The Beauty of hand block print by bfa X fxyz web

The Beauty of hand block print

ব্লক প্রিন্টের মুগ্ধতায় | The Beauty of Block Print

ব্লক প্রিন্টিং এর বাজার নতুন করে পুনরুদ্ধার করার সময় আসছে । বিশ্ব ফ্যাশন বাজারে সাসটেইনেবল ফ্যাশন যে মুভমেন্ট শুরু হয়েছে তার সাথে আমরাও সামিল হতে পারি ব্লক প্রিন্টিং এর মাধ্যমে।

The Beauty of
Block Print

ব্লক প্রিন্ট কি

ব্লক প্রিন্ট হলো এক ধরনের বিশেষ প্রিন্টিং পদ্ধতি, যেখানে কাঠের উপর খোদাই করা নকশার মাধ্যমে কাপড়ে রং দিয়ে ছাপানো হয়। এই পদ্ধতিতে নকশা করা ব্লকের সাহায্যে নিজের ইচ্ছেমতো ডিজাইন তৈরি করা যায়, যা কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম বা গ্রামারের মধ্যে আবদ্ধ নয়। যদি নকশায় রিপিট মার্ক থাকে, তবে সেই মার্ক ধরে ধরে প্রিন্ট করলে পুরো কাপড়ে একটি সমন্বিত নকশা তৈরি হয়। ব্লক প্রিন্টের এই ধারাবাহিক নকশাই এর প্রধান সৌন্দর্য।

মানানসই রঙের ব্যবহার এই প্রক্রিয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সঠিক রঙ নির্বাচন করা গেলে প্রতিটি প্রিন্টেড কাপড় হয়ে ওঠে এক একটি মাস্টারপিস।

ব্লক প্রিন্টের নকশায় একটি ভিন্নধর্মী ভাঙ্গা ভাঙ্গা ধরন রয়েছে, যা অন্যান্য প্রিন্টিং পদ্ধতি থেকে এটিকে আলাদা করে তোলে। এই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ব্লক প্রিন্টকে দেয় একটি স্বতন্ত্র পরিচিতি এবং সৃজনশীলতার ছাপ।

ব্লক প্রিন্ট এর ইতিহাস

আজ থেকে ৪০০০ হাজার বছর আগে চায়নাতে মুলত কাঠের ব্লক প্রিন্ট এর প্রচলন শুরু হয়, এটি মুলত সিল্ক কাপড়ের উপরে অক্ষর ছাপানোর কাজে ব্যবহার করা হত। যদিও চীনারা তিন রঙের সমন্বয়ে ফুল, লতা, পাতা দিয়ে  মুদ্রণ শুরু করে।

২২০ শতাব্দী

২২০ শতাব্দীর দিকে  হান সাম্রাজ্যের রাজত্বকালে ব্লক প্রিন্ট এর যাত্রা শুরু হয়। ইতিহাসবিদদের মতে, ইউরোপ থেকে শত শত বছর আগে এশিয়াতে ব্লক প্রিন্টের প্রচলন শুরু হয়।

দশম শতাব্দী

দশম শতাব্দীর দিকে মিশরে ব্লক প্রিন্টের ব্যবহার দেখা যায়, আরবিতে একে বলা হতো “তারশ”। সে সময় কাপড় মোমে চুবিয়ে নানা রকম নকশা করা হতো। সেই কাপড় দিয়ে মমি সংরক্ষণ করা হতো। পরবর্তীতে  কাপড় ডিজাইন করার জন্য এই পদ্ধতি অনুসরণ করে- জাপান, ভারত, শ্রীলংকা, আফ্রিকা সহ বিভিন্ন দেশে ‘বাটিক’ নামে ছড়িয়ে পরে।

১২ শতাব্দী

১২ শতাব্দীতে ভারত উপমহাদেশে  ব্লক প্রিন্টিং এর জন্য নিদিষ্ট কিছু সেন্টার  তৈরি  হলো, যেমন- সাউথ,ইস্টার্ন, ওয়েস্টার্ন  উপকূলে ব্লকের টেক্সটাইল  মিলগুলো তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া গুজরাট , রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশে ব্লকের জন্য  বিখ্যাত সব টেক্সটাইল মিল রয়েছে ।

