স্বাধীনতা-পুরস্কার-স্বাধীনতা-পদক-swadhinata-padak-x-bfa-x-fxyz-web

স্বাধীনতা পদক | জাতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ এই স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়

স্বাধীনতা পদক, বাংলাদেশের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ সম্মাননা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে প্রদান করা হয়ে থাকে। । এ বছর ১০ জনকে মনোনিত করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল অবদান ও কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁরা ২০২৪ সালের জন্য এ পদক পাচ্ছেন।

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে। 

শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে মনোনিতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, চিকিৎসাবিদ্যায় একজন, সংস্কৃতিতে একজন, ক্রীড়ায় একজন এবং সমাজসেবায় তিনজন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ এ পদক পাচ্ছেন।   

Swadhinata Padak is the highest civilian award in Bangladesh
The Independence Day Award, also termed Swadhinata Padak,

২০২৪ সালের স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন যারা

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে পুরস্কার পাচ্ছেন কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর)।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ড. মোবারক আহমদ খান


চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ‌


সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান


ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন


সমাজসেবা বা জনসেবায় এ পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন অরণ্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এস এম আব্রাহাম লিংকন।

Introduced in 1977 by president Ziaur Rahman

স্বাধীনতা পদকের শুরু যেভাবে

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পদকের প্রবর্তন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই পুরস্কারের প্রবর্তক ।

১৯৭৭ সালে ১০ জন ব্যক্তিত্বকে জাতীয় জীবনে তাদের অসাধারণ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা পুরস্কার” সম্মাননায় ভূষিত করা হয়; যাদের মধ্যে ৫ জনকে “মরণোত্তর” সম্মাননা প্রদান করা হয়। সমাজসেবায় মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে মরণোত্তর পদক দেয়া হয়। সাহিত্যের জন্য কাজী নজরুল ইসলাম এবং সংস্কৃতি
(চারুকলা) জন্য শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়।

Swadhinata Padak

স্বাধীনতা পদক

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি পান ৫ লাখ করে টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, ( পদকের একটি রেপ্লিকা) ও একটি সম্মাননাপত্র। প্রাথমিকভাবে দেয়া অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার ছিল। ২০১৩ সাল থেকে ২ লাখ টাকা করে দেয়া হতো। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের মে মাসে ৩ লাখ এবং সবশেষ ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়।

content writer

আপনার একটি শেয়ার আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা


facebook page link : BFA



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Instagram did not return a 200.
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Your share and comment are an inspiration to us

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!