প্রকৃতিকে ভালোবাসে বলেই মানুষ প্রকৃতির সংস্পর্শে আসতে চায়। প্রকৃতিও তার সৌন্দর্যের অপরূপ ভাণ্ডার মেলে ধরে কাছে টানে। এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই ব দ্বীপে পরিচিত অপরিচিত দর্শনীয় স্থানের অভাব নেই। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলা নিকেতন । এদেশে রয়েছে পাহাড়, সাগর, মাঠ, বিশাল নীল আকাশ– যা এক অপূর্ব সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে। পাহাড়, জলপ্রপাত, বনভূমি, নদী এদেশকে করে তুলেছে অপূর্ব রূপময়। বিশাল সৌন্দর্য ভান্ডার থেকে বাংলাদেশের জাফলং | JAFLONG সম্পর্কে জানা যাক ।
জাফলং | JAFLONG
প্রকৃতি কন্যা হিসাবে সারাদেশে এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং । বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটনস্থল হিসেবে পরিচিত। খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই জাফলং-এর প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য আপনাকে বুদ করে রাখবে । সিলেট ভ্রমণে এসে জাফলং না গেলে ভ্রমণই যেন অপূর্ণ থেকে যায়। জাফলংয়ে শীত ও বর্ষা মওসুমের দুই ধরনের সৌন্দর্য রূপ দেখতে পাওয়া যায়। বর্ষায় জাফলং এর রূপ লাবণ্য যেন ভিন্ন মাত্রায় ফুটে ওঠে। মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের ফলে ভারত সীমান্তে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদীর স্রোত বেড়ে গেলে নদী ফিরে পায় তার প্রাণ, আর হয়ে ওঠে আরো মনোরম। ডাওকি নদীর পানির স্বচ্ছতাও জাফলং-এর অন্যতম আকর্ষণ।
তবে ডাউকি পাহার থেকে কল কল ধ্বনিতে নেমে আসা ঝর্না গুলো যেমন আপনাকে বিমোহিত করবে একই সাথে মন খারাপও করে দিবে।
ঐতিহাসিকদের মতে বহু হাজার বছর ধরে জাফলং ছিল খাসিয়া জৈন্তা-রাজার অধীনে থাকা এক নির্জন বনভূমি৷ ১৯৫৪ খ্রীস্টাব্দে জমিদারী প্রথার বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে খাসিয়া-জৈন্তা রাজ্যের অবসান ঘটলেও বেশ কয়েক বছর জাফলং এর বিস্তীর্ণ এলাকা পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরেছিল৷ পরবর্তীতে ব্যবসায়ীরা পাথরের সন্ধানে বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌপথে জাফলং আসতে শুরু করেন৷ আর পাথর ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকলে একসময় গড়ে ওঠে নতুন জনবসতি ৷

জাফলংয়ে ঘোরাঘুরি | পর্যটন স্পট
- ভারতের ডাউকি বন্দরের ঝুলন্ত সেতু
- ডাউকি নদী
- খাসিয়াচুঞ্জি
- সংগ্রামপুঞ্জি চা বাগান
- জৈন্তাপুর
- তামাবিল
- লালাখাল ( জাফলং থেকে একটু দুরে )
জাফলং কিভাবে যাবো
দেশের নানা প্রান্ত থেকে নানার উপায় (বাস, ট্রেন এবং আকাশপথে ) আসা যায় চায়ের দেশ সিলেটে । সিলেট শহর থেকে বাস, প্রাইভেট কার, সিএনজি বা লেগুনায় করে যাওয়া যায় জাফলং। এছাড়া শিবগঞ্জ থেকে জাফলং এর উদ্দ্যশ্যে বাস ছাড়ে ।
সোর্স-
জাতীয় পত্রিকা










