দীপাবলীর ঐতিহাসিক পটভূমি
দীপাবলীর মূল উৎস হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী থেকে উদ্ভূত। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাহিনীটি হলো রামায়ণের। বলা হয়, এই দিনেই অযোধ্যার রাজা শ্রীরাম ১৪ বছরের বনবাস শেষে লঙ্কার রাজা রাবণকে পরাজিত করে ফিরে আসেন। অযোধ্যাবাসীরা তাদের প্রিয় রাজা রাম, দেবী সীতা এবং ভ্রাতা লক্ষ্মণকে বরণ করার জন্য পুরো নগরীতে দীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করেন। সেই থেকেই দীপাবলীর প্রথা শুরু হয়, যা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয়কেই প্রতীকায়িত করে।
অন্য এক কাহিনী অনুযায়ী, এই দিনে দেবী লক্ষ্মী সমুদ্র মন্থন থেকে আবির্ভূত হন এবং তাঁকে সম্মান জানিয়ে এই উৎসব পালিত হয়। এছাড়া, নারকাসুর বধের কাহিনিও দীপাবলীর সঙ্গে যুক্ত। কৃষ্ণ অশুভ রাজা নারকাসুরকে বধ করেন এবং সেই বিজয়কে স্মরণ করে দীপাবলী উদযাপন করা হয়।
দীপাবলীর প্রতীকী তাৎপর্য
দীপাবলীর সবচেয়ে বড় প্রতীক হলো আলো। অন্ধকারকে দূর করে আলো দিয়ে পথ দেখানো, অশুভকে জয় করে শুভকে প্রতিষ্ঠা করা—এই মূল বার্তা নিয়ে দীপাবলী উদযাপিত হয়। অন্ধকার কেবল বাহ্যিক নয়, এটি মানুষের জীবনের সকল প্রকার অকল্যাণ, দুঃখ-কষ্ট ও নেতিবাচক শক্তিকে ইঙ্গিত করে। দীপাবলীর আলো সেই অন্ধকারকে দূর করে জীবনে শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে।
দেবী লক্ষ্মীর পূজা, প্রদীপ জ্বালানো, আলোকসজ্জা এবং আতশবাজি এই উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাশাপাশি, এটি বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, এবং মানবিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার সময়। এই সময়ে পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় হয় এবং সকলকে একত্রিত করে আনন্দ ও মিলনের উৎসব হিসেবে দীপাবলী পালিত হয়।
আপনার একটি শেয়ার আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা

ধর্মীয় আচার ও ভক্তির মহোৎসব: মাঘী পূর্ণিমার উদযাপন
bdfashion archive
অগ্রহায়ণের নবান্ন: বাংলার কৃষি ঐতিহ্যের মহোৎসব
bdfashion archive
শুভ দীপাবলী: অশুভ শক্তির পরাজয় ও শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক
bdfashion archive
নদীর ঢেউয়ে ভাসা ঐতিহ্য: নৌকা বাইচের গল্প
fayze hassan
ফ্যাশনে দূর্গা পূজা: ঐতিহ্যের সঙ্গে সৃজনশীলতার উৎসব
fayze hassan