বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ আয়োজন করেন ‘ জামদানি নকশা সংরক্ষণ ’ শীর্ষক সেমিনার । সেমিনারের জামদানি নকশা সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রধান গবেষক চন্দ্রশেখর সাহা দুই বছর ধরে গবেষণা করছেন দেশের জামদানির নকশা, জামদানি শিল্পের বর্তমান অবস্থা নিয়ে।
বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের উদ্যোগে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ফান্ড ফর কালচারাল প্রিজারভেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় কারুশিল্পের সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন ও কারুশিল্পীদের প্রাণিত করার লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ এ দেশের কারুশিল্পকে সংরক্ষণ, প্রচার ও প্রসারের কাজ করছে। জামদানি তাঁতিদের অধিকার রক্ষা করা, কারুশিল্পের সঙ্গে যুক্ত নানা ধরনের মানুষকে নিয়ে কর্মশালা, সভা আয়োজন, নিবিড় গবেষণা, তা প্রকাশসহ নানা কাজ করে চলেছে তারা।
ঐতিহ্যবাহী নকশা ও বুননের কারণে ২০১৬ সালে জামদানিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।
সেমিনারে গেস্ট অব অনার ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা স্টিফেনস বল্গুম বার্নিকাট। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতারি মমতাজ ও জাতীয় জাদুঘরের মহাসচিব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।
এ প্রকল্পে জামদানি তৈরির ক্ষেত্রে ৩৫৯টি নকশা আবিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে পাড় ৪৫টি, বুটি ৩৩টি, তেছরি ২১টি, জাল ৭টি, ছিটা ৫টি, আঁচল ৭টি ও হইসা ৪টি। পুরাতন নকশা পাওয়া গেছে ৪টি। ৩টি কর্মশালার মাধ্যমে ১৪২ তাঁতিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মিলনায়তনের বাইরে জামদানি প্রদর্শিত হয়।
জামদানি নকশা সংরক্ষণ
জামদানির শুদ্ধ ও প্রচলিত নকশা













প্রদর্শিত শাড়ি




জামদানি নকশা




















ব্যানার

পত্রিকার ফিচার



সময় এবং স্থান
জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ সেমিনারের আয়োজন করা হয় ।
তথ্যসূত্র : দৈনিক সমকাল এবং দৈনিক প্রথম আলো | চিত্রসূত্র : ফেসবুক এবং বাংলাদেশ ফ্যাশন আর্কাইভ নিজস্ব
Facebook link : Bangladesh Fashion Archive
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :