যেদিন হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান
জাতি গোত্র নাহি রবে।
Fakir
Lalon
Shah
লালন ফকির (১৭৭৪-১৮৯০) ছিলেন একজন প্রভাবশালী বাউল সাধক, মানবতাবাদী ও দার্শনিক যিনি মানবমুক্তির পথে তার চিন্তাধারা ও গানে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করেছেন। লালন ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, এবং তিনি ধর্ম, জাত, কূল, বর্ণ বা লিঙ্গভেদে মানুষের বিভেদকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করতেন। তার দর্শন ও গান মানুষের ভেতরের ‘মনের মানুষ’ বা আত্মার খোঁজে উৎসাহিত করে।
লালনের দর্শন মূলত আত্ম-অনুসন্ধান ও মানবতাবাদী চেতনার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তিনি বিশ্বাস করতেন, আত্মজ্ঞান ও আত্মসাধনার মাধ্যমে মানুষ তার প্রকৃত সত্তাকে খুঁজে পেতে পারে। এই ‘মনের মানুষ’ বা ‘অচিন পাখি’ হলো মানুষের আত্মিক সত্তা, যা প্রতিটি মানুষের ভেতরে থাকে। কিন্তু তা উপলব্ধি করতে হলে আত্মসাধনা, ভক্তি এবং নির্লিপ্ত জীবনযাপনের প্রয়োজন।
লালন তার গানে এবং জীবনবোধে এই মানবতার দর্শনকে তুলে ধরেছিলেন। তার গানগুলোতে জীবনের মূল সত্য, মানুষের মধ্যে থাকা ঐশ্বরিক শক্তি, এবং সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের সমালোচনা পাওয়া যায়। তিনি সমাজের প্রচলিত নিয়ম ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, এবং তার গানগুলোতে সমাজের বিভিন্ন বৈষম্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ছিলো।
লালন মনে করতেন, সৃষ্টির মাঝে সকল মানুষ সমান। তিনি জাত, ধর্ম, লিঙ্গ বা গোত্রভেদকে অপ্রাসঙ্গিক মনে করতেন এবং বলতেন যে, এগুলো মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে। তার বিশ্বাস ছিল যে, একমাত্র প্রেম, ভক্তি ও মানবতার মাধ্যমে এই বিভেদ দূর করা সম্ভব।
লালনের জীবন ও চিন্তাধারার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, তিনি সব ধর্মের মধ্যে ঐক্য খুঁজতেন। তার মতে, মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়, কারণ সকলের অন্তরেই সেই ‘মনের মানুষ’ বাস করে।
লালনের দর্শন
“যা আছে ভাণ্ডে, তাই আছে ব্রহ্মাণ্ডে” – এই ছিল লালনের দর্শন। বৈষ্ণব সহজিয়া, বৌদ্ধ সহজিয়া ও সুফিবাদের সংমিশ্রণে মানবগুরুর ভজনা, দেহ-কেন্দ্রিক সাধনাই লালন প্রদর্শিত বাউল ধর্মের মূলমন্ত্র।
বাংলা লোকসাহিত্যের একটি অংশ বাউল গান
বাউল একটি বিশেষ লোকাচার ও ধর্মমত। লালনকে বাউল মত এবং গানের একজন অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাউলরা সাদামাটা জীবনযাপন করেন এবং একতারা বাজিয়ে গান গেয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ানোই তাদের অভ্যাস। বাংলা লোকসাহিত্যের একটি বিশেষ অংশ বাউল গান। বাউলেরা উদার ও অসাম্প্রদায়িক ধর্মসাধক। তারা মানবতার বাণী প্রচার করেন। বাউলরা সবচেয়ে গুরুত্ব দেন আত্মাকে। তাদের মতে আত্মাকে জানলেই পরমাত্মা বা সৃষ্টিকর্তাকে জানা যায়। আত্মা দেহে বাস করে তাই তারা দেহকে পবিত্র জ্ঞান করেন।
২০০৫ সালে
ইউনেস্কো বাউল গানকে
বিশ্বের মৌখিক এবং দৃশ্যমান ঐতিহ্যসমূহের মাঝে
অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করে।
লালন সাঁইজীর তীর্থ যাত্রা ও প্রথম মৃত্যু এবং নবজীবন
