Jamdani জামদানি x bfa x fxyz

জামদানি | মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী

ভোরবেলা সুতো প্রস্তুতের সবচেয়ে ভালো সময়। কেননা, এসময় বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে। এ কারণে দেশের অন্য কোথাও জামদানি তৈরি সম্ভব হয় না।

বাংলাদেশের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জামদানি

বলা হয় প্রাচীনকালের মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হলো আজকের জামদানি শাড়ি।

তাইতো জামদানি কে স্রেফ কাপড় / শাড়ি বা পণ্য ভাবলে ভুল হবে। জামদানি হচ্ছে বিশেষ ভূগোল ও পরিবেশে শিল্প চর্চার একটি বিশেষ ধরণ, যার মাধ্যমে একজন তাঁতি  সুতা , রং , মাকু এবং তাঁত এর মাধ্যমে এক একটি শিল্প তৈরী করে।

স্বীকৃতি


২০১৩ সালে জামদানী বয়নের অতুলনীয় পদ্ধতি ইউনেস্কো কর্তৃক একটি অনন্যসাধারণ নির্বস্তুক সংস্কৃতিক ঐতিহ্য (ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেইজ) হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে ।

ঐতিহ্যবাহী নকশা ও বুননের কারণে ২০১৬ সালে জামদানিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।

jamdani saree

জামদানি শাড়ি গ্যালারি

PICTURE OF JAMDANI SAREE



জামদানি সম্পর্কে বিস্তারিত

আলাদা আলাদা করে বর্ণনা দেয়া আছে। জানতে ক্লিক করুন –

জামদানি নকশার উৎস

JAMDANI | SOURCE OF THE DESIGN

কারও কারও মতে, জামদানির নকশায় ইরান, ইরাক ও তুর্কি কার্পেট ও লৌকিক নকশার ছাপ রয়েছে। কারও কারও মতে, জামদানির নকশা একান্তভাবে বাংলার তাঁতিদের সৃজনশীলতা পরিচায়ক।

জামদানি বুনন এর কৌশল ও প্রক্রিয়া

জামদানি বুনন এর কৌশল ও প্রক্রিয়া

ওস্তাদ ভরনার সুতা মাকুর সাহায্যে সাগরেদ এর দিকে চালান দেয় এরপর ‘দোপ্তি ’ টেনে কান্ডুর দয়ে  নিখুঁত ভাবে ঘুরিয়ে জামদানির মুল নকশা তোলা হয় ।

tools of jamdani weaving

জামদানি তৈরিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম

‘জামদানি’ হচ্ছে বিশেষ ভূগোল ও পরিবেশে শিল্প চর্চার বিশেষ একটি ধরণ যার মাধ্যমে একজন তাঁতি  সুতা , রং , মাকু , কান্ডুর এবং তাঁত এর মাধ্যমে নৈপুণ্য শিল্প তৈরী করে ।

জামদানি তৈরির বিভিন্ন স্তর

জামদানি তৈরির বিভিন্ন স্তর

‘এই শিল্প উৎপাদনের সাথে শুধু তাঁতিই নয়, জামদানি তৈরির প্রতিটি স্তরে যুক্ত আছে বিভিন্ন ঘরাণার মানুষ।

জামদানি শাড়ি বিভিন্ন ধরণ

জামদানি শাড়ি বিভিন্ন ধরণ

কাউন্ট দিয়ে সুতার মান বোঝানো হয়ে থাকে । যে সুতার কাউন্ট যত বেশি, সেই সুতা তত চিকন হয়ে থাকে ।জামদানি শাড়ির সুতার কাউন্ট সাধারনত ৩২ থেকে ২৫০ কাউন্টের হয়ে থাকে । 

how to recognize jamdani

আসল জামদানি শাড়ি চেনার উপায়

জামদানি বুননে মুলত  প্রতিটি নকশার  সুতা  ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নকশা তোলা হয় । যার ফলে  সুতার কোন অংশ বের হয়ে থাকে না। এ কারণে জামদানি নকশায় দুই দিকেই ফুটে উঠে ।

jamdani tate bosar dua

তাঁতে বসার দোয়া

এ কালের শ্রেষ্ঠ জামদানি ওস্তাদ হিসাবে স্বীকৃত হাজি কফিল উদ্দিন ভূঁইয়া ভাষ্যমতে, বালক বয়সে তাঁতে বসার আগে তিনি যে দোয়াটি পাঠ করতেন, তা হিন্দু দেবতা বিশ্বকর্মার উদ্দেশ্যে , দেবতা হিসাবে নয় বরং গুরু ধার্যে ।

জামদানি শাড়ি কাটা করা

জামদানি বানানোর সময় তাঁতিরা সুতাতে মাড় ব্যবহার করে। শাড়ি কয়েকবার পরার পর সেই মাড় গুলো নষ্ট হয়ে যায় বলে শাড়িটা নরম হয়ে যায়।

jamdani markteplace

জামদানি হাট

তাতিঁরা হাত উচিয়ে যখন  শাড়ি  ধরেন তখনই জানান দেয় জামদানি শাড়ির অবস্থান কতটা উঁচুতে।  

jamdani motif preservation

জামদানি নকশা সংরক্ষণ

ঐতিহ্যবাহী নকশা ও বুননের কারণে ২০১৬ সালে জামদানিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।


তথ্যসূত্র

prothomalo.com/ঢাকাই-জামদানির-রঙিন-ভুবন

bbc.com/bengali

bn.wikipedia.org


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

আপনার একটি শেয়ার আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!
Skip to content