছয়টি ভ্যালীতে ভাগ করা হয়েছে এবং হালদা ভ্যালীর নাম পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম ভ্যালী নামকরন করা হয়েছে।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চা বাগানগুলো বিধস্ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহন করেন। চা বাগান মালিকদের ভর্তুকি মুল্যে সার সরবরাহের ব্যবস্থা করেন এবং কারখানাগুলোর পুর্নবাসনের জন্য ইন্ডাস্টিয়াল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া থেকে প্রায় ত্রিশ লক্ষাধিক ভারতীয় মুদ্রা ঋণ নিয়ে চা শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি করেন এবং ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা সংরক্ষনের অনুমতি দেন। ফলে যুদ্ধবিধস্ত চা শিল্প খাত ক্রমশ ঘুড়ে দাড়াতে শুরু করে।
বর্তমানে চা বোর্ডের নিবন্ধিত ১৬৬টি চা বাগান রয়েছে। যার মধ্যে মৌলভিবাজারে ৯১টি, হবিগঞ্জে ২৫টি,সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২টি, পঞ্চগড়ে ৭টি, রাঙামাটিতে ২টি, ও ঠাকুরগাঁয়ে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১টি করে চা বাগান রয়েছে। এসব বাগানে মোট জমির পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩৯ একর। বর্তমাণে চা বাগানে স্থায়ীভাবে কর্মরত রয়েছে প্রায় ৯০ হাজার শ্রমিক যার ৭৫% নারী শ্রমিক।
চা শিল্পের উন্নয়ন
বিটিআরআই শুরু থেকেই সীমিত সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে চা শিল্পের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে আসছে। উচ্চফলনশীল ও আকর্ষণীয় গুনগত মানসম্পন্ন ১৮টি ক্লোন উদ্ভাবন করেছে প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা। এছাড়াও চার ধরনের ব্লাই-ক্লোনাল ও এক ধরনের পলিক্লোনাল বীজ উদ্ভাবন করেছে বিটিআরআই। প্রতিষ্ঠানটি সমগ্র বাংলাদেশে চা উৎপাদনের সর্বোচ্চ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন জেলায় সমীক্ষা চালিয়েছে এবং বিভিন্ন জেলার প্রায় ১,০২,৭২ হেক্টর ক্ষদ্রায়তন চাষযোগ্য সম্ভাব্য জমি খুঁজে বের করেছে চাষের আবাদ বাড়াতে।
বাংলাদেশের সেরা দশ রকমের চা
গ্রিন টি
গ্রিন টি বলতে আমরা সবুজ রং এর চা বুঝি । কিন্তু আসলেই কি তাই! সাধারণ চায়ের ক্ষেত্রে অনেক প্রক্রিয়াজাত মাধ্যমে চাএর দানাদার আকার দেওয়া হয় যা আমরা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করি । তবে গ্রিন টির ক্ষেত্রে দানাদার করার জন্য প্রক্রিয়ায় যেতে হয় না । এটি প্রক্রিয়াজাতকরণের ধরন সাধারণ চায়ের চেয়ে থেকে আলাদা। অনেক ক্ষেত্রে ছোট ছোট আস্ত পাতা, ডাল থেকে যায়।
এটিতে ফ্লেভোনয়েড নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। যার কারণে শরীর সতেজ থাকে। এই চায়ে কেটেচিন নামের একটি উপাদান থাকে, যার কারনে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে থিয়ানিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। যার কারনে এটি ডিপ্রেশন কমাতেও কার্যকরী। এর ভিতর থাকা কেটাচিন পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। ক্যাটেকাইন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাঁত ভাল রাখতে সহায়তা করে। মুখের ভিতর ব্যাকটেরিয়া রোধ করে।
কয়েক বছর ধরে দেশে সবুজ চায়ের ব্যবহার বাড়ছে। বছরে এ বৃদ্ধির হার প্রায় ১৫ শতাংশ। অথচ সাধারণ চায়ের চাহিদা বৃদ্ধির হার কমবেশি ৫ শতাংশ।
ব্ল্যাক টি
