একতারা লোকবাদ্যযন্ত্রটি তৈরি করতে শুকনো লাউ বা বেল বা নারকেলের খোলের তৈরি গোল পেটি (যাকে স্থানীয় ভাষায় “বস / বেইজ” বলা হয়), একটি বিশেষ মোটা সরু বাঁশ, পশুর চামড়া, আর একটা মাত্র তার। সাধারণত ৩ ফুট লম্বা মোটা বাঁশের এক প্রান্তে গিঁট রেখে অন্য প্রান্ত দু’ফালি করে কাঁটা হয়, যাকে চিমটা আকৃতি দেওয়া হয়; সেই দুটি ফালি বাঁশ পেটির দুই পাশে শক্ত করে বাঁধা হয়। পেটির সামনের মুখটা চামড়া দিয়ে মুড়ে মজবুত ঝিল্লি বানানো হয়, তারপর তারের এক প্রান্ত চামড়ার নিচে বা ওপরে বিশেষ করে আটকিয়ে তারটি বাঁশের মাথায় লাগানো কাঠের কানায় গিয়ে বাঁধা হয়। এই কাঠের পেগ বা “কান” ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তারটাকে টান বা ঢিলা করে সুর ঠিক করা যায়। মাত্র একটি তার থাকে বলে এই বাদ্যযন্ত্রের নাম হয়েছে ‘একতারা’। হাতের তর্জনী দিয়ে সেই তার টিপে টিপেই বাজানো হয় একতারা। এক হাতে বাঁশের ফালি ধরা আর অন্য হাতের আঙুলের ঝঙ্কারে একতারায় উঠে মাদকীয় সুর, যে সুর বাউলের কানে মুখে লেগে থাকে সর্বক্ষণ।
ছবিটি সংগৃহীত

তথ্যসূত্র: এই নিবন্ধের তথ্যাবলী বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধ, পত্রিকা প্রতিবেদন ও বিশ্বকোষ থেকে সংগৃহীত ও যাচাই করা হয়েছে। বিশেষত উইকিপিডিয়া (bn.wikipedia.org), প্রথম আলো (prothomalo.com), দ্য ডেইলি স্টার (thedailystar.net), দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (tbsnews.net) সহ দেশি-বিদেশি উৎস থেকে একতারা শিল্প, লালন ও বাউল সংস্কৃতি, এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র সংক্রান্ত ঐতিহাসিক তথ্য নেওয়া হয়েছে।
ছেউড়িয়ার লালন আখড়া ও গ্রামীণ কারিগরদের জীবনধারা সম্পর্কিত তথ্য স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন ও কারুশিল্পভিত্তিক রিসোর্স থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও একতারা নির্মাণ-প্রক্রিয়া, সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট এবং কারুশিল্প হিসেবে এর গুরুত্ব তুলে ধরতে বিভিন্ন আঞ্চলিক সাংবাদিকদের লেখা ফিচার ও অনলাইন আর্কাইভ ব্যবহার করা হয়েছে।
আপনার একটি শেয়ার এবং মন্তব্য আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা ❤️

বাংলাদেশের লোকশিল্প ও কারুশিল্প: এক নজরে
fayze hassan
লালনের ছেউড়িয়া থেকে গ্রামবাংলার মেলা—বাংলাদেশের একতারা শিল্প
fayze hassan
পাটশিল্পের পুনর্জাগরণ: গ্রামীণ কারুশিল্প থেকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং
fayze hassan
বাংলাদেশের পাটশিল্প: ঐতিহ্য, বর্তমান অবস্থা ও সোনালি আঁশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
bdfashion archive
রাজশাহী সিল্ক: প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে আসা ঐতিহ্য
fayze hassan



