শিল্পী মনসুর উল করিম monsur ul karim

artist monsur ul karim

শিল্পী মনসুর উল করিম | MONSUR UL KARIM

রাজবাড়ির বিজয়নগরে গড়ে তুলেছেন ‘বুনন আর্ট স্পেস’। এদেশে শিল্পকলার জন্য ব্যাক্তিগত পর্যায়ে গড়ে তোলা একমাত্র প্রতিষ্ঠান।

শিল্পী মনসুর উল করিম এর জন্ম ১৯৫০ সালের ১ জুন, রাজবাড়ি। চারুকলা ইনস্টিটিউট (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ) থেকে স্নাতক ১৯৭২ সালে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের এই ব্যাচের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিল্পী কীর্তিমান হয়েছেন। তিনি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৭৪ সালে।

শিল্পী মনসুর উল করিম

কর্মজীবন

মনসুর উল করিম চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৭৬ সালে। ২০১৫ সালে অধাপক হিসেবে অবসর গ্রহন করেন। সেই সঙ্গে টচ্রগ্রাম এবং চট্রগ্রাম বিশ্বদ্যালয়ের মায়া ছেড়ে চলে আসেন রাজবাড়িতে। রাজবাড়ির বিজয়নগরে গড়ে তুলেছেন ‘বুনন আর্ট স্পেস’। যেখানে রয়েছে গ্যালারি, মিউজিয়াম, উন্মূক্ত মঞ্চ। ব্যবস্থা রয়েছে অনেক লোকের থাকার। ‘বুনন আর্ট স্পেস’ এদেশে শিল্পকলার জন্য ব্যাক্তিগত পর্যায়ে গড়ে তোলা একমাত্র প্রতিষ্ঠান।

ক্যানভাস

তাঁর কাজে উঠে এসেছে শ্রমজীবি মানুষ। মানুষের সঙ্গে তুলে এনেছেন তার পরিবেশ। পরিবেশই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। তাই তিনি তাঁর ক্যানভাসে মানুষ ও প্রকৃতি একাকার করে দিয়েছেন। আধাবিমূর্ত ফিগার, ছন্দবদ্ধ রঙ তাঁর কাজে নিজস্বতা এনে দিয়েছে।

সম্মাননা

মনসুর উল আলম দেশি বিদেশি বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত একাদশ জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী থেকে পুরস্কার লাভ করেন।১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ৬ষ্ঠ এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল পদক লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে ভারতীয় ললিতকলা একাডেমি আয়োজিত ৮ম ভারতীয় ত্রিবার্ষিক আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী থেকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেন। চিত্রকলায় সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০০৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন।২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সুলতান পদক লাভ করেন।

চিত্রকলায় সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০০৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

মৃত্যু

মনসুর উল করিম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন

ফটো জার্নালিস্ট মোহাম্মদ আসাদ এর ডায়েরি থেকে

মনসুর উল করিমের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ১৯৯৮ সালে। তারপর দুই বার চট্রগ্রামে গিয়ে নানা কারনে দেখা করেতে পারিনি। ২০০৯ সালে ঢাকায় দেখা হলে এই ড্রইংটুকু সংগ্রহ করি। তাঁর ছবিটি ১৯৯৮ সালে তোলা। 

শিল্পী মনসুর উল করিম
শিল্পী মনসুর উল করিম | সংগ্রাহক : মোহাম্মদ আসাদ
শিল্পী মনসুর উল করিম

শিল্পী মনসুর উল করিম

আলোকচিত্রটি ১৯৯৮ সালে তোলা

আলোকচিত্রী : মোহাম্মদ আসাদ

শিল্পী মনসুর উল করিম

আলোকচিত্রটি ২০১০ সালে তোলা

আলোকচিত্রী : মোহাম্মদ আসাদ

শুভ জন্মদিন

শিল্পী মনসুর উল করিম

শুভ জন্মদিন শিল্পী মনসুর উল করিম

facebook id :

https://www.facebook.com/monsurulkarim.visualartist

facebook থেকে নেয়া :

মন্তব্য করেন | 

Miraj Ul Islam

‘একুশে পদক’ পেয়েছেন শিল্পী ২০০৯ সালে।

Altaf Hossain

আপাদমস্তক একজন আত্মমগ্ন চিত্রশিল্পী। আমার অতি প্রিয়জন। তাঁর বুনন আর্ট স্পেসে আমি বহুবার গেছি।

কখনও একা।

কখনও আমার পরিবার নিয়ে।

গেছি বন্ধুস্বজন সহ। কখনও গেছি আর্টমনস্ক ফরিদপুরের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে। আমার সকল উৎপাত মনসুরভাই হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। ব্যতিক্রমি চরিত্রের এই গুনী মানুষটির দীর্ঘ সৃজনশীল জীবন কামনা করি।


আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Instagram did not return a 200.
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Your share and comment are an inspiration to us

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!