jute industry-jute handicraft of Bangladesh-পাটশিল্পের পুনর্জাগরণ-পাট কারুশিল্প- x bfa x fxyz

পাটশিল্পের পুনর্জাগরণ: গ্রামীণ কারুশিল্প থেকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং

পাটশিল্প এখন শুধু অতীতের ঐতিহ্য নয়; বরং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির নতুন ক্যানভাস—যেখানে ঐতিহ্য, উদ্ভাবন আর টেকসই ফ্যাশন মিলে যাচ্ছে একসাথে।

পাটশিল্প

সোনালি আঁশ থেকে
বৈশ্বিক সম্ভাবনার গল্প

এই গল্পটা কেবল অতীতের গৌরব নয়। প্লাস্টিক আর সিনথেটিকের ভিড়ে একসময় হারাতে বসেছিল এই আঁশ, অথচ আজ বিশ্ব যখন সাসটেইনেবল ফ্যাশন আর ইকো ফ্রেন্ডলি পণ্যের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে, তখন আবারও আলোচনায় এসেছে পাট। একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা, অন্যদিকে মানুষের জীবনযাপনে ইকো-ফ্রেন্ডলি পণ্যের চাহিদা—এই দুই মিলে পাটের প্রতি আগ্রহ ফিরছে নতুনভাবে।

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড—সবাই এখন টের পাচ্ছে, পাটশিল্প আসলে কেবল অতীতের স্মৃতি নয়, বরং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাও।

ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে
পাটের নতুন যাত্রা

বর্ষার শেষে যখন বাংলার মাঠজুড়ে সোনালি আঁশের সারি সারি বাতাসে দুলতে থাকে, তখন মনে হয়—এই আঁশ কেবল কৃষকের ঘামেই জন্ম নেয়নি, জন্ম নিয়েছে আমাদের সংস্কৃতির গভীরে। পাটের দড়ি, চাটাই কিংবা ঝুড়ির মতো সাধারণ জিনিস থেকে শুরু করে শাড়ি, ব্যাগ, কিংবা আধুনিক ফ্যাশন—সবখানেই পাট আজও নিজের জায়গা ধরে রেখেছে।

পাটকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চিনতাম বস্তা, দড়ি কিংবা চাটাইয়ের আঁশ হিসেবে। কিন্তু আধুনিক ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি তাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছে। আজকের দিনে পাট আর শুধু গ্রামীণ জীবনের ব্যবহার্য নয়—এটি র‍্যাম্প, ডিজাইনার বুটিক আর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আলোচিত উপকরণ।

বাংলাদেশের তাঁতিরা ইতিমধ্যেই পাটের সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরি করছেন। টাঙ্গাইল ও নরসিংদীর তাঁতপাড়ায় এখন নিয়মিত দেখা মেলে পাটের সঙ্গে সুতি বা সিল্ক মিশিয়ে তৈরি অভিনব শাড়ি। এগুলো শুধু ঐতিহ্য বহন করছে না, বরং আধুনিক নারীর ফ্যাশন স্টেটমেন্টও হয়ে উঠছে। শুধু শাড়িদে সীমাবদ্ধ নয়। টানা ভরনায় পাটের আশঁ দিয়ে কিংবা পাটের সাথে মিলের সুতি সুতা মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন গজ কাপড়/ ক্যানভাস। যা দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন পোশাক। শুধু পোশাক নয়, পাট আজ গহনা, হ্যান্ডব্যাগ, জুতা, এমনকি টুপি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় উদ্যোক্তারা পাট দিয়ে বানাচ্ছেন মানিব্যাগ, কানের দুল কিংবা মালা—যা তরুণ প্রজন্মের কাছে ফ্যাশনেবল ও ট্রেন্ডি হিসেবে ধরা দিচ্ছে। ইউরোপের পরিবেশবান্ধব বাজারেও এসব পণ্য বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

একই সঙ্গে পাটের সম্ভাবনা ফ্যাশনের নতুন খাতে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের ডিজাইনাররা পাটের আঁশ দিয়ে তৈরি করছেন ডেনিম কাপড়, যা পশ্চিমা পোশাক শিল্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। পাট-ডেনিম কেবল পরিবেশবান্ধব নয়, বরং টেকসই এবং আরামদায়কও। অনেক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ইতিমধ্যেই পাট ও তুলার মিশ্রণে তৈরি এই ফ্যাব্রিক নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

অর্থাৎ, পাটশিল্প এখন শুধু অতীতের ঐতিহ্য নয়; বরং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির নতুন ক্যানভাস—যেখানে ঐতিহ্য, উদ্ভাবন আর টেকসই ফ্যাশন মিলে যাচ্ছে একসাথে।

পাটের শাড়ি _ AI generate_ model picture source form Bishworang - বিশ্বরঙ web

প্রকৃতি (Prokritee)

বাংলাদেশের ফেয়ার-ট্রেডভিত্তিক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলো প্রকৃতি (Prokritee)। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তারা গ্রামীণ নারীদের নিয়ে কাজ করছে এবং দেশীয় হস্তশিল্পকে বিশ্ববাজারে পৌঁছে দিচ্ছে। অব্যবহৃত পাট, পুরোনো শাড়ি, সিল্ক, তুলা আর হাতে বানানো কাগজ দিয়ে তারা তৈরি করে ব্যাগ, গহনা, হোম-ডেকরসহ নানান পণ্য। বর্তমানে প্রায় ১,৫০০ নারী কারিগর সরাসরি প্রকৃতির সঙ্গে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। পরিবেশবান্ধব উৎপাদন পদ্ধতি আর ফেয়ার-ট্রেড নীতির কারণে ’প্রকৃতি’ শুধু বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পকে নতুনভাবে উপস্থাপন করছে না, বরং আমেরিকা, ইউরোপ, জাপানসহ অনেক দেশে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিচিতিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

কারুশিল্প ও এসএমই
উদ্যোক্তাদের ভূমিকা

বাংলাদেশে পাটশিল্পের সবচেয়ে প্রাণবন্ত দিক হলো কারুশিল্প। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামেই অসংখ্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা (SME) পাটকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে তৈরি করছেন নানা ধরনের হস্তশিল্প। পাটের সহজলভ্যতা, সস্তা উৎপাদন খরচ এবং বাজারে ক্রমবর্ধমান চাহিদা এই উদ্যোক্তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।

একজন নারী কারিগর, যিনি হয়তো ঘরের আঙিনায় পাট দিয়ে ঝুড়ি বা ওয়ালম্যাট বুনছেন, তার তৈরি পণ্য আজ ইউরোপের একটি ফেয়ার-ট্রেড স্টোরে বিক্রি হচ্ছে—এটাই বাংলাদেশের পাটশিল্পের বিস্তারের গল্প। এর ফলে শুধু পরিবার নয়, পুরো সমাজও উপকৃত হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের বড় একটি অংশ আজ পাটকে ব্যবহার করে আত্মকর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পাচ্ছেন।

এসএমই খাতে পাটের গুরুত্ব এতটাই যে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অধিকাংশ পণ্যের কাঁচামালই পাট। ব্যাগ, মানিব্যাগ, খেলনা, স্যান্ডেল, গহনা, হোম ডেকর সামগ্রী—প্রায় সবকিছুর শিকড় পাটেই। ফলে পাটভিত্তিক কারুশিল্প এখন গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে।


আপনার একটি শেয়ার এবং মন্তব্য আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা 


গ্রামীণ কারিগরদের সাথে
সরাসরি সংযোগ

পাটশিল্পের প্রদর্শন ও
হস্তশিল্প মেলা
(SME Fair)

বাংলাদেশে প্রায় সময় উঠে এসএমই মেলা (SME Fair), যেখানে ভোক্তাদের সামনে পাট কেন্দ্রিক ক্রাফট প্রোডাক্ট প্রদর্শিত ও বিক্রি হয়—যেমন পাটের ব্যাগ, ঝুড়ি, হোম ডেকর, খেলনা ও ফ্যাশন অ্যাকসেসরিজ।
এই মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা নিজ হাতে নির্মিত পাট পণ্যের গল্প বলেন—এতে শিল্পের বীজ থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত গল্প থাকে। আপনি সরাসরি কারিগরের কাছ থেকে পণ্য কিনতে, মূল্য জানতে এবং তাদের মানবিক গল্পও শুনতে পারবেন।

আন্তর্জাতিক বাজারে ব্র্যান্ডিং ও
বাংলাদেশের অবস্থান

বাংলাদেশের পাট একসময় বিশ্ববাজারের প্রধান আকর্ষণ ছিল। আশির দশক পর্যন্ত আমাদের রপ্তানি আয়ের বড় অংশ আসত পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে। কিন্তু প্লাস্টিক ও সিনথেটিক ফাইবারের আগ্রাসনে এই শিল্প ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যায়। তবু বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিশ্ব এখন আবার ফিরে আসছে প্রাকৃতিক তন্তুর দিকে—আর এখানেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুযোগ।

আজ আমাদের পাটজাত পণ্য ইউরোপ, আমেরিকা, জাপানসহ প্রায় ৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। শুধু গানির বস্তা নয়; জার্মানির বিএমডব্লিউ, জাপানের নিশানটয়োটার মতো গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গাড়ির অভ্যন্তরীণ অংশে ব্যবহার করছে বাংলাদেশের পাট ফাইবার। পশ্চিমা দেশগুলোতে পাটের ব্যাগ, জুতা, শোপিস কিংবা হোম ডেকরের পণ্যেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

তবে এখানেই সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো—ব্র্যান্ডিংয়ের ঘাটতি। ভারত যেভাবে নিজেদের পাটশিল্পকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, বাংলাদেশ সেখানে পিছিয়ে আছে। অথচ “Made in Bangladesh” ট্যাগকে যদি আমরা কেবল পোশাক শিল্পে সীমাবদ্ধ না রেখে পাটজাত পণ্যের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারি, তবে এই শিল্প আবারও রপ্তানি আয়ের অন্যতম স্তম্ভ হয়ে উঠতে পারে।

বিশ্ববাজারে প্রতিবছর প্রায় ৫০০ বিলিয়ন জুট ব্যাগ এবং ৩২ মিলিয়ন ফুড-গ্রেড জুট ব্যাগের চাহিদা তৈরি হয়। এর মাত্র ১০ শতাংশ বাজারও যদি বাংলাদেশ দখল করতে পারে, তবে বছরে আয় করা সম্ভব প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। তাই প্রয়োজন শুধু উৎপাদন বৃদ্ধি নয়—কার্যকর ব্র্যান্ডিং, আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ এবং ডিজাইন ও বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবন।

পাটপাতা থেকে খাদ্য ও পানীয়:
নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশে পাটের পরিচিতি মূলত আঁশকেন্দ্রিক হলেও, এর পাতা আমাদের খাদ্যসংস্কৃতিরও অংশ। গ্রামীণ রান্নাঘরে পাটশাক বরাবরই জনপ্রিয় একটি শাক হিসেবে পরিচিত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে গবেষকরা এই পাতার ভেতর নতুন সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছেন। জার্মান প্রযুক্তির দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছে—পাটপাতা দিয়ে তৈরি করা যায় চা জাতীয় পানীয়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও বার্ধক্যজনিত সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভেষজ পানীয়তে পালং শাকের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি ক্যালরি আছে। এতে আরও আছে আয়রন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

ঢাকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এই পাটপাতার চা প্রথম প্রদর্শিত হলে তা দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করে। এর মধ্য দিয়ে পাটের ব্যবহার শুধু শিল্প ও ফ্যাশনের গণ্ডি পেরিয়ে স্বাস্থ্য ও খাদ্য শিল্পেও প্রবেশ করছে। এটি প্রমাণ করে, পাটের সম্ভাবনা আসলে কত বিস্তৃত। টাঙ্গাইলের উদ্যোক্তা জাকির হোসেন তপু এখন দেশের একমাত্র পাট চা উৎপাদনকারী। প্রতি প্যাকেটের দাম ২০০ টাকা। একটি প্যাকেটে ৩০টি টি-ব্যাগ থাকে।

সোনালি আঁশের
নতুন স্বপ্ন

বাংলাদেশের পাটশিল্প কেবল একটি ঐতিহাসিক গৌরব নয়—এটি আমাদের সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং ভবিষ্যতের টেকসই উন্নয়নের প্রতীক। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের তৈরি হস্তশিল্প থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি হওয়া পাটজাত পণ্য পর্যন্ত, প্রতিটি ক্ষেত্রে পাট বাংলাদেশের সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলছে। কৃত্রিম আঁশ ও প্লাস্টিকের দাপটে হারাতে বসা সেই শিল্প আজ আবারও ফিরে আসছে। কারণ, বিশ্ব এখন পরিবেশবান্ধব ও টেকসই বিকল্প খুঁজছে।

সঠিক পরিকল্পনা, গবেষণা, ব্র্যান্ডিং এবং আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে পারলে বাংলাদেশের পাটশিল্প আবারও হয়ে উঠতে পারে জাতীয় অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি এবং বিশ্বের টেকসই ফ্যাশন আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত।

প্রায় ৪ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাটখাতের সঙ্গে যুক্ত। তাই পাট শুধু একটি ফসল নয়, এটি কোটি মানুষের জীবিকার উৎস, কারুশিল্পীর হাতের কৃতিত্ব এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক পরিচয়ের প্রতীক।

বেণী বুনন

Beni Boonon

“সোনালি আঁশের গৌরব ফিরিয়ে আনার” লক্ষ্যে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে বেণী বুনন। বেণী বুনন মুলত Bengal Braided Rugs Limited-এর ‍সিস্টার কনসার্ন।

বেনী বুনন শতভাগ অর্গ্যানিক বাংলাদেশি পাট দিয়ে তৈরি হোম ডেকর সামগ্রী বাজারে এনেছে। পাটের শিল্প ঐতিহ্যকে আধুনিক নকশার সঙ্গে মিশিয়ে তারা তৈরি করছে ফ্যাশনেবল এবং টেকসই কার্পেট, ডোরম্যাট, বাসকেট, টেবিল রানার থেকে শুরু করে ডাইনিং টেবিলের প্রয়োজনীয় ম্যাট। তাদের পণ্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো—প্রতিটি আইটেমে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান থাকে “বেনীর মতো বুনন”, আর সেখান থেকেই এসেছে ব্র্যান্ডের নামের যথার্থতা।

গ্রাম থেকে কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রায় ৩০০ জন নারী শিল্পীকে সঙ্গে নিয়ে বেনী বুনন এগিয়ে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। সীমিত বাজেটেও কীভাবে একটি পণ্যের উৎকৃষ্ট প্রেজেন্টেশন করা যায়, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ তৈরি করেছে এই ব্র্যান্ড। আজ তারা শুধু পাটজাত পণ্য তৈরি করছে না, বরং দেশে নতুন এক হোম ডেকর ট্রেন্ড সেট করছে—যেখানে ঐতিহ্য আর আধুনিকতার সেতুবন্ধন ঘটছে সোনালি আঁশের মাধ্যমে।

কোথায় পাওয়া যাবে বেনী বুননের পণ্য?

বর্তমানে বেনী বুনন-এর ফেসবুক পেজে রয়েছে প্রায় ২,৪০,০০০ ফলোয়ার, যেখানে থেকে সহজেই অর্ডার করা যায়। অনলাইন শপিংয়ের জন্য ভিজিট করতে পারেন তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: beniboonon.com। আর অফলাইনে সরাসরি কিনতে চাইলে ঢুঁ মারতে পারেন ঢাকার ইউনিমার্ট সুপার শপে, যেখানে বেনী বুননের নানা পণ্য পাওয়া যায়।

পাট আমাদের গর্ব, আমাদের ঐতিহ্য, আর আগামী প্রজন্মের জন্য টেকসই ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।

Jute industry of Bangladesh বাংলাদেশের পাটশিল্প x bfa x fxyz V2

Jute industry of Bangladesh

বাংলাদেশের পাটশিল্প

একসময় পাট ছিল বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। আশির দশকের পর প্লাস্টিক ও কৃত্রিম আঁশের দাপটে যখন এই শিল্প টিকে থাকার লড়াইয়ে পড়ে, তখনই হারাতে বসে আমাদের “সোনালি আঁশের” গৌরব। কিন্তু আজ বিশ্ব যখন পরিবেশ রক্ষায় টেকসই উপকরণের দিকে ঝুঁকছে, তখন পাট আবার ফিরে আসছে নতুন উদ্ভাবন ও পুরনো ঐতিহ্য নিয়ে। বাংলার মাঠে যে আঁশ জন্মায়, তা শুধু কৃষকের ঘরে অর্থই আনে না—কারিগরের হাতে গিয়ে তা হয়ে ওঠে শিল্প, হয়ে ওঠে ইতিহাস।

ঐতিহ্য, বর্তমান অবস্থা ও সোনালি আঁশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন নিচের লিংকে-


আপনার একটি শেয়ার এবং মন্তব্য আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা 


September 6, 2025
jute industry-jute handicraft of Bangladesh-পাটশিল্পের পুনর্জাগরণ-পাট কারুশিল্প- x bfa x fxyz

পাটশিল্পের পুনর্জাগরণ: গ্রামীণ কারুশিল্প থেকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং

fayze hassan
পাটশিল্প এখন শুধু অতীতের ঐতিহ্য নয়; বরং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির নতুন ক্যানভাস—যেখানে ঐতিহ্য, উদ্ভাবন আর টেকসই…
September 6, 2025
August 31, 2025
Jute industry of Bangladesh বাংলাদেশের পাটশিল্প x bfa x fxyz V2

বাংলাদেশের পাটশিল্প: ঐতিহ্য, বর্তমান অবস্থা ও সোনালি আঁশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

bdfashion archive
‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ/পাট পণ্যের বাংলাদেশ’ -এ স্লোগানে ২০১৭ সালে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হয়…
August 31, 2025

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Instagram did not return a 200.
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Your share and comment are an inspiration to us

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!