গরমে-স্বস্তি-পেতে-কি-করনীয়-take-care-of-yourself-নিজের-যত্ন-নিও-winter-seassion-x-bfa-x-fxyz

গরমে স্বস্তি পেতে কি করনীয়?

গ্রীষ্মকালীন এই উষ্ণ আবহাওয়া নিজের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল হাইড্রেটেড থাকা। গরমে ঘামের সাথে প্রছুর পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, এমন সময় ডিহাইড্রেশন হতে পারে। যা হিট স্টক এর মত ঝুকিতে ফেলতে পারে।

এই চরম গরমে নিজের যত্ন নেয়া জরুরি। বেশি তাপমাত্রায় ত্বক যেমন নিস্তেজ হয়ে যায় তমনি প্রভাব পরে জীবনযাত্রায়। চাই বারতি যত্ন।

২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে গরম বছর ছিল। তবে জলবায়ুর প্যাটার্ন এল নিনো আবারও ফিরে আসায় ২০২৪ সাল বিগত বছরের চেয়েও আরও বেশি গরম হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। চলমান এল নিনো সম্ভবত পরবর্তী বসন্ত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। পরে ধীরে ধীরে এর প্রভাবগুলো হ্রাস পাবে। এল নিনোর প্রভাব বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই দেখা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে অস্ট্রেলিয়ায় দেখা দেবে খরা, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাবে এবং ভারত / বাংলাদেশ এই অঞ্চলের বর্ষা দুর্বল হয়ে বৃষ্টিপাত অনেক কমে যাবে।

আসুন জেনে নেই কিছু বিষয় যা এই গরমে জীবনযাত্রা কিছুটা সহজ হবে। 

হাইড্রেটেড থাকা

গ্রীষ্মকালীন এই উষ্ণ আবহাওয়া নিজের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল হাইড্রেটেড থাকা। গরমে ঘামের সাথে প্রছুর পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, এমন সময় ডিহাইড্রেশন হতে পারে। যা হিট স্টক এর মত ঝুকিতে ফেলতে পারে। বাইরে বেরোলে অবশ্যই সঙ্গে একটি পানির বোতল রাখার চেষ্টা করুন এবং নিয়ম করে পানি পান করুন। এছাড়া ডিহাইড্রেশনের সমস্যা এড়াতে পান করতে পারেন যে সব পানীয়।

ডাবের পানি:

গরমে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা এড়াতে রোজ ডাবের পানি পান করতে পারেন। ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক গুণে ভরপুর। ডাবের পানিতে রয়েছে ইলেকট্রোলাইট। এটি নিয়মিত পান করলে শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকে।

আখের রস:

গরমের দিনে আখের রস পান করার অর্থ হল শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে তোলা। শরীর তো হাইড্রেট থাকেই এবং লিভারও সুস্থ থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীরাও গরমকালে আখের রস পান করতে পারেন।

দইয়ের ঘোল:

গরমের দিনে এক গ্লাস ঘোল আপনাকে সতেজতা বোধ করাতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত গরমে টক জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। সামান্য বিট নুন, ভাজা জিরে গুঁড়ো আর পুদিনা পাতা মিশিয়ে ঘোল পান করলে আপনি ফ্রেশ ফিল করবেন।

কাঁচা আমের শরবত:

গরমের সময় অর্থাৎ কাঁচা আমের মরসুম। এই কাঁচা আম ভিটামিন এ, বি ১, বি ২ এবং সি-তে ভরপুর। এই ফল দিয়ে তৈরি শরবত গরমে পান করলে শরীরে বজায় থাকবে সোডিয়াম পটাশিয়ামের ভারসাম্য। তার সঙ্গে আপনি হাইড্রেট থাকবেন সবসময়।

তরমুজের রস:

এছাড়া খুব সহজে তরমুজের রস খেতে পারেন। তরমুজ হচ্ছে এমন একটি গ্রীষ্মকালীন ফল যা খেয়েও আপনি নিজেকে হাইড্রেট রাখতে পারেন। চিনি ছাড়া এই ফলের জ্যুস তৈরি করুন। এতেও কাজ মিলবে। এর পাশাপাশি কমবে ওজন।

গরমে সুস্থ থাকতে যে সব খাবার খাবেন
.

আমাদের পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে, কিছু খাবার গরমে খাদ্য তালিকা থেকে কমিয়ে দিতে হবে অথবা কোন কোন খাবার একেবারেই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। খাদ্য গ্রহনে অসচেতনতার কারণে আমাদের কনেক দীর্ঘমেয়াদি রোগ হয়। যেমন- ১. শরীরের অতিরিক্ত ওজন, ২. ডায়াবেটিস, ৩. ইনসুলিন রেসিসটেন্স, ৪. উচ্চ রক্তচাপ, ৫. হৃদরোগ।
.


কোনো ব্যক্তি যদি উপরোক্ত যে কোনো ১টি বা সবগুলোতে ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয় তবে তাদের এই গরমে কিছুটা স্বস্তির জন্য অত্যন্ত সজাগ হতে হবে কেন না প্রচণ্ড গরমে শরীরের মধ্যে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন- ১. দেহে সোডিয়াম কমে যাওয়া, ২. পটাসিয়াম কমে যাওয়া, ৩. বমি হওয়া, ৪. খাদ্য হজম না হওয়া ও পেট ফাপা, ৫. ডায়রিয়া, ৬. আমাশয়, ৭. জ্বর।

গরমে এ শারীরিক পরিবর্তনগুলোকে প্রতিরোধ করতে খাবারের গুরুত্ব অপরীসিম। গরমে সঠিক পুষ্টির লক্ষ্যে সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সে দিকগুলো খেয়াল রাখতে হবে তা হল-

নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি পান করা, ঘরের তৈরি শরবত, পানি জাতীয় শাকসবজি ও ফল বেশি খাওয়া।

গরমে মাছ, মাংস, ভুনা, ভাজি, খিচুড়ি, পোলাও, ফাস্টফুড কমিয়ে পাতলা আম ডাল, পাতলা দুধ, টকদই, করলার ঝোল তরকারি, লেবু চিনির শরবত, সালাদ, রসালো ফল খাওয়া যেতে পারে।

গরমে সাদা ভাত, পোলাও, বিরানি, খিচুড়ি পরোটা থেকে অনেক বেশি খাদ্যোপযোগী।

বাহিরের খোলা জায়গার পানি, শরবত, আখের রস পরিহার করা উচিৎ, এগুলো গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া, আমাশয় হতে পারে।

ত্বকের যত্ন

বেশি তাপমাত্রায় ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে। গরমের এই সময় তৈলাক্ত ত্বক আরও বেশি নাজেহালের শিকার হয়। আর শুষ্ক ত্বকে এসব সমস্যা দেখা না দিলেও রোদে পোড়াভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পানি পান করতে হবে নিয়মিত। পানি দেহে ভেতর থেকে যেমন শরীর আর্দ্র রাখে তেমনি বাইরে থেকে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে দুই-তিন ঘণ্টা পরপর পানি দিয়ে মুখমণ্ডল ধোয়া দরকার। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ওয়াটার বেজড ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো। এছাড়া ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজার। গরমে হালকা-ধর্মী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়।

ত্বকের যত্ন নেয়াটা ও খুবই জরুরী এই গ্রীষ্মে। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্নির দীর্ঘায়িত এক্সপোজারের ফলে রোদে পোড়া, অকাল বার্ধক্য এমনকি কান্সার ও হতে পারে। ত্বককে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার জরুরি। আর একবার নয়, বার বার মাখার পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো ভিত্তিক ত্বক-বিশেষজ্ঞ এলিজাবেথ মুলান্স।

ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক ত্বক-বিশেষজ্ঞ একই প্রতিবেদনে বলেন, “প্রতি দুঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন মাখা উচিত। এটা ত্বক যেমন রোদপোড়া থেকে রক্ষা করে তেমনি ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও কমায়।”
“আর ঠোঁটে মাখতেও ভোলা যাবে না। বাজারে শুধু ঠোঁটে ব্যবহার করার জন্য আলাদা সানস্ক্রিন পাওয়া যায়।

গরমে পোশাক

গরম এলেই সবার মনে পোশাক নিয়ে প্রশ্ন আসেই। কী পরলে আরাম পাওয়া যাবে? অনেকেই গরমে ঘেমে একাকার হয়ে যান। এমন সময়  অনেকেই চিন্তিত থাকেন গরমে স্টাইলের সঙ্গে কোন পোশাকটি আমাদেরকে আরাম দেবে। তাই গরমে আমরা বাসা থেকে বেরোতে গেলেই আরামদায়ক পোশাক খুজে থাকি। আবার স্টাইলের কথাও মাথায় রাখতে হয়। তাই আমরা এমন পোশাক বেছে নিয়ে থাকি যেটা স্টাইল এবং আরাম দুই-ই দেবে।  

রং ও ডিজাইনের পার্থক্যে সুতি বা হালকা ফেব্রিক্সের কুর্তি পরতে পারেন। ছেলেদের সূত্র একই। গরমে  হালকা রঙের পোশাক ব্যবহার করুন। হালকা নীল, সাদা, গোলাপি, লেমন কালার, হালকা বেগুনি, আকাশি– এসব রঙের পোশাকই গরমে আরামদায়ক।
অনেকেই নিয়মিত শাড়ি পরে অফিস করেন। আবার বিশেষ দিনগুলোতেও নারীরা শাড়ি পরে থাকেন। সেক্ষেত্রে সুতির ছাপা শাড়ি, ব্লক, টাঙ্গাইলের শাড়ি অথবা ব্লক-বাটিকের সুতি ট্রেন্ডি শাড়ি, অ্যাপ্লিকের শাড়ি পরতে পারেন। ব্লাউজের ক্ষেত্রে পেছনের গলা বড় রাখতে পারেন। থ্রি-কোয়ার্টার বা হাফহাতা হলেও বেশ আরামদায়ক হবে। সেসঙ্গে গরমে স্বস্তি পেতে হালকা রঙের শাড়ি পরুন।
ফ্যাশনে ওভার সাইজ ফতুয়া, টি-শার্ট জনপ্রিয়তা অনেক। গরমে নারী-পুরুষ সবাই জিন্সের সঙ্গে ড্রপ সোল্ডার/ ওভার সাইজ টি-শার্ট পরতে পারেন। এছাড়াও নারীরা ফতুয়ার সঙ্গে ধুতি সালোয়ার, পালাজো বা স্কার্টও পরতে পারবেন। এ সময় হালকা রঙের পোশাক বেছে নেয়াটা বুদ্ধিমানের।

ছবিসূত্র: অরন্য ফ্যাশন হাইজ

Aranya | অরণ্য

অরণ্য | ARANYA

u003cemu003eঅরণ্য একটি দর্শন, যার মূলে রয়েছে প্রাকৃতিক নান্দনিকতা এবং দায়িত্বশীল জীবনযাপন। রুবি গজনবী হাতেই ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত অরণ্য যা পরবর্তিতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কাছে বিক্রি করে দেন।u003c/emu003e



June 15, 2024

বুবুর নোলক

fayze hassan
হঠাৎ করে নাকের নোলকটি খুলে আমার হাতে দিয়ে চোখের জলের মাঝে সেই অভ্রান্ত লাজুক হাসিটি…
June 15, 2024

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

আপনার একটি শেয়ার আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!