ছন ও তালপাতার ঝুড়ি: এক হারিয়ে যাওয়া লোকজ শিল্পের গল্প
ছন আর তালপাতা দিয়ে তৈরি এই ঝুড়িগুলো শুধু প্রয়োজন মেটাতো না, গ্রামীণ মানুষের সৃজনশীলতা আর প্রকৃতির সাথে একাত্মতার গল্পও বলতো।
ছন আর তালপাতা দিয়ে তৈরি এই ঝুড়িগুলো শুধু প্রয়োজন মেটাতো না, গ্রামীণ মানুষের সৃজনশীলতা আর প্রকৃতির সাথে একাত্মতার গল্পও বলতো।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলার মৃৎশিল্পীরা সরার নকশা, চিত্রকর্ম, রং এবং আকৃতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এসেছেন। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন, শরৎকালের এই উৎসবে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয়।
দারুশিল্প হলো নকশা খোদাই করা এক ধরনের কাঠ যা দিয়ে বিভিন্ন অলংকৃত আসবাবপত্র তৈরী করা হয়। শুধু আসবাবপত্রই নয়,
যে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান লোকজীবনের সঙ্গে মিশে আছে, বাঁশ-বেত তাদের অন্যতম।
শীতল পাটি একই সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প ও লোকশিল্প। এটি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী একটি শিল্প। মুরতা নামে একধরনের ঝোপজাতীয় গাছের বেত দিয়ে তৈরি হয়।
দেশীয় কারুশিল্পকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরার অন্যতম ধারক হলো “ যাত্রা “ । যা বাংলাদেশের শিকড়কে রঙিন ও আলোকিত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন যাত্রার কর্ণধার আনুশেহ আনাদিল ।
প্রায় ২০০ বছর ধরে তার পূর্বপুরুষেরা এ পেশার সাথে জড়িত। তিনি নিজেই এখন যুগপুরাতন পারিবারিক ব্যবসায়ের রথী হিসেবে এই ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তামা কাসার ঝলক স্তিমিত হয়ে মলিন হয়ে আসে, তবে তাদের ধারণ করে যাদের জীবিকা যাদের সংগ্রাম তারা এখনো স্বপ্ন দেখেন ধীরে ধীরে আবার সমুজ্জল হয়ে উঠবে এই শিল্প আবার আসবে শ্রী সমৃদ্ধি। এই করেই হচ্ছে সংগ্রাম, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম।
এখন প্রায় বিলুপ্তের পথে। বদলেছে যুগ। সেই সঙ্গে বদলে গিয়েছে মানুষের রুচি এবং চাহিদাও।