সুশান্ত কুমার পালের সংগ্রামের গল্প
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শখের হাঁড়ি তৈরি হলেও রাজশাহীর বাঁয়া, বসন্তপুর এবং নবাবগঞ্জের বারোঘরিয়া শখের হাঁড়ির জন্য বিখ্যাত। নাটোরের বাঙালপাড়া ও পাইনবাবগঞ্জের বারঘরিয়া এই শিল্পের পুরনো কেন্দ্র। কিন্তু আজ এসব জায়গায় শখের হাঁড়ি তৈরির ঐতিহ্য টিকে আছে কেবল হাতে গোনা কয়েকটি পরিবারের মাধ্যমে।
রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বসন্তপুর গ্রামের মাত্র একটি পরিবার এখন শখের হাঁড়ি তৈরির সঙ্গে যুক্ত। এই পরিবারের প্রধান সুশান্ত কুমার পাল। এই একটি পরিবারই এখন রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী শিল্প শখের হাঁড়িকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এবং নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহন করে এই ঐতিহ্য কে সবার কাছে পৌছে দিতে। মাটির গুণমান থেকে শুরু করে রঙের মিশ্রণ এবং নকশার দক্ষতায় তারা প্রাচীন ঘরানার শখের হাঁড়িকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন। তাদের শ্রম ও ভালোবাসা এই শিল্পকে এখনও জীবন্ত রেখেছে।
এক জয়নুল মেলায় দেখা তার সাথে। তিনি বলেন- তার পূর্বপুরুষেরা কেবল হাঁড়ি বানাতেন না; তারা এতে ভালোবাসা ও সংস্কৃতির ছাপ রেখে যেতেন। মাটি জোগাড় থেকে শুরু করে নকশা আঁকা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে ছিল তাদের যত্ন। “আমার দাদু বলতেন, মাটি ঠিক হলে হাঁড়ি সুন্দর হবে। আর হাঁড়ি সুন্দর হলে মানুষের মন ভরবে।” —সুশান্ত কুমার পালের কথাগুলো এখনো তার কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিধ্বনিত হয়।
আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া লিংক

আড়াই হাত থেকে বারো হাত: গামছা -র ফ্যাশন বিবর্তন
fayze hassan
হোগলাপাতা: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও পরিবেশবান্ধব শিল্প
fayze hassan
নারিকেলের মালা: বর্জ্য থেকে বর্তমানের গল্প
fayze hassan
নকশী পিঠা এক প্রকার লোকশিল্প
fayze hassan
নকশি পাখা: বাতাসে লুকানো ঐতিহ্যের গল্প
fayze hassan