কালো চা, লাল চা বা ব্ল্যাক টি যে নামই ডাকেন না কেন,এই চা শরীরের জন্য অনেক উপকারি। গরম জল দিয়ে তৈরি হয় এই ব্ল্যাক টি। বাঙ্গালির ঘরে অতিথি আপ্যায়নের এই রঙ চা-ই বেশি পরিমানে পরিবেশণ করা হয়ে থাকে। এই লাল চা শরীর আর্দ্র রাখে, হাড় সতেজ রাখে, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করে। এই চায়ে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এক গবেষণায় তথ্য মনে,ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায় এই রঙ চা।
সাদা চা
সাদা চা উৎপন্ন হয় এক ধরনের গাঁজন প্রক্রিয়া থেকে যা প্রথম চীন দেশে উৎপন্ন হয়েছিলো। এটি পূর্ব নেপাল, তাইওয়ান, উত্তর থাইল্যান্ড, গল (দক্ষিণ শ্রীলংকা) এবং ভারতে উৎপাদন করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও এর উৎপাদন শুরু হয়েছে। সাদা চা নামে হলেও এর রঙ কিন্তু সাদা নয়। ক্যামেলিয়া সাইনেসিস গাছ থেকে এক ধরনের পানীয় বা রস পাওয়া যায় যার রঙ ফ্যাকাশে হলদেটে, স্বাদ হাল্কা। কালো এবং সবুজ চা এর মতো সাদা চা-ও ক্যামেলিয়া সাইনেসিস গাছ থেকে আরোহণ করা হয়। হোয়াইট-টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা তারুণ্য বজায় রাখে, মনকে চনমনে রাখে। এটি ফ্যাট বা চর্বি কমায়।
ওলোং চা
‘ওলোং’ কথাটির অর্থ হচ্ছে কালো ড্রাগন, যার কারণে এর আরেক নাম কালোনাগ চা। এটি ক্যামেলিয়া ফুল গাছের পাতা, কুঁড়ি ও ডালপালা থেকে তৈরি বিশেষ ধরনের চা। এটি চিন্তা, দক্ষতা, মানসিক উন্নতিতে ব্যবহার করা হয়। এটি ক্যন্সার, দাঁতের ক্ষয়, অষ্টিওপরোসিস রোগ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধেরও ব্যবহার করা হয়।
পুয়ের চা
এই চা -তে ভিটামিন,ট্যানিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোটিন রয়েছে। পুয়ের চা ক্যামেলিয়া সিনেনসিস গাছের পাতা এবং কান্ড থেকে তৈরি করা হয়। এটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই চা পাতা প্রথম চীনের ইউনান প্রদেশে উৎপাদন করা হয়েছিল। পুয়ের চা মানসিক বিকাশে এবং তীক্ষ্ণ চিন্তাভাবনার উন্নতির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি উচ্চ কোলেস্টেরল, স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের জন্যও ব্যবহৃত হয় । মেদ কমাতেও এই পুয়ের চা কার্যকরি।
অর্থডক্স চা
এই চা ব্ল্যাক টি থেকেও অনেক উন্নত। এই চায়ের সতেজ ঘ্রান আপনার মনকে সতেজ করে তুলবে। চায়ের সংক্ষিপ্ত নাম ‘অপি টিজি’। ইংরেজি করলে হয়- অরেঞ্জ পিকো টি-গোল্ড। এই অর্থডক্স চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলিকে নিরাময়ে সাহায্য করে যা আমাদের দেখতে এবং ভাল অনুভব করতে সাহায্য করে। এই পাতার চা শরীরের উপর একটি শান্ত প্রভাব ফেলে এবং বিশেষ করে মানসিক স্বচ্ছতা বাড়াতে সাহায্য করে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই চা খাঁটি স্বাদ ধরে রাখে এবং তুলনামূলকভাবে স্বাদ ও রঙে বেশি সমৃদ্ধ।
সাত রং চা
সাত রং চায়ের স্বাদ নিতে আপনাকে সিলেটে যেতে হবে। চায়ের এই স্বাদ নিতে চা প্রেমীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সিলেটে ছুটে আসেন। শরবত-মিষ্টি স্বাদ থেকে শুরু করে ঝাঁঝালো লবঙ্গ সহ প্রতিটা স্তরের আলাদা আলাদা স্বাদ রয়েছে এবং বর্ণের দিক থেকে রংধনুর মতো বর্ণীল। সাত রং চায়ের উপরের স্তরটি দারুচিনি স্বাদের হয়ে থাকে; যেখানে এর নিচের স্তরটি লেবু স্বাদ প্রদান করে। চতুর্থ স্তরে ঘনীভূত দুধের সাথে কালো চা থাকে, যখন নিচের স্তরগুলোতে মিষ্টি, লবঙ্গ সহ সবুজ চা, দারুচিনি এবং গোপন মশলা থাকে।
মটকা চা
এর উতপত্তিস্থল ভারতেও হলেও বাংলাদেশে এই চা অনেক জনপ্রিয়। এই চা -কে অনেকে তন্দুরি চা বলে থাকে ।
মটকা চায়ের রেসিপি
গরুর দুধ (ঘন), বিশেষ (স্পেশাল) চা–পাতা, এলাচিসহ, চিনি পাঁচ ধরনের মসলা দিয়ে চা বানানো হয়। এই চা তৈরি করে তামার পাত্রে নিয়ে তাতে জ্বলন্ত মটকা রাখা হয়। মটকার তাপে চা ফুটে ধোঁয়াটে স্বাদ যোগ করে। চায়ের স্বাদ বাড়াতে শেষে দুধের সর যোগ করা হয়। মাটির গ্লাসে ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক দিতেই মেলে ‘পোড়া’স্বাদ, মুহূর্তেই মুগ্ধতা।
গোল্ডেন বেঙ্গল টি
এই বিশেষ চা স্বচ্ছ চায়ের কাপে ঢালার পর সোনালি আভা দেখা যায়। যাতে ভাসে সোনার প্রলেপ। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই চায়ের উৎস সিলেটে। আর এই চায়ের দাম পড়বে কেজি প্রতি বাংলাদেশি টাকায় ১৬ কোটি টাকা। ‘ব্ল্যাক টি’ চা গাছের কচি সোনালি পাতা সংগ্রহ করে বিশেষভাবে গান মেটালের মাধ্যমে তাপ দেয়া হয়। তারপর, সেখান থেকে পাতা থেকে ঘাম বের হয়। সেটি আবার শুকানো হলে সেই পাতা সোনালি বর্ণের হয়ে ওঠে। সেই পাতা থেকে যে চা তৈরি হয়, সেটির রঙ সোনালি হয়ে থাকে।
অপরাজিতা চা
ব্ল্যাক টি চায়ের তুলনায় অপরাজিতা চায়ের ভেষজ গুণ অনেক বেশি। এই চা রোগপ্রতিরোধ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এ চা বিশেষ উপকারী।
এছাড়াও আরো অনেক রকমের চা
তুলসী ও মধুর চা
এই চা আপনাকে আরও রিফ্রেশ করে তুলবে। শরীরের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে।
কালিজিরা ও গোলমরিচের চা
এই চা আপনাকে শরীরে মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
মাল্টা ও মরিচের চা
এই চা আপনার মনকে চনমনে করে তুলবে।
লবঙ্গ চা
এই চা আপনাকে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করবে।
হলুদ চা
হলুদ-আদা চায়ের পুষ্টিগুণ: হলুদ-আদা চা পান করলে প্রচুর উপকার মেলে। তার কারণ, এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এছাড়াও রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার এবং জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থ।
সাতকড়া চা
সাতকড়া বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের জনপ্রিয় লেবুজাতীয় ফল। এই চা আপনাকে রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
লেমন টী
এই চায়ে লেবুর রস মেশানো হয়। এই চা হৃদপিণ্ডের রক্তনালী প্রসারনে সহায়তা করে। এছাড়া আরও রয়েছে, পুদিনা চা, ত্রিফলা চা, আদা চা, অ্যালোভেরা চা,বাসক চা, কমলা চা।
চা পানে উপকারিতা
দিন দিন আমাদের নাগরিক সমাজে চায়ের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এর সাথে তাল মিলিয়ে চায়ের উৎপাদন বেড়ে চলছে। চা ত্বক পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। হৃদরোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে। চা নিয়মিত পান করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। এর পাশাপাশি দাঁতের ক্ষয়, মাড়ি মজবুত করতে চায়ের ভুমিকা অনস্বীকার্য।
-কন্ট্রিবিউটর | Partho Pratim Mazumder
তথ্যসূত্র :
চা উৎপাদনে বিশ্বে নবম বাংলাদেশ
আরও পড়ুন :
মুঘলদের রত্ন ভান্ডার চতুর্থ খন্ড
মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা হয় ১৫২৬ সালে প্রথম পানিপথ-এর যুদ্ধের মাধ্যমে। বাবর ইব্রাহিম লোদিকে…
মুঘলদের রত্ন ভান্ডার তৃতীয় খন্ড
মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা হয় ১৫২৬ সালে প্রথম পানিপথ-এর যুদ্ধের মাধ্যমে। বাবর ইব্রাহিম লোদিকে…
মুঘলদের রত্ন ভান্ডার দ্বীতিয় খন্ড
মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা হয় ১৫২৬ সালে প্রথম পানিপথ-এর যুদ্ধের মাধ্যমে। বাবর ইব্রাহিম লোদিকে…