স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পন্য
ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এসব পন্য-সামগ্ৰী নিৰ্দিষ্ট ওই অঞ্চলটিতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা প্ৰদান করে।
WIPO
সাধারণত জিআইতে উৎপত্তিস্থলের নাম (শহর, অঞ্চল বা দেশ) অন্তর্ভুক্ত থাকে। জিআই (GI) এর পূর্ণরুপ হলো (Geographical indication) ভৌগলিক নির্দেশক। WIPO (world intellectual property organization) হলো জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দানকারী প্রতিষ্ঠান।
জামদানি শাড়ি
JAMDANI SAREE | GI PRODUCT
প্রাচীনকালের মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে জামদানি শাড়ি। জামদানি, বাংলাদেশের নিজস্ব ঐতিহ্য। ঐতিহ্যবাহী নকশা ও বুননের কারণে ২০১৬ সালে জামদানিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।
বাংলাদেশ ইলিশ
Padma Ilisha | GI PRODUCT
ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনের ৭৫ ভাগই বাংলাদেশে
চাঁপাই নবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম
Khirsapat (Himsagar) Mango | GI PRODUCT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত / হিমসাগর আম বাংলাদেশের তৃতীয় ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে আমটি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃত। শুরুটা প্রায় ২০০ বছর আগে। ময়মনসিংহের মহারাজা সুতাংশু কুমার আচার্য্য বাহাদুর চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে গড়ে তোলেন একটি আমবাগান। সেই বাগানেই অন্যান্য উৎকৃষ্ট জাতের আমের সঙ্গে চাষ হতো খিরসাপাত আম। বর্তমানে বাংলাদেশের উৎপাদিত আমের ৩০ শতাংশই খিরসাপাত আম।
বিজয়পুরের সাদামাটি
China Matir Pahar | GI PRODUCT
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ‘বিজয়পুরের সাদামাটি’ ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃত।বিজয়পুরের সাদামাটি অত্যন্ত মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য একটি খনিজ সম্পদ। সাধারণত সিরামিকের তৈজসপত্র, টাইলস্, স্যানিটারি ওয়্যার ও গ্লাস তৈরির ক্ষেত্রে এ মাটি ব্যবহৃত হয়। উৎকৃষ্ট মানের এ মাটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি প্রাকৃতিকভাবেই কেওলিন বা অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ। অনেকে এটিকে চিনামাটিও (চায়না ক্লে) বলে থাকেন।
দিনাজপুরের কাটারীভোগ ধান
Dinajpur Katarivog | GI PRODUCT
দিনাজপুরের নিজস্ব ঐতিহ্য কাটারিভোগ ধান । এ ধান থেকে উৎপন্ন চাল যেমন সুগন্ধি যুক্ত তেমনি খেতেও সুস্বাদু। কাটারিভোগ দিনাজপুরের আদি ও অকৃত্রিম ধান। ধারনা করা হয়, একশ বছর আগে থেকেই দিনাজপুর জেলায় সুগন্ধি কাটারিভোগের চাষাবাদ হয়ে আসছে।
কালিজিরা চাল
Kalijira Rice
কালিজিরা ধান বাংলাদেশে উৎপাদিত এক ধরনের উৎকৃষ্ট মানের ধান। কালো রংয়ের এই ধানের চাল বেশ সুস্বাদু। যা থেকে উৎপন্ন চালকে ছোট বাসমতী চালও বলা হয়। এটি রান্না করার পদ্ধতিও প্রায় বাসমতি চালের মতই। এই চালের ভাত আঠালো নয়। কালিজিরা চাল বাংলাদেশের একটি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই)
রংপুরের শতরঞ্জি
Kalijira Rice
শতরঞ্জি বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী কারুপণ্য। প্রায় ৭০০ বছরের প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে এই কারুপণ্যের। শতরঞ্জি বা ডুরি মূলত একপ্রকার কার্পেট। যা এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন বুনন পদ্ধতি হিসেবে বিদ্যমান। শতরঞ্জি বয়ন কৌশলের দিক দিয়ে আধুনিক ট্যাপেস্ট্রির অনুরূপ একটি শিল্প।রংপুরের ঘাঘট নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার জলবায়ু এবং ঘাঘট নদীর পানি শতরঞ্জি বুননের উপযোগী। যেমন জামদানির জন্য উপযোগী শীতলক্ষ্যা নদীর পানি।
রাজশাহী সিল্ক
Rajshahi Silk
দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে রাজশাহীর রেশম শিল্প। রাজশাহী জেলা প্রাচীনকাল থেকেই রেশম ও রেশমজাত পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানিতে ভারতবর্ষের যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় শীর্ষ স্থানে অবস্থান করে এসেছে।
ঢাকাই মসলিন
Dhakai Muslin
প্রাচীন বাংলার সমৃদ্ধ ইতিহাস আর ঐতিহ্যে যে নামটি তার আভিজাত্য আর নিজস্ব মহিমা নিয়ে জ্বলজ্বল করছে, তা হলো মসলিন, ঢাকাই মসলিন। একসময়ে শুধু বাংলা বা মুঘল রাজদরবারই নয়, বরং সমগ্র পৃথিবীজুড়েই অতি সূক্ষ্ম, মিহি, মোলায়েম আর উজ্জ্বল এই বস্ত্র ছিলো চাহিদার শীর্ষে। আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতীক এই মসলিন এতটাই সূক্ষ্ম ছিলো যে কথিত আছে একটি আংটির ভেতর দিয়েই গলানো যেত গজের পর গজ কাপড়। সূক্ষ্মতা সম্পর্কে অনেকে বলে থাকেন, ৫০ মিটার মসলিন কাপড় নাকি একটা দেশলাইয়ের বাক্সে অনায়াসেই এঁটে যেতো!
বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি
বাংলাদেশে উৎপাদিত বাগদা চিংড়ি ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি শিরোনামে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসাবে স্বীকৃত লাভ করে। পৃথিবীতে ৭ ধরনের পরিবারের ৫৪০ প্রজাতির বাগদা চিংড়ি রয়েছে। এ ধরনের চিংড়ি সর্বোচ্চ ৩৩০ মিলিমিটার বা ১৩ ইঞ্চি এবং ওজনে ৪৫০ গ্রাম বা ১ পাউন্ড হয়ে থাকে।
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম
Fazli Mango
ফজলি আমের একক স্বত্ব রাজশাহী কিংবা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নয়। ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম’ হিসেবে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) এই আম।আমের অন্যান্য প্রজাতির থেকে দেরিতে ফলে এই জাতটি। সাধারণত চাটনি ও আচার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ফজলি আম।
শীতল পাটি
SHITAL PATI
শীতল পাটি একই সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প ও লোকশিল্প। এটি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী একটি শিল্প। মুরতা নামে একধরনের ঝোপজাতীয় গাছের বেত দিয়ে তৈরি হয়।জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেসকো ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ সালের সম্মেলনে সিলেটের শীতলপাটিকে ঘোষণা দেয় বিশ্বের ‘নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ বা ‘Intangible Cultural Heritage’ হিসেবে।
বগুড়ার দই
Curd of Bogra
বগুড়ার দইয়ের খ্যাতির মুকুটে যুক্ত হলো ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি। বগুড়ার দইয়ের মাথায় জিআই মুকুট। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) ২৫ জুন এ অনুমোদন দেয়। নিয়ে দেশের ১৭টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেল। ( হালনাগাদ ২৫ আগষ্ট ২০২৩ )
তুলসীমালা ধান
Tulshimala Rice
তুলসীমালা ধান ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতশেরপুর জেলার অন্যতম ঐতিহ্য তুলসীমালা সুগন্ধি চাল। এ চালের পিঠা-পায়েস, খই-মুড়ি, ভাতের সুগন্ধ ও স্বাদ অসাধারণ। ‘পর্যটনের আনন্দে, তুলসীমালার সুগন্ধে’ স্লোগান সামনে রেখে শেরপুর জেলা প্রশাসন এটিকে জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। তুলসীমালা ধান থেকে এই চাল উৎপাদন হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম
chapainawabganj mango arshina
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম
chapainawabganj mango Langra
নাটোরের কাঁচাগোল্লা
Natore Kacha Golla
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।জীবনানন্দ দাশu003cbru003eজীবনানন্দ দাশের ক্লান্ত প্রান কি জুড়িয়ে ছিলো মধুসূদন এর কাচাঁ গোল্লায়! এতো পুরানো ঐতিহ্যবাহী খাবার চেখে দেখলে অবশ্যই কবিতায় আসতো। সে যাই হোক। নাটোরের মিষ্টিটির নাম কাচাগোল্লা হলেও এটি দেখতে মোটেও কাচাঁ কিংবা গোলাকার নয়।
বাংলাদেশ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল
Black Bengal goat
পৃথিবীতে এই মূহুর্তে প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম উপায়ে মডিফায়েড মিলে প্রায় ৩০০’র মত জাতের ছাগল আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের স্থানীয় জাতের কালো ছাগল বা ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটকে অন্যতম সেরা জাতের ছাগল বলা হয়।২০০৭ সালে এফএও বিশ্বের ১০০টি জাতের ছাগলের ওপরে গবেষণা চালিয়ে ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল’কে বিশ্বের অন্যতম সেরা জাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম
Porabari Chamcham | TANGAIL
টাঙ্গাইলের প্রায় দুইশ বছরের প্রাচীন গৌরব বহন করে। এই পোড়াবাড়ি চমচম যা সমগ্র ভারত পাক উপমহাদেশ জুড়ে বিখ্যাত ছিল এবং এখনও সকলের কাছে চিরন্তন আবেদন রয়েছে। বৃটিশ শাসনামল থেকে প্রস্তত হওয়া এই মিষ্টিটি টাঙ্গাইলকে সারা বিশ্ব কর্তৃক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির ধলেশ্বরী নদীর তীরে ছোট্ট একটি গ্রামে এই মিষ্টি বানানো হয়। পোড়াবাড়ি গ্রামের নামানুসারে এই মিষ্টির নামকরণ করা হয়েছে। এটি টাঙ্গাইল শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।ধরানা করা হয়, চমচম বানানোর ক্ষেত্রে ধরেশ্বরী নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ বিষেশ প্রভাব রাখে। ওখানের মিষ্টি কারিগররা বিশ্বাস করেন যে টাঙ্গাইল শহরের বাইরে গিয়ে এই মিষ্ট বানানো সম্ভব নয়।
কুমিল্লার রসমলাই
CUMILLAR ROSHMALAI
বগুড়ার দই এর মত করে শতবর্ষের ঐতিহ্য নিয়ে কুমিল্লার জেলার ব্রান্ডিং করে যাচ্ছে কুমিল্লার রসমালাই। মিষ্টির নামের এবং আলাদা স্বাদের জন্য ওই অঞ্চলের নাম জুড়ে দিতে হয়েছে। তার কারন হিসেবে অনেকে মনে করেন যে স্থানীয় জল বা ধোঁয়া গন্ধ হল কুমিল্লার রসমালাই এর মুল রহস্য। সে যাই হোক, মিষ্টির মূল স্বাদ আসে খাঁটি দুধ, জ্বাল আর দুধের সাথে অন্যান্য উপকরনের সঠিক মিশ্রন।
কুষ্টিয়ার তিলের খাজা
Tiler Khaja
দুই’শ বছরের ঐতিহ্য কুষ্টিয়ার তিলের খাজা | খাবারটি কুষ্টিয়ার নামের সাথেই মিশে আছে। কুষ্টিয়ার মুখরোচক এই তিলের খাজা এখন পরিণত হয়েছে ক্ষুদ্র শিল্পে। সারা বছরই তৈরি করা হয় তিলের খাজা। তবে শীত মৌসুমে এর আলাদা কদর রয়েছে। এপ্রিল- জুলাই মাস পর্যন্ত চলে তিলের খাজা মৌসুম।
রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম
Rangpur Mango
হাড়িভাঙ্গা আমবাংলাদেশের একটি বিখ্যাত ও সুস্বাদু আম। বিশ্ববিখ্যাত এ হাড়িভাঙ্গা আমেরউৎপত্তি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়ন থেকে। হাড়িভাঙ্গা আমবাংলাদেশের আশবিহীন একপ্রকারের সুস্বাদু আম। বিশ্বখ্যাত, স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় আম
মৌলভীবাজারের আগর
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলাকে বলা হয় আগর আতরের আঁতুড়ঘর। এ এলাকায়আগর চাষের ইতিহাস প্রায় ৪০০ বছরের। ১৫৯০ খ্রিস্টাব্দে আবুল ফজল রচিত ‘আইন-ই-আকবরি’ গ্রন্থে আগর কাঠ, আগরuতেল এবং আগর থেকে আতর আহরণের বিশদ বর্ণনা পাওয়া যায়। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের দিকে বড়লেখায়আগর চাষের বিস্তার ও ব্যবসা সুসংগঠিত হয়।
মুক্তাগাছার মন্ডা
muktagacha monda | GI Product
মুক্তাগাছার মন্ডা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার একটি বিখ্যাত মিষ্টি। রাম গোপাল পাল ১৮২৪ সালে এই মিষ্টি প্রথম তৈরি করেন।২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অনুমোদন জার্নাল প্রকাশিত হয়।
যশোরের খেজুরের গুড়
Jashore Date Jaggery | GI Product
মধুবৃক্ষ বলা হয় খেজুর গাছকে। প্রবাদ, যশোরের যশ খেজুরের রস।বাংলাদেশের ঐতিহ্য যশোরের খেজুরের গুড়। ঐতিহ্যের প্রতীক মধুবৃক্ষ থেকে সুমধুর রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে গুড়-পাটালি তৈরির উৎসব। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ যশোরের খেজুরের গুড় কে ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
আপনার একটি শেয়ার আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা
নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা
BANANA GARDEN, NARSINGDI | GI Product
বারোমাসি এই অমৃতসাগর কলার জন্য নরসিংদী বিখ্যাত। এ কলা নরসিংদী সদর, পলাশ, রায়পুরা, ঘোড়াশাল, শিবপুর, শিলমান্দি ও মনোহরদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষ করা হয়। মুঘল আমল থেকেই এই এলাকায় অমৃত কলার চাষ হয় বলে দাবি করেন জেলা কৃষি কর্মকর্তারা। নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা -কে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়াহয়
রাজশাহীর মিষ্টি পান
Rajshahi paan | GI Product
পানকে বলা হয় ‘ক্যাশ ক্রপ’ বা অর্থকরী ফসল বলা হয়। আর কৃষকরা পানের বরজকে বলে থাকেন ‘ক্যাশ ব্যাংক’। যখন প্রয়োজন হয় তারা বরজ থেকে পানপাতা তুলে সরাসরি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেন। রাজশাহীর মিষ্টি পান পেতে যাচ্ছে ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই স্বীকৃতি। জিআই স্বীকৃতি পেলে রাজশাহীর পানের উৎপাদন, বণ্টন ও বিপণনে যোগ হবে নতুনমাত্রা।
গোপালগঞ্জের রসগোল্লা
Gopalganj Rosogolla | GI Product
বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক জিআই পণ্য হিসেবে গোপালগঞ্জের রসগোল্লা স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি এক প্রকার রসালো মিষ্টি। এটি খাঁটি ছানা আর চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। এতে ময়দার কোনো ব্যবহার নেই। এই রসগোল্লা দেখতে সাদা ও গোলাকার আকৃতির হয়। গোপালগঞ্জের রসগোল্লায় মিষ্টির পরিমাণ খুবই কম। রস বা চিনির সিরা পাতলার কারণে এ রসগোল্লার স্বাদ দেশের যে কোনো অঞ্চলের রসগোল্লার চেয়ে ভিন্ন। খেতে সুস্বাদু।
নরসিংদীর লটকন
Narsingdi Lotkon | GI Product
স্থানীয়ভাবে ‘বুগি’ নামে পরিচিত হলেও দেশের প্রায় সর্বত্রই ফলটি লটকন নামে পরিচিত। প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ দেশীয় জাতের এই ফলটি নরসিংদীতে এত বেশি জন্মে যে, মনে হয় পুরো নরসিংদী জেলা লটকনের রাজ্য। প্রতি বছর মাঘ- ফাল্গুনে লটকন গাছে মুকুল আসে। জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষে তা পাকতে শুরু করে। বেলে ও দো-আঁশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়।
জামালপুরের নকশিকাঁথা
Jamalpur Nakshi Katha | GI Product
জামালপুরের নকশিকাঁথা বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। নকশি কাঁথা: বাংলাদেশের লোকশিল্পের একটা অংশ। কশি কাঁথার নকশা শুধু কাঁথার জমিনে সুঁইয়ের ফোঁড়ে ফুটিয়ে তোলা নকশাই নয়, একেকটি নকশী কাঁথার জমিনে লুকিয়ে থাকে গল্প, কখনো ভালোবাসার, কখনো দুঃখের। বাংলার পথে প্রান্তরে হারিয়ে যাওয়া গল্পকে বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে একেকটি নকশী কাঁথা।
মধুপুরের আনারস
Madhupur Pineapple | GI Product
মধুপুরের আনারস ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে, যা দেশের কৃষিখাত এবং অর্থনীতির জন্য একটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় অঞ্চলে উৎপাদিত আনারস গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে সরকারিভাবে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকারের ভৌগলিক নির্দেশক ইউনিট থেকে মধুপুরের আনারসকে এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়, যা স্থানীয় কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।
- বাংলাদেশের স্বীকৃত জিআই পণ্য
- জিআই পণ্যের জার্নাল
- প্রক্রিয়াধীন জিআই পণ্যের আবেদন
- জিআইপণ্যের বাতিলকৃত আবেদন
জিআই | পণ্যের নাম | আবেদনকারী |
০১ | জামদানি শাড়ি | বিসিক |
০২ | বাংলাদেশ ইলিশ | মৎস্য অধিদপ্তর |
০৩ | চাঁপাই নবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম | বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট |
০৪ | বিজয়পুরের সাদামাটি | জেলা প্রশাসন নেত্রকোণা |
০৫ | দিনাজপুরের কাটারীভোগ | বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট |
০৬ | বাংলাদেশ কালিজিরা | বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট |
০৭ | রংপুরের শতরঞ্জি | বিসিক |
০৮ | রাজশাহী সিল্ক | বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড |
০৯ | ঢাকাই মসলিন | তাঁত বোর্ড |
১০ | বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি | মৎস্য অধিদপ্তর |
১১ | রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম | ১. ফল গবেষণা কেন্দ্র, বিনোদপুর ২. চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এসোসিয়েশন |
১২ | বাংলাদেশের শীতলপাটি | বিসিক |
১৩ | বগুড়ার দই | রেঁস্তোরা মলিক সমিতি, বগুড়া |
১৪ | শেরপুরের তুলশীমালা ধান | জেলা প্রশাসন, শেরপুর |
১৫ | চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম | আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ |
১৬ | চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম | আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ |
১৭ | নাটোরের কাঁচাগোল্লা | জেলা প্রশাসন, নাটোর |
১৮ | বাংলাদেশ ব্লাক বেঙ্গল ছাগল | প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর |
১৯ | টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম | জেলা প্রশাসন, টাংগাইল |
২০ | কুমিল্লার রসমালাই | জেলা প্রশানস, কুমিল্লা |
২১ | কুষ্টিয়ার তিলের খাজা | জেলা প্রশানস, কুষ্টিয়া |
০১ | রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম | আলহাজ্ব আব্দুস সালাম সরকার হাড়িভাঙ্গা আম কৃষক স্কুল |
০২ | মৌলভীবাজারের আগর | বাংলাদেশ আগর এন্ড আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন |
০৩ | মৌলভীবাজারের আগর আতর | বাংলাদেশ আগর এন্ড আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন |
০৪ | মুক্তাগাছার মন্ডা | উপজেলা প্রশাসন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ |
০৫ | যশোরের খেজুরের গুড় | উপজেলা প্রশাসন, চৌগাছা, যশোর |
০৬ | নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা | জেলা প্রশাসকন, নরসিংদী |
০৭ | রাজশাহীর মিষ্টি পান | জেলা প্রশাসক, রাজশাহী |
০৮ | গোপালগঞ্জের রসগোল্লা | জেলা প্রশাসক, গোপালগঞ্জ |
০৯ | নরসিংদীর লটকন | জেলা প্রশাসক, নরসিংদী |
১০ | টাঙ্গাইল শাড়ি | জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল |
১১ | জামালপুরের নকশিকাঁথা | জেলা প্রশাসক, জামালপুর |
০১ | নোয়াখালির মহিষের দুধের দই | জেলা প্রশাসন, নোয়াখালি | নোয়াখালী |
০২ | লতিরাজ কচু | জেলা প্রশাসন, জয়পুরহাট | জয়পুরহাট |
০৩ | তরল দুধ | বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা) | সিরাজগঞ্জ |
০৪ | নাক ফজলী আম | বদলগাছী উপজেলা নাক ফজলী আম চাষি সমবায় সমিতি লিমিটেড | নওগাঁ |
০৫ | সুন্দরবনের মধু | জেলা প্রশাসন, বাগেরহাট | বাগেরহাট |
০৬ | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি | বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা | ব্রাহ্মণবাড়িয়া |
০৭ | ফুটি কার্পাস তুলা | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | বাংলাদেশ |
০৮ | ফুট কার্পাস তুলার বীজ ও গাছ | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | বাংলাদেশ |
০৯ | সিলেটের মণিপুরি শাড়ি | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | সিলেট অঞ্চল |
১০ | মাগুরার হাজরাপুরী লিচু | জেলা প্রশাসন, মাগুরা | মাগুরা |
১১ | মধুপরের আনারস | জেলা প্রশাসন, টাঙ্গাইল | টাঙ্গাইল |
১২ | মৃৎশিল্প, পটুয়াখালী | বিশ্বশ্বর পাল, বাউফল, পটুয়াখালী | পটুয়াখালী |
১৩ | পেয়ারা, ঝালকাঠি | সুজন হালদার, ঝালকাঠি সদর | ঝালকাঠি |
১৪ | মহিষের দুধের কাঁচা দই | জেলা প্রশাসন, ভোলা | ভোলা |
১৫ | শেরপুরের ছানার পায়েস | জেলা প্রশাসন, শেরপুর | শেরপুর |
১৬ | টাঙ্গাইলের শাড়ি | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | টাঙ্গাইল |
১৭ | দিনাজপুরের লিচু | জেলা প্রশাসন, দিনাজপুর | দিনাজপুর |
১৮ | মিরপুরের কাতান | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | মিরপুর, ঢাকা |
১৯ | কুমিল্লার খাদি | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | কুমিল্লা |
০১ | পিরোজপুরের মাল্টা | পিরোজপুর মাল্টা উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি | পিরোজপুর |
০২ | পোড়াবাড়ীর চমচম | মেসার্স জয়কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার | টাঙ্গাইল |
০৩ | পোড়াবাড়ীর চমচম | মেসার্স গৌর ঘোষ দধি এন্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডার | টাঙ্গাইল |
০৪ | পোড়াবাড়ীর চমচম | মেসার্স গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার | টাঙ্গাইল |
০৫ | শীতলপাটি | বাংলাদেশ বাঁশ, বেত ও পাটি শিল্প ফাউন্ডেশন | মীরসরাই, চট্টগ্রাম |
০৬ | সোনালি মুরগী | জেলা প্রশাসন, জয়পুরহাট | জয়পুরহাট |
০৭ | হাড়িভাঙ্গা মিষ্টি | জেলা প্রশাসন, জয়পুরহাট | জয়পুরহাট |
০৮ | সাবিত্রী রসকদম | বাসুদেব গ্র্যান্ড সন্স, মেহেরপুর | মেহেরপুর |
০৯ | চাচুরি বিলে কৈ মাছ | জনাব মন্ডা রায় | নড়াইল |
১০ | তাঁত বস্ত্র | মেসার্স জামান টেক্সটাইল | সিরাজগঞ্জ |
আপনার একটি শেয়ারে জানবে বিশ্ব, আমাদের দেশ কতটা সমৃদ্ধ
তথ্যসুত্র:
somoynews.tv
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর
facebook page link : BFA