১৬ এবং ১৭ শতাব্দী

১৬ এবং ১৭ শতাব্দীতে ব্লক শিল্পের জনপ্রিয়তা দারুনভাবে বেড়ে গিয়েছিলো। সেই সময়টা ছিল মোগলদের যুগ। মোগল অধ্যুষিত সময়ে সম্রাট শাহজাহান সৃষ্টিশীল এবং সৃজনশীল  কাজকে দারুনভাবে প্রধ্যান্য দিত। এর প্রমান তাজমহলের বিভিন্ন  জায়গায় পাওয়া যায় । তাজমহলের বিভিন্ন অংশে ব্লক প্রিন্টিং এর ছোঁয়া ছিল।

১৭৬০

১৭৬০ সালে যখন জাপানে ব্লক প্রিন্টের প্রসার ঘটে তখন তিন রঙের মুদ্রনে সীমিত থাকে নি, বহু রঙের মুদ্রণে এটির ব্যবহার হতে থাকে। সাধারণত বই ছাপার কাজে এর মুদ্রন ব্যবহার হয়েছিলো। জাপানে এই প্রক্রিয়াকে বলা হতো “নিশিকি”।

১৯ শতক

১৯ শতকে  ব্লক প্রিন্টিং শিল্পটা সারা বিশ্বে পরিচিতি পেতে শুরু  করে। কেননা ঐ সময় টাতে বৃটিশরা বিভিন্ন  দেশে বানিজ্য  করা শুরু  করে। ভারতে ব্লকের পোশাক নিয়ে তারা সারা বিশ্ব বানিজ্য করে। এবং তা ভারতের সৃষ্টিশীল এবং সৃজনশীল কাজ ধীরে ধীরে বিশ্বে ছড়িয়ে পরতে থাকে।

বাংলাদেশে ব্লক প্রিন্ট

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ষাটের দশকে। তবে এই শিল্প রপ্তানি খাত হিসেবে বিকাশ লাভ করে সত্তরের দশকের শেষের দিকে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে স্বীকৃত। পাশাপাশি, দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো ১৬ কোটি মানুষের বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
শুরুর দিকে দেশীয় ফ্যাশনের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল ব্লক প্রিন্টের প্রাধান্য। এই প্রাধান্য ক্রমে পৌঁছে যায় ব্যক্তি পর্যায়ে। বাসা-বাড়িতে নিজেদের উদ্যোগে ব্লক প্রিন্টিং চলতে থাকে। একটি হাতে বানানো বিছানার চাদর বা পছন্দের নকশায় প্রিন্ট করা একটি শাড়ি বৈশাখ উদযাপনের অন্যতম অংশ হয়ে ওঠে। এভাবে ব্লক প্রিন্টের ঐতিহ্য শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে গ্রামাঞ্চলেও।
বর্তমানে ব্লক প্রিন্টিংয়ে জিওমেট্রিক ডিজাইনের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এর শিকড় খুঁজে পাওয়া যায় মোগল যুগে, যখন ব্লক প্রিন্টে জিওমেট্রিক নকশার ব্যবহার শুরু হয়। একই সঙ্গে ফুল, পাখি, পশু ইত্যাদির মোটিফ যুক্ত হয়ে ব্লক প্রিন্টকে আরও নান্দনিক ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে।
এই ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়া আজও বাংলাদেশের ফ্যাশন শিল্পে একটি অনন্য রূপ এবং নিজস্বতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

১২ / ১৬

১৯৭১

ব্লক প্রিন্টিং
এর খুটিনাটি

কোন কাপড়ে ব্লক প্রিন্ট করা যায়?

যে কোন কাপড় খন্ডেই ব্লক প্রিন্ট করা যায়। নির্ভর করছে সেই কাপড় খন্ড দিয়ে পরবর্তিতে কি বাননো হবে। সিল্ক, মাসলিন, সুতি এব কাপড়ে খুব সহজেই টেকসই প্রিন্ট করা যায় যা দিয়ে শাড়ি, ড্রেস, বিছানার চাদর, বালিশের কাপড়, পর্দা তৈরী করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে প্রিন্টং এর সময় পরিমানমত কেমিকাল এবং প্রিন্টিং এর পরে পর্যাপ্ত হিট আয়রন করে রং টা পাকা করতে হবে। তা হলে অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

প্রিন্টিং-এ রঙের ধরন

ধরন বলতে প্রিন্টিং এর সময় রঙের ব্যবহার । সাধারণত দুই ধরনের রঙ ব্যবহার করা হয় । একটা রাসায়নিক, আরেকটা ভেজিটেবল বা অরগানিক রঙ । ভেজিটেবল বা অর্গানিক রঙ তৈরী করা সময় সাপেক্ষ এবং ঝামেলার। রাসায়নিক রঙের যাবতীয় জিনিসপত্র খুব সহজে পাওয়া যায় এবং ঝামেলা কম লাগে ।

ব্লক প্রিন্ট করতে কি কি লাগবে

কাপড়ে ব্লক প্রিন্ট করার জন্য রাসায়নিক রঙের ক্ষেত্রে ভাল রাসায়নিক দ্রব্যের দরকার। এতে রঙ টেকসই হবে। এই রাসায়নিকের সঙ্গে পছন্দমত রং গুলিয়ে নিতে হয়। যা যা থাকবে –  এনকে, নিউট্রেক, এপিটন, এ৫৩, বাইন্ডার, গ্লিসারিন ইত্যাদি।

Block Carving Craftsman

ব্লক খোদাই
কারিগরদের ভুমিকা
.

ব্লক প্রিন্টিংয়ের জন্য কাঠের টুকরোতে নকশা তুলতে বা খোদাই করতে দক্ষ কারিগরের ভূমিকা অপরিহার্য। দক্ষ খোদাই শিল্পী ছাড়া ব্লকের কোনো কার্যকর ব্যবহার সম্ভব নয়। ব্লক তৈরির প্রথম ধাপে প্রয়োজন হয় নকশা খোদাই শিল্পীর, যিনি কাঠের টুকরোতে সূক্ষ্মভাবে নকশা তুলে দেন।

খোদাই করার আগে শিল্পীরা প্রথমে একটি কাগজে নকশা এঁকে নেন বা কার্বন পেপারের সাহায্যে সরাসরি কাঠের টুকরোতে নকশাটি স্থানান্তর করেন। এরপর কাঠ খোদাইয়ের জন্য বিশেষ টুলস ব্যবহার করে খুব যত্নসহকারে কাঠে নকশা তৈরি করেন। ব্লক প্রিন্টিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং শ্রমসাধ্য কাজ এটি। তবে এই শিল্পীরা প্রায়ই থেকে যান আড়ালে, তাদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি মেলে না।

ব্লকের নকশা এবং ফিনিশিংয়ের মান সরাসরি প্রিন্টিংয়ের গুণগত মান নির্ধারণ করে। ভালো ডিজাইন এবং নিখুঁত ফিনিশিং ছাড়া ব্লক প্রিন্টের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়।

ব্লক তৈরির কাঠের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের ভিন্নতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের খোদাই শিল্পীরা সাধারণত শিশাম গাছের কাঠ ব্যবহার করেন, যা টেকসই এবং উচ্চমানের। অন্যদিকে, বাংলাদেশে সাধারণত আম গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয়, যা তুলনামূলকভাবে কম খরচে পাওয়া যায়। প্রতিটি ব্লক সাধারণত ১ থেকে ৩ ইঞ্চি গভীরতায় খোদাই করা হয়।

খোদাই করার পর ব্লকগুলোর টেকসইতা নিশ্চিত করতে এগুলো সরিষার তেলে ডুবিয়ে রাখা হয়। এতে কাঠ কিছুটা নরম হয় এবং প্রিন্টিংয়ের সময় রং ভালোভাবে কাঠের গায়ে লেগে থাকে। তেলের এই প্রক্রিয়া ব্লকের স্থায়িত্ব বাড়ায় এবং সেগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার উপযোগী থাকে।

এইভাবে, দক্ষ খোদাই শিল্পীদের নিবিড় শ্রম এবং সৃজনশীলতায় তৈরি হয় ব্লক, যা ব্লক প্রিন্টিংয়ের মূল ভিত্তি এবং সৌন্দর্যের উৎস।

.

রঙ তৈরি করা

বাজারে নানা রকম তৈরী করা রঙ পাওয়া যায়। চাইলে নিজেরাও পছন্দ অনুযায়ী রঙ তৈরি নিতে পারেন। সেইজন্য নীল, হলুদ, লাল, বেগুনী ও কালো এই পাঁচ রঙ কিনে নিচের নিয়ামানুযায়ী নতুন রঙ তৈরি করতে হবে।
হলুদ + লাল + নীল =   মেরুন
কালো + সাদা   = ছাই
নীল + লাল   = বেগুনী
কমলা + নীল  =  চকলেট
লাল + হলুদ বেশি =   বাদামী
লাল + বেগুনী   = লালচে বেগুনী
কালো + সবুজ  =  গাঢ় সবুজ
হলুদ ২ গুণ + লাল ১ গুণ =   কমলা

The Beauty of hand block print process V2 by bfa X fxyz post for web+


ব্লক প্রিন্ট করার ধাপসমূহ

১. কাপড় প্রস্তুতকরণ
প্রিন্ট করার আগে কাপড় ভালোভাবে ধুয়ে মাড় ছাড়িয়ে নিতে হবে। এটি কাপড়ের উপর রং সঠিকভাবে বসার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

২. প্রিন্টিংয়ের জন্য বেস তৈরি
প্রথমে একটি চট বিছিয়ে তার উপর মোটা পশমী কম্বল বা কাঁথা এবং শেষে সাদা কাপড়টি বিছিয়ে নিতে হবে। এটি নিশ্চিত করবে যে প্রিন্ট করার সময় নীচের স্তর থেকে কোনো রং উঠে না আসে।

৩. রঙের ট্রে প্রস্তুতকরণ
টেবিলের একপাশে রঙ রাখার জন্য একটি ট্রে স্থাপন করতে হবে। ট্রের মাঝখানে পুরাতন কম্বলের টুকরো বা চটের টুকরো রাখতে হবে।

৪. রং প্রস্তুত করা
একটি পাত্রে রঙের উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ব্রাশ দিয়ে রংটি ট্রের মাঝের কম্বলের উপর সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।

৫. ব্লকে রং লাগানো
কাঠের ব্লকের খোদাই করা অংশটি ট্রের কম্বলে আলতো চাপ দিয়ে রঙ লাগিয়ে নিতে হবে।

৬. কাপড়ে প্রিন্ট করা
রঙ লাগানো ব্লকটি কাপড়ের উপর সঠিকভাবে চেপে ধরলেই কাপড়ে নকশা ফুটে উঠবে।

৭. রং শুকানো
প্রিন্ট করা কাপড়টি বাতাসে মেলে রং শুকাতে দিতে হবে। শুকানোর পর কাপড়টি সাবধানে উঠিয়ে ফেলতে হবে।

৮. রং পাকা করা
প্রিন্ট করা কাপড় ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে অথবা আয়রন দিয়ে হিট দিতে হবে, যাতে রঙ স্থায়ী হয় এবং পরে ফেড না হয়।

এই ধাপগুলো অনুসরণ করলেই একটি নিখুঁত ব্লক প্রিন্ট তৈরি করা সম্ভব।

ব্লকের কাপড়ের যত্ন-আত্তি

ব্লক প্রিন্টের কাপড় সাধারণত কিছুদিন পর রঙ মলিন হয়ে যেতে পারে। তবে সঠিক যত্ন নিলে এই পোশাকগুলো দীর্ঘদিন ধরে তাদের আবেদন বজায় রাখতে পারে। হালকা রঙের কাপড়ে প্যাস্টেল শেডের রং ব্যবহার করলে রঙের হেরফের কম হয়। তবে সমস্যাটি বেশি দেখা যায় যখন গাঢ় রঙের কাপড়ে পাউডার পেস্ট ব্যবহার করে উজ্জ্বল রঙের প্রিন্ট করা হয়।

যত্নের উপায়:
১. শ্যাস্পু বা সাবান ব্যবহার:
হালকা ক্ষারযুক্ত শ্যাস্পু বা সাবান দিয়ে ব্লক প্রিন্টের কাপড় ধোয়া উচিত। এটি কাপড়ের মলিনতা কমাতে সাহায্য করে।
২. সূর্যের আলোতে না শুকানো:
প্রিন্ট করা কাপড় সরাসরি সূর্যের আলোতে শুকানো উচিত নয়। সরাসরি সূর্যের তাপে উজ্জ্বল রং ফেড হয়ে যেতে পারে। তাই ছায়ায় শুকানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
৩. আলমারিতে সংরক্ষণ:
কাপড় আলমারিতে ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে। পোকার হাত থেকে রক্ষা করতে আলমারিতে ন্যাপথেলিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
এইসব যত্নবিধি মেনে চললে ব্লক প্রিন্টের পোশাকের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব বজায় রাখা সম্ভব।

বাজার সম্ভাবনা: ব্লক প্রিন্টিং শিল্পের পুনর্জাগরণ
বর্তমানে ব্লক প্রিন্টিং শিল্পের বাজার নতুন করে পুনরুদ্ধার করার সময় এসেছে। বিশ্ব ফ্যাশন বাজারে সাসটেইনেবল ফ্যাশনের যে মুভমেন্ট শুরু হয়েছে, সেই আন্দোলনের সাথে ব্লক প্রিন্টিং সহজেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রাকৃতিক উপকরণ এবং কম রাসায়নিক ব্যবহারের মাধ্যমে এই শিল্প পরিবেশবান্ধব ফ্যাশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে।

ব্লক প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফ্যাশন শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারে জায়গা করে নিতে পারে। সাসটেইনেবল ফ্যাশনের দিকে বিশ্বব্যাপী ঝোঁক বাড়ছে, যা ব্লক প্রিন্টের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো যদি এই শিল্পকে প্রমোট করে, তবে এটি একটি শক্তিশালী বাজার তৈরি করতে সক্ষম হবে।
ব্লক প্রিন্টিং শুধুমাত্র একটি প্রিন্টিং পদ্ধতি নয়, এটি ঐতিহ্য, পরিবেশ সচেতনতা এবং টেকসই ফ্যাশনের একটি সমন্বিত রূপ। সঠিক পদক্ষেপ নিলে এই শিল্প দেশের অর্থনীতি এবং বিশ্ব ফ্যাশনে বিশেষ স্থান করে নিতে সক্ষম।

image source: JATRA

ব্লক প্রিন্টের মুগ্ধতায় | THE BEAUTY OF BLOCK PRINT

2 thoughts on “ব্লক প্রিন্টের মুগ্ধতায় | The Beauty of Block Print

  1. পোস্টটি করার জন্য ধন্যবাদ। ব্লকের ইতিহাস, পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা করার জন্য জাযাকাল্লাহ খইরন। এই পোস্ট টি থেকে অনেক জ্ঞান অর্জন করলাম যা আগে থেজেই আমার জানা ছিলোনা। এবং এতো সুন্দর করে তথ্য উপস্থাপন করা হলো যে নোট করতে বাধ্য হলাম। আবারো ধন্যবাদ।☺️

    1. আপনার মন্তব্য সত্যিই আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আমাদের দেশীয় ক্রাফট নিয়ে অন্যান্য নিবন্ধন গুলো পড়বেন। আপনার ভালো লাগবে। ভালো থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Your share and comment are an inspiration to us

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!