



মণিপুরী শাড়ি
জামদানি, বেনারসি, টাঙ্গাইল, পাবনা, রাজশাহীসহ অন্য দেশীয় তাঁতের শাড়িগুলোর প্রতিটির আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে, যা দেখলেই বোঝা যায় এটি কোন তাঁতের শাড়ি।
ঠিক তেমনি মণিপুরী শাড়ির রং আর নকশা চোখে পড়লেই মনে হয়, এ তো মণিপুরী! কারণ এই শাড়ির আসল চেনা যায় এর নকশায়—মাইরাং বা মন্দিরের প্রতিকৃতি। সব শাড়ির আঁচল, জমিন আর পাড়ের গাঠনিক বৈশিষ্ট্য প্রায় একইরকম। আরেকটা জিনিস চোখে পড়ে, এর উজ্জ্বল রং। পাড়ের কথা বলতে গেলে, অন্য শাড়ির পাড় নানা রকম নকশা থাকলেও মণিপুরী শাড়ির পাড় সাধারণত একরঙা যা এক থেকে দুই ইঞ্চি চওড়া হয়ে থাকে। মজার ব্যাপার হলো, পাড়ের রংটা জমিনের রঙের থেকে অনেক বেশি কন্ট্রাস্ট এবং ভাইব্রেন্ট হয়ে থাকে, যা সহজেই চোখে একটা তফাত ধরা পড়ে।
মণিপুরী শাড়ি বোনা হয় দেশি সুতির মোটা সুতোয়, তাই এগুলো একটু ভারী আর অমসৃন হয়ে থাকে। মসৃণ না লাগলেও একটা আলাদা মজা আছে। আঁচল আর জমিনে মন্দিরের নকশার পাশাপাশি গোলাপ, জবা, বৃত্ত, রেখা বা নানা জ্যামিতিক আকৃতির নকশা দেখা যায়। এসব নকশা অনেক আগে থেকে চলে আসছে, আজও তাঁতিরা তৈরি করছেন।
পুরো শাড়ির জমিনে কম-বেশি নকশার ছোঁয়া থাকাটাও এর একটা বৈশিষ্ট্য। তবে আগেকার দিনে কিছু মণিপুরী শাড়ি হতো একেবারে সাদামাটা, নকশাহীন বোনা হতো। এখন সেটা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে এমন না, হাতেগোনা দু-একজন তাঁতি এখনো সাদামাটা শাড়ি বুনছেন— হয়তো নিজেদের জন্য, নয়তো কোনো প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে। নকশার দিক থেকে মণিপুরী শাড়ির সঙ্গে জামদানির একটা মিল ধরা পড়ে। জামদানির নকশা যেমন হাতে তৈরী সূক্ষ্ম আর নিখুঁত, মণিপুরী কাপড় গুলোও তেমনি সূক্ষ্ম নকশায় হয়ে থাকে।
আপনার একটি শেয়ার এবং মন্তব্য আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা ❤️
তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম, উইকিপিডিয়া, প্রথম আলো
আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া লিংক

পাবনার শাড়ি: ঐতিহ্যের সুর, বুননের গল্প
fayze hassan
শাড়িতে সাহিত্য
ANINDETA CHOWDHURY
বাংলাদেশি সেরা দশ শাড়ি
fayze hassan
শীতের পোশাক | WINTER CLLECTION 2017
bdfashion archive
বিয়ের সাজে | WEDDING COLLECTION 2017
bdfashion archive