শিল্পী রুহুল আমিন কাজল এর জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৩ অগাষ্ট, ময়মনসিংহ। তিনি ঢাকা আর্ট এন্ড ক্রাফট কলেজ (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ) ভর্তি হন ১৯৭৩ সালে মৃৎশিল্প বিভাগে। ডিপ্লোমা শেষ করে ‘ফাইন আর্টস’ ডিপার্টমেন্ট থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন ১৯৮২ সালে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন।
শিল্পী রুহুল আমিন কাজল
কর্মজীবন
রুহুল আমিন কাজল ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার আগেই চলে যান ডেনমার্কে। সেখানেই তিনি স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। প্রতি বছরই দেশে আসেন, নতুন কাজ প্রদর্শন করেন। তিনি প্রদর্শনী করছেন বিদেশের মাটিতেও।
চারুকলার জীবন ও ক্যানভাস
নানা জটিলতায় রুহুল আমিন কাজল চারুকলায় লম্বা একটা সময় অতিবাহিত করেছেন। অনেকগুলো ব্যাচের সঙ্গে মেশা এবং কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সেই অভিজ্ঞতার প্রভাব রয়েছে তার ক্যানভাস ও অন্যান্য শিল্পকর্মে। তিনি ট্রাফিক আর্ট করে সমাদৃত হয়েছেন দেশে-বিদেশে। তাঁর করা ট্রাফিক আর্ট হচ্ছে আমাদের চিরায়ত আলপনার নবরূপ। তিনি ট্রাফিক আর্টে আলপনার বাইরেও আমাদের ফোক আর্টের নানা উপাদান যোগ করেছেন।
গিনেস বুক ও ট্রাফিক আর্ট
১৯৯৪ সালে সুইডেনে কার্নিভালে ট্রাফিক আর্ট করে নাম লিখিয়েছেন ‘গিনেজ বুক অব রেকর্ড’এ। তাঁর ‘কলোনি’ সিরিজের কাজগুলো সমাদৃত হয়েছে। তিনি নানা রকম চিন্তা উপস্থাপন করছেন তাঁর ক্যানভাসে। ডেমোক্রেজি, কিলিজিয়ন, ইভিলাইজেশন’ শিরোনাম ব্যবহার করে নতুন শব্দ তৈরি করেছেন।
ফটো জার্নালিস্ট মোহাম্মদ আসাদ এর ডায়েরি থেকে
১৯৯৯ সালে রুহুল আমিন কাজল দেশে এসে গেটে ইনস্টিটিউটের সামনের প্রাঙ্গন ও রাস্তা ট্রাফিক আর্টে রঙিন করে তোলেন। সেখানে গিয়ে দেখা করি তাঁর সঙ্গে। কাজ শেষে বিকেলে ছাদ আড্ডায় কথা হয়। বেশির ভাগ কথাই ছিল ডেনমার্কে শিল্পচর্চা নিয়ে। আমাকে এঁকে দেন ‘চলার পথে কলার কথা’


শিল্পী রুহুল আমিন কাজল
আলোকচিত্রটি ১৯৯৯ সালