HAPPY FATHERS DAY বাবা দিবস x bfa x fxyz

ত্যাগ ও ভালোবাসার গল্প: বাবা দিবসের অনুপ্রেরণা

তিনি আমাদের জীবনের প্রথম সুপারহিরো, প্রথম শিক্ষক এবং প্রথম আশ্রয়।

বাবা দিবসে জেমসের সেই গানটির কথা মনে পড়ে:

নিজ হাতে খেতে পারতাম না,
বাবা বলত ও খোকা যখন আমি থাকবনা,
কি করবি রে বোকা…

বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা তোমার মত
কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়
বাবা কতরাত কতরাত দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়॥

এই গান বাবার অবর্তমানে সেই অসহায়ত্ব বারবার মনে করিয়ে দেয়। বাবার ছায়া ছাড়া জীবনের হাহাকার যেন গানের প্রতিটি লাইনে স্পষ্ট। বাবার প্রতি ভালোবাসা দেখানোর জন্য বিশেষ দিনের প্রয়োজন নেই। তবে বাবা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা যেন ব্যস্ত জীবনে তাদের অবদান ভুলে না যাই। বাবার শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। বাবারা আছেন বলেই জীবন এত সুন্দর।

জুনের তৃতীয় রবিবার, এ বছর ১৫ জুন ২০২৫, বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হবে বাবা দিবস। এই দিনে আমরা বাবাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। বাবার ভূমিকা নিছক আর্থিক যোগানদাতা নয়, বরং তিনি আমাদের জীবনের প্রথম সুপারহিরো, প্রথম শিক্ষক এবং প্রথম আশ্রয়।

বাবা দিবস আমাদের বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করার দিন। তবে এটি শুধু একটি দিনের নয়, প্রতিটি মুহূর্তেই বাবার ত্যাগ এবং স্নেহকে সম্মান জানানো উচিত। বাবার সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই আমাদের জীবনের সেরা স্মৃতি হয়ে ওঠে। তাই, পিতৃ দিবসের এই উপলক্ষ্যে, আমরা যেন আমাদের পিতার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে কখনো কার্পণ্য না করি।

History of Father’s Day

বাবা দিবসের সূচনা: এক ইতিহাসের গল্প


বাবা দিবস উদযাপনের সূচনা ঘটে ১৯১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে। সোনোরা স্মার্ট ডড নামের এক মহিলার উদ্যোগেই এটি প্রথম পালন করা হয়। তার বাবা, উইলিয়াম স্মার্ট, ছিলেন একজন সিভিল ওয়ারের সৈনিক, যিনি তার স্ত্রীর মৃত্যুতে একাই ছয়টি সন্তানকে লালন-পালন করেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই সোনোরা একটি দিবস প্রস্তাব করেন, যা প্রথমবার উদযাপিত হয় ১৯১০ সালের ১৯ জুন।

এরপর এই দিবসটি ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এবং পরে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯৭২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন পিতৃ দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করেন, যা এই দিনটির গুরুত্বকে আরও বৃদ্ধি করে।

সোনোরা স্মার্ট ডডের বাবার গল্প যেমন একক সংগ্রামের উদাহরণ, তেমনই আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বাবার ত্যাগ এবং অবদান অনস্বীকার্য।

পিতৃত্ব: ইসলামের দৃষ্টিকোণ

ইসলাম ধর্মে পিতৃত্ব একটি মহান দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত। পিতা কেবল পরিবারের উপার্জনকারী নন, বরং সন্তানের ঈমান, নৈতিকতা ও চারিত্রিক গঠনের মূল পথপ্রদর্শক। কুরআনে এবং হাদিসে পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব এবং সন্তানের প্রতি পিতার কর্তব্য বারবার উল্লেখ করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা পিতামাতার প্রতি উত্তম আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন:

“তোমার প্রভু আদেশ করেছেন, তাঁকে ছাড়া কাউকে উপাসনা করো না এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো।”
— (সূরা বনী ইসরাঈল: ২৩)

একজন পিতা সন্তানের জন্য প্রথম আদর্শ। তার সুশিক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধই সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। ইসলামে পিতাকে শ্রদ্ধা করা এবং তার আদেশ মান্য করা সন্তানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের অংশ।

Celebrate him with the perfect gift from Aarong. click on picture for shop online @ Aarong

বাবা দিবস উদযাপনের উপায়

– বাবার সঙ্গে সময় কাটান এবং তাকে ভালোবাসার কথা জানান।

– একটি চিঠি লিখে তার প্রতি আপনার অনুভূতি প্রকাশ করুন।

– একটি ছোট উপহার দিয়ে তার মুখে হাসি আনুন।

– পিতার প্রতি দোয়া করুন এবং তার সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনের জন্য প্রার্থনা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Instagram did not return a 200.
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Your share and comment are an inspiration to us

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!