লালন ফকিরের সঠিক জন্ম ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কোন কোন লালন গবেষক মনে করেন ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার ভাড়ারা গ্রামে লালন জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিছু সূত্রে পাওয়া যায় লালন তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার হারিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জানা যায়, তার পিতার নাম কাজী দরীবুল্লাহ্ দেওয়ান। কাজী তাদের বংশগত উপাধি। অনেকের মতে তার বাবা মাধব কর ও মা পদ্মাবতীর একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি। কথিত আছে শৈশবে পিতৃবিয়োগ হওয়ায় অল্প বয়সেই তাঁর ওপর সংসারের দায়িত্ব এসে পড়েছিল। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ তাঁর হয়নি। তবে গানের প্রতি তার অন্যরকম টান ছিলো। ভাড়ারা গ্রামে কবিগান,পালাগান,কীর্তন সহ নানা রকম গানের আসর বসতো। তিনি সেই আসর মাতানোর একজন ছিলেন। মানুষ মুগ্ধ হয়ে তার গান শুনতো।
লালন পূন্যলাভের আশায় মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে গঙ্গা স্নানে যান। গঙ্গা স্নান সেরে লালন যখন সঙ্গীদের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তিনি আকস্মিকভাবে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হন। রোগের যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সঙ্গীরা মনে করলেন তিনি মারা গেছেন। তারা তার মুখাগ্নি করেই নদীর জলে ভাসিয়ে দেয়।
নদীতে ভাসতে ভাসতে লালনের দেহ এক ঘাটে পৌঁছায়। এক মুসলমান রমণী নদীকূল থেকে লালনের সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার করে সেবাশুশ্রূষা করে তাঁকে সুস্থ করে তোলেন। বসন্ত রোগে লালনের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখাগ্নির কারণে তার মুখমন্ডলে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সুস্থ্য হয়ে লালন ফিরেন মায়ের কোলে, নিজ গ্রামে। সমাজপতিদের সাফ কথা সে মুসলমান বাড়ির জল খেয়েছে তাই তাঁকে আর এই সমাজে থাকতে দেয়া যাবে না। সেদিন ধর্মের অজুহাতে লালনকে সমাজ থেকে বের করে দেয়া হয়। যে জাতের কারণে লালনকে সমাজ থেকে, পরিবার থেকে বিচ্যুত করা হয়েছিলো, সেই জাত-পাতের বিরুদ্ধে লালন গানের মাধ্যমে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এবং এখান থেকেই হয় তাঁর নতুন জন্ম।
তিনি তাঁর গানে উল্লেখ করেছেন-
” জাত না গেলে পাইনে হরি
কি ছার জাতের গৌরব করি
ছুঁসনে বলিয়ে।
লালন কয় জাত হাতে পেলে
পুড়াতাম আগুন দিয়ে ॥ “
Darshan of Fakir Lalon Shah
লালন ফকির দর্শন
লালন এই জাত-পাত ও ধর্ম বর্ণ-বিভেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি জাত ধর্ম বর্ণ গোত্রহীন সমাজ গড়ে তুলতে। সবকিছুর ওপরে তিনি স্থান দিয়েছিলেন মানবতাবাদকে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় লালনের জীবদ্দশায় তাঁকে কোনধরনের ধর্মীয় রীতি-নীতি পালন করতেও দেখা যায়নি। নিজের সাধনা দিয়ে তিনি হিন্দুধর্ম এবং ইসলামধর্ম উভয় শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। তাঁর রচিত গানে এর প্রচুর নিদর্শন রয়েছে। মুসলমানদের সাথে তার সুসম্পর্কের কারণে অনেকে তাকে মুসলমান বলে মনে করতেন। আবার বৈষ্ণবধর্মের আলোচনা করতে দেখে হিন্দুরা তাকে বৈষ্ণব মনে করতেন। প্রকৃতপক্ষে লালন ছিলেন মানবতাবাদী এবং তিনি ধর্ম, জাত, কূল, বর্ণ, লিঙ্গ ইত্যাদি অনুসারে মানুষের ভেদাভেদ বিশ্বাস করতেন না।
