আড়াই হাত থেকে বারো হাত: গামছা -র ফ্যাশন বিবর্তন

” শিবরাম হেসে বললেন, `বাপ্ তুললেন, বংশ তুললেন, তাতেও হল না শেষে গামছা তুলে অপমান করলেন’?” এই হাসির মধ্যে লুকিয়ে আছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির একটা দ্বন্দ্ব।

‘ গামছা -ও একটা কাপড় আর ভায়রাও একটা কুটুম’

গামছার নাম শুনলেই অনেকের মনে আসে তাচ্ছিল্যের ভাব। যেন এ এক অতি সাধারণ বস্তু, যার আলাদা করে কোনো মর্যাদা নেই। কিন্তু গভীরভাবে ভাবলে বোঝা যায়, গামছা কেবল একটি কাপড় নয়; এটি বাঙালির জীবনের অঙ্গ। ঠিক যেমন পরিবারের কোনো আত্মীয়—ভায়রা—সম্পর্কে উপেক্ষিত হয়, তেমনই গামছা, তার বহুমুখী ব্যবহার সত্ত্বেও, আমাদের পোশাক সংস্কৃতিতে তাচ্ছিল্যের একটি জায়গায় থেকে গেছে। অথচ এই গামছার টানা-পোড়েনে বোনা রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, এবং আবেগ।

গামছার শিকড়:
কোথা থেকে শুরু?

কোন একটি এলাকার পোশাক তার আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। কোন কিছুর আদি ও অকৃত্তিমতাকে খুঁজতে গেলে তার স্থানিক ইতিহাসটা জানা জরুরি। এই বাংলায় আবহাওয়া গরম ও উষ্ণ। তাই এই এলাকার মানুষের পোশাক ছিল হালকা সুতিবস্ত্র। গামছার জন্ম বাংলার গরম ও উষ্ণ আবহাওয়ার সঙ্গে জড়িত। এই জলবায়ুতে মানুষের প্রয়োজন ছিল হালকা, আরামদায়ক সুতিবস্ত্র। তাই গ্রামীণ তাঁতিদের হাতে তৈরি হলো ‘গামছা’ যা বয়নের পর তার আর ব্যবহার উপযোগী হয়ে ওঠতে কোন প্রকার প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই।—কোনো সেলাই বা কাটছাঁট ছাড়াই ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। ৫ থেকে ৬ গজ লম্বা আর ৪.৩ থেকে ১.৫ গজ চওড়া এই বস্ত্রে রঙের ছড়াছড়ি—লাল, নীল, হলুদ, সবুজ আর চেকের নকশা। এর সৌন্দর্য এমন যে, নারী-পুরুষ, আবাল-বৃদ্ধ সবাই এটি ব্যবহার করতে পারে। এমন উদার ও গণতান্ত্রিক বস্ত্র দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

বলা হয় ‘গা-মোছা’ থেকে কালক্রমে ‘গামছা’ শব্দে পরিণত হয়েছে। ঢাকাই মসলিন গ্রন্থে আবদুল করিম লিখেছেন, হাত-মুখ-শরীর মোছার জন্যই এর শুরু, আজকের তোয়ালের মতো। কিন্তু গামছা কখনো একটি কাজে সীমাবদ্ধ থাকেনি। গোসলের পর গা মোছা, ঘাম ঝরানো, রোদ থেকে মাথা ঢাকা, হাওয়া করা, এমনকি পথে গাছের ছায়ায় বিছিয়ে বিশ্রাম—এর ব্যবহার অগুনতি। তবু এই বহুমুখী বস্ত্রটিকে আমরা ‘কাপড়’ বলতে যেন ইতস্তত করি।

গামছার ইতিহাস কতটা পুরোনো, তার সঠিক দিন-তারিখ জানা নেই। তবে ধরে নেওয়া যায়, বাংলার বস্ত্র ঐতিহ্য যতটা প্রাচীন, গামছাও ততটাই। সেকালে একে ‘শাঙালি’ বলা হতো। অঞ্চল, জাতি ভেদে গামছার নামেও আছে ভিন্নতা।—গামোছা, আঙ্গছা, গাত্রমুঞ্চন, গাত্রমার্জনী, কাছলা, খাড়ু গামছা, তঙ্গালী, সেঁওয়ালি,উড়ান গামছা, সামষলী গামছা। কিন্তু যাঁরা এটি বোনেন, সেই তাঁতিরা সমাজে মর্যাদায় নিচে থাকেন। তাঁদের শিল্প প্রশংসা পায় না, যদিও গামছা ছাড়া আমাদের জীবন অচল। শাড়ি, ধুতি বা লুঙ্গির তুলনায় গামছা আকারে ছোট, যেন এক টুকরো কাপড়। তবু এর ব্যবহারিকতা অতুলনীয়। বাঙালি ছাড়াও মণিপুরি, সাঁওতাল, চাকমা, গারো জনগোষ্ঠী তাদের দক্ষতা ও কল্পনা দিয়ে গামছা বুনেছে। এর সুতোয় জড়িয়ে আছে সহস্র বছরের আবেগ, স্মৃতি আর জ্ঞানের পরম্পরা। এটি কেবল বস্ত্র নয়, মমতা ও ভালোবাসার একটি স্মারক।

ঝালকাঠির গামছা বা গনি মিয়ার গামছা x bfa x bipul hossain (1)

গামছার তাচ্ছিল্যের অবসান কোথায়?

তবু গামছার প্রতি আমাদের অবহেলা কম নয়। উপহারের তালিকায় এর নাম ওঠে না, আলনায় পড়ে থাকে অনাদরে। শিবরাম চক্রবর্তীর গল্প মনে পড়ে—সাহিত্যিক শিবরাম চক্রবর্তী নাকি একবার গামছা পরে জল তুলছিলেন, এক ভদ্রমহিলা তাচ্ছিল্য করে বললেন, ‘আপনি এত বড় বংশের ছেলে, আপনার বাবা এত বড় লোক, আপনি কিনা একটা গামছা পরে এভাবে জল তুলছেন? ” শিবরাম হেসে বললেন, `বাপ্ তুললেন, বংশ তুললেন, তাতেও হল না শেষে গামছা তুলে অপমান করলেন’?” এই হাসির মধ্যে লুকিয়ে আছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির একটা দ্বন্দ্ব।

জীবনের প্রতিটি পরতে ‘গামছা’

গোসল করতে গামছা, গা মুছতে গামছা, তিন বেলা খেয়ে হাত মুখ ধুয়ে মুছতে গামছা, গরমে হাতপাখাটা কাছে নেই, একটু গা টা জুড়িয়ে নিতে হাওয়া করতে গামছা,ঘামে গা ভিজে গেছে, গায়ের জামা খুলেই গা টা মুছতে হবে, চাই গামছা, গায়ে এসে বসছে মশা মাছি, ঘরে লোডশেডিং, গামছা-টা কোথায় মুখ থেকে এই কথাটাই বেরিয়েই আসে সহজে। গামছার হাওয়া দিয়েই মশা মাছির সাথে লড়াই, কোথাও বেড়াতে যেতে হলে খোঁজ গামছাটা নেয়া হয়েছে তো ব্যাগে? পথচলতি ক্লান্ত মানুষটি তাঁর নিত্যসঙ্গী গামছাটি পেতেই গাছের ছায়ায় শুয়ে একটু বিশ্রাম করে নেন। রোদ থেকে বাঁচতেও মাথায় গামছার আড়াল নেওয়া হয়। ছানা বানাতে পানি ঝরানো থেকে জিনিসপত্র বা খাদ্যসামগ্রী বেঁধে নিয়ে যাওয়া, বিবাহ অনুষ্ঠান বা দেবতার পুজো, গামছা লাগে সর্বত্র।

ঝালকাঠির গামছা বা গনি মিয়ার গামছা x bfa x bipul hossain (40) web

যেভাবে তৈরি হয় ‘গামছা’

গামছা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয় বাজার থেকে সুতা কেনার মাধ্যমে। তাঁতিরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী সুতা বেছে নেন, যেমন ৪০ কাউন্ট বা ২০ কাউন্ট। ‘কাউন্ট’ বলতে সুতার চিকন বা মোটা হওয়ার পরিমাপ বোঝায়—কাউন্ট যত বেশি, সুতা তত চিকন। গামছার জন্য সাধারণত ৬৪ কাউন্টের সুতা ব্যবহার হয়। কেনা সুতা গামছার ডিজাইন অনুযায়ী রঙ করা হয়, তারপর রোদে শুকিয়ে হাতের চড়কা বা মেশিনে পল্লা তৈরি করা হয়।

গামছার মতো একটি সাধারণ বস্ত্র কীভাবে ফ্যাশনের জগতে পা রাখল, তা বোঝা জরুরি। এই সুতির কাপড়, যা পরতে আরামদায়ক, টেকসই আর গরমে স্বাচ্ছন্দ্য দেয়, সব সময়ই মানুষের পছন্দের তালিকায় ছিল। রঙিন আর বর্ণিল হওয়ায় এটি শুধু দৈনন্দিন কাজে নয়, ফ্যাশনের দুনিয়াতেও জায়গা করে নিয়েছে। আর এই যাত্রার পথিকৃৎ বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল।

বিবি রাসেল প্রথম গামছাকে বিশ্বদরবারে পোশাক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁর হাত ধরেই এই গ্রামীণ বস্ত্র ফ্যাশনের আন্তর্জাতিক মঞ্চে উঠে আসে। তাঁর পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস গামছাকে তাদের কালেকশনে প্রাধান্য দিতে শুরু করে। আজ ফ্যাশন হাউসে গেলেই গামছার কাপড়ের বিচরণ চোখে পড়ে—শাড়ি থেকে কুর্তি, পাঞ্জাবি থেকে ব্যাগ, সবখানেই এর উপস্থিতি।

গামছা-এখন বারো হাতের শাড়িতে রূপ নিচ্ছে। নজরকাড়া নকশায় তৈরি এই শাড়ি ছাড়াও কুর্তি, ফতুয়া, ব্লাউজ, ওড়না, পাঞ্জাবি আর কটিতে গামছার ছোঁয়া দেখা যায়। শুধু তাই নয়, গামছা দিয়ে তৈরি হচ্ছে ব্যাগ, জুতা, এমনকি হাতে তৈরি গয়না—মালা, চুড়ি, কানের দুল। টুকরো গামছা দিয়ে ওয়েস্টার্ন পোশাকও বানানো হচ্ছে—স্কার্ট, শার্ট, জিন্সে গামছার কাপড় জুড়ে দেশীয় ঐতিহ্যের ফিউশন আনা হচ্ছে।

গামছা-শুধু পোশাকেই সীমাবদ্ধ নেই, ঘর সাজাতেও এর ব্যবহার বাড়ছে। পর্দা, প্লেসমেট, ডাইনিং টেবিলের রানার, টিস্যু বক্স, ল্যাম্পশেড, কুশন কভার, শতরঞ্জি—সবকিছুতেই গামছার নরম, পাতলা আর পানি শোষণকারী কাপড় ব্যবহৃত হচ্ছে। ফ্যাশন হাউস ‘যাত্রা’ বা মোহাম্মদপুরের ‘হ্যান্ড টাচ’-এ গামছা দিয়ে তৈরি ল্যাপটপ ব্যাগ, ঝোলা, জুয়েলারি বক্স, নোটবুকের মতো নান্দনিক জিনিস পাওয়া যায়।

আড়াই হাতের গামছা থেকে শুরু করে এখন বারো হাতের শাড়ি, র‍্যাপ স্কার্ট, টুপি, পানির বোতলের ব্যাগ, মোবাইল ব্যাগ—গামছার বিবর্তন চোখে পড়ার মতো। গোসলখানার এই বস্ত্র বৈশাখ, ফাল্গুন বা গায়েহলুদের মতো অনুষ্ঠানে শাড়ি হয়ে জনপ্রিয় হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সুতির পাশাপাশি সিল্ক, হাফসিল্ক শাড়িতেও গামছার চেক নকশা দেখা যায়, তবে তাঁতের শাড়িতে এর প্রভাব বেশি।

বিবি রাসেল
বিবি রাসেল
bangladeshi-fashion-designer-bibi-russell fashion show

আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘গামছা’

বিবি রাসেলের উদ্যোগে গামছা আজ ফ্যাশনের একটি শক্তিশালী প্রতীক। এর আরাম, স্থায়িত্ব আর বৈচিত্র্যময় ব্যবহার এটিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে জনপ্রিয় করেছে। গামছা এখন শুধু বাংলাদেশের ঐতিহ্য নয়, ফ্যাশনের একটি নতুন ভাষা।

ফ্যাশন হাউজ যাত্রা বিরতীতে ‘গামছা’ দিয়ে সৃজনশীল ডেকরেশন গামছার এক নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। গামছার রঙিন চেক নকশা এবং বৈচিত্র্যময় টেক্সচারকে শিল্পময়ভাবে ব্যবহার করে তারা একটি গ্রামীণ কিন্তু আধুনিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই উদ্যোগ শুধুমাত্র সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেনি, বরং আমাদের ঐতিহ্যকে নতুনভাবে তুলে ধরার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

ঝালকাঠির গনি মিঞার গামছা

ঝালকাঠির বাসন্ডা নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত বাসন্ডা গ্রাম, যাকে একসময় পশ্চিম ঝালকাঠি বলা হতো। প্রায় এক শতাব্দী আগে এই গ্রামে ছিল প্রায় ২০০ তাঁতি পরিবার, যারা হস্তচালিত তাঁতে রঙিন সুতায় শাড়ি, লুঙ্গি আর গামছা বুনত। এর মধ্যে গনি মিঞার গামছা হয়ে উঠেছিল একটি নাম, একটি ঐতিহ্য। ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর তৈরি গামছা দেশের সেরা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। গোটা কলকাতায় এর কদর ছিল এতটাই যে, বিধাননগর থেকে কৃষ্ণনগর-লালগোলা ট্রেনে হকাররা “বাংলার-গামছা” বলে চিৎকার করে এটি বিক্রি করত। এমনকি আজও বাংলাদেশ থেকে কেউ এলে অনেকে বলেন, “ঝালকাঠির ‘গামছা’ নিয়ে আসতে ভুলো না।”

গনি মিঞা বার্ধক্যে মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প প্রায় হারিয়ে যাওয়ার পথে ছিল। কিন্তু তাঁর ছেলে নাসির উদ্দিন মিঞা বাবার দেখানো পথে হাঁটতে চেয়েছিলেন। লোকসানের মুখেও তিনি তাঁত মেশিনে গামছা বুনতে থাকেন। তবে একসময় প্রতিকূলতার কারণে তিনি পৈতৃক পেশার হাল ছেড়ে দেন। এরপর দায়িত্ব নেন গনি মিঞার ভাইয়ের ছেলে খোকন মিঞা। আগে হাতে বোনা হতো, যার জন্য উৎপাদন কম হতো—দিনে মাত্র তিনটি। চাহিদা থাকলেও সরবরাহ মেটানো কঠিন হয়ে পড়ত। কিন্তু খোকন মিঞা আধুনিকতার ছোঁয়া এনে বিদ্যুৎচালিত তাঁতে গামছা তৈরি শুরু করেছেন। এখন দিনে ১০০ থেকে ১৫০টি-গামছা তৈরি সম্ভব, যা বাজারের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করছে।

বাসন্ডা গ্রামের সেই পুরোনো দিনগুলো এখন স্মৃতি। একসময় ঘরে ঘরে তাঁতের খটখট শব্দে মুখরিত থাকত এলাকা। শতাধিক কারিগর পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস ছিল এই শিল্প। কিন্তু দুই দশকের মধ্যে ধীরে ধীরে তাঁত বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা, কুষ্টিয়া, নারায়ণগঞ্জের মতো জায়গায় বৈদ্যুতিক তাঁতের উত্থানে বাসন্ডার হস্তচালিত তাঁত পিছিয়ে পড়ে। তবু হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার, যেমন নাসির আর খোকনের পরিবার, পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছে।

গনি মিঞার ‘গামছা’ শুধু ঝালকাঠি বা বাংলাদেশের গর্ব নয়, এটি দেশের বাইরেও সমাদৃত। এই শিল্প সংকট কাটিয়ে আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এটি এখন শুধু একটি বস্ত্র নয়, বাসন্ডার ঐতিহ্য আর গনি মিঞার স্মৃতির এক জীবন্ত প্রতীক।

বিভিন্ন অঞ্চলে গামছার হাট

সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ‘গামছা’ বোনা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সদর, কামারখন্দ, উল্লাপাড়া, বেলকুচি এবং শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। এসব এলাকার পুরুষ ও নারী কারিগররা তাঁতে গামছা বুননের কাজে নিয়োজিত থাকেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই গ্রামগুলোতে তাঁতিদের তাঁতে গামছা বুননের খটখট শব্দ শোনা যায়, যা তাদের জীবন ও জীবিকার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

গামছার হাটের কথা বলতে গেলে, সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়া গামছার হাট বিখ্যাত। এই হাট সপ্তাহে দুদিন, মঙ্গলবার ও শুক্রবার, ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে সকাল ৯টার পর পর্যন্ত চলে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে তাঁতিরা তাদের তৈরি রঙ-বেরঙের গামছা নিয়ে এই হাটে আসেন। এখানে এক হাত থেকে ছয় হাত পর্যন্ত লম্বা বিভিন্ন প্রকারের গামছা পাওয়া যায়, যা পাইকারি দরে বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা, এমনকি রাজধানী ঢাকা থেকেও পাইকাররা এই পাঁচলিয়া হাটে গামছা কিনতে আসেন।



তথ্যসূত্র:

গামছা চরিতকথা
শফিকুল কবীর চন্দন

দৈনিক বাংলা

গা-ম-ছা লাগবে গামছা
জনকন্ঠ



আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া লিংক


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Your share and comment are an inspiration to us

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!