লালন তাঁর গানের মাধ্যমে নিজের ধর্মীয় অবস্থান পরিস্কার করে গেছেন। তিনি বলেছেন-
” সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে
লালন বলে জাতের কি রুপ দেখলাম না এ নজরে ॥ “
লালন মনে করেছেন ধর্ম হলো তাই যা ধারন করা হয়। বাউল মন যা ধারন করে তাই- ই বাউলের ধর্ম। আধ্যাত্মিক ভাবধারায় তিনি প্রায় দুই হাজার গান রচনা করেছিলেন। তার সহজ-সরল শব্দময় এই গানে মানবজীবনের রহস্য, মানবতা ও অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে। লালনের বেশ কিছু রচনা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে তিনি ধর্ম-গোত্র-বর্ণ-সম্প্রদায় সম্পর্কে অতীব সংবেদনশীল ছিলেন।
লালন সাঁইজীর ছেঁউড়িয়ার আখড়া
লালনের ধারনা গুরু ঈশ্বরেরই প্রতিচ্ছায়া। গুরুকে ভক্তি শ্রদ্ধা জানালে তা ঈশ্বরকেই জানানো হয়। গুরু ছাড়া কোন সাধনা সাধ্য হয় না। গুরু সিরাজ সাঁই এর নির্দেশে লালন কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়া গ্রামে আখড়া করেন। যেখানে তিনি তার শিষ্যদের নীতি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিতেন।
তার শিষ্যরা তাকে “সাঁই” বলে সম্বোধন করতেন। তিনি প্রতি শীতকালে আখড়ায় একটি ভান্ডারা (মহোৎসব) আয়োজন করতেন। যেখানে সহস্রাধিক শিষ্য ও সম্প্রদায়ের লোক একত্রিত হতেন এবং সেখানে সংগীত ও আলোচনা হত।
ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৪ তম তিরোধান দিবস
আগামী ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মরমি সাধক বাউল ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবস। এ উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া লালন আখড়াবাড়িতে তিন দিনব্যাপী লালন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং লালন অ্যাকাডেমির আয়োজনে তিন দিনব্যাপী লালন মেলা হবে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে হাজারো লালন ভক্ত অনুসারীরা লালন আখড়াবাড়িতে আসছেন।
১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর, শুক্রবার। সারারাত ধরে লালন শাহ্ তাঁর আখড়ায় শিষ্য ও ভক্তদের সাথে বাউল গানের মাধ্যমে সময় কাটান। ভোর ৫টায় তিনি ভক্তদের উদ্দেশ্যে শেষবারের মতো বলেন, “আমি চলিলাম।” মাত্র আধা ঘণ্টা পর, সত্যি সত্যিই তিনি সকলকে কাঁদিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। বাউল সম্রাট সাধক লালন শাহ্ ১১৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
লালন শাহ্র নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁর মৃত্যুর পর কোনো হিন্দু বা মুসলমান ধর্মীয় রীতি পালিত হয়নি। তাঁর উপদেশ মেনে, ছেউড়িয়ায় তাঁর আখড়ার ভেতর একটি ঘরের মধ্যে তাঁর সমাধি স্থাপন করা হয়, যেখানে তাঁর স্মৃতি ও শিক্ষা আজও গভীরভাবে সংরক্ষিত।
কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া লালন আখড়া
কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত লালন সাঁইয়ের মাজারের কিছু ছবি




লালন
গানের
বৈশিষ্ট্য
লালন ফকিরের গানগুলো মূলত দর্শন, আধ্যাত্মিকতা, মানবতা, প্রেম এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা দ্বারা প্রভাবিত। তার গানগুলোর মধ্যে গভীর দার্শনিক ভাবধারা এবং জীবনের প্রকৃত সত্যের সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি তার গানের মাধ্যমে মানুষকে আত্ম-অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়েছেন এবং সমাজের প্রচলিত নিয়ম ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। লালনের গানগুলো সাধারণত সরল, অথচ গভীর। এগুলো খুব সহজ ভাষায় লেখা, যাতে সাধারণ মানুষও তা বুঝতে এবং অনুভব করতে পারে।
দর্শন ও আধ্যাত্মিকতা:
লালনের গানগুলো মূলত আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক। তিনি গানের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে থাকা ‘মনের মানুষ’ বা আত্মার সন্ধান করতে বলেছেন। তার গানগুলোতে মানবজীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব, আত্মজ্ঞান এবং মৃত্যুর পরম সত্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
উদাহরণ: “খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়,
ধরতে পারলে মন বসানো যেতো,
নাহলে উড়াল দেয়।”
মানবতাবাদ:
লালন বিশ্বাস করতেন, সকল মানুষের ভেতরেই একটি সমান মূল্যবোধ রয়েছে। তিনি তার গানে মানবতাকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে দেখিয়েছেন এবং মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে এমন সমস্ত সামাজিক ও ধর্মীয় নিয়মের সমালোচনা করেছেন।
উদাহরণ: “সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে,
লালন বলে জাতের কি রূপ দেখলাম না এই নজরে।”
প্রেম ও ভক্তি:
লালনের গানগুলোর একটি বড় অংশে প্রেম এবং ভক্তির কথা বলা হয়েছে। এটি দেহতত্ত্ব এবং মনের গভীরতায় প্রবেশ করার জন্য প্রয়োজনীয় ভক্তির ওপর ভিত্তি করে। এই প্রেম কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি সার্বজনীন।
উদাহরণ: “যদি তোর মন লাগে রে, তোকে দিবো রে মন সঁপিয়া।”
অসাম্প্রদায়িক চেতনা:
লালন তার গানে বারবার বলেছেন যে, ধর্ম, জাত, বর্ণ, গোত্রের কোনো গুরুত্ব নেই। মানুষই আসল, এবং মানবতার ওপরে আর কিছু নেই। তিনি সব ধর্মের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন।
উদাহরণ: “মিলন হবে কবে,
আমার মনের মানুষের সনে।”
দেহতত্ত্ব ও আত্মার অনুসন্ধান:
লালনের অনেক গান দেহতত্ত্ব নিয়ে, যেখানে মানবদেহকে একটি মন্দির বা মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আত্মার সন্ধান পেতে হলে দেহের ভেতরেই সেই ‘অচিন পাখি’কে খুঁজতে হবে, যা সহজে ধরা যায় না। এই অচিন পাখি হলো আত্মার প্রতীক।
উদাহরণ: “আসল সুরে ঘুরে,
অচিন পাখি সেই রে।”
সুর ও গায়কী:
লালনের গানগুলো বাউল সংগীতের অন্তর্গত। এগুলোর সুর অত্যন্ত সুরেলা, মনমুগ্ধকর এবং সহজবোধ্য। বাউলরা সাধারণত একতারা, দোতারা, খোল, ঢোল, করতাল প্রভৃতি ব্যবহার করে গান পরিবেশন করেন। লালনের গানগুলোতে বাউল সুরের একটি বিশেষ প্রভাব রয়েছে, যা শ্রোতার হৃদয় স্পর্শ করে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর , বিবিসি বাংলা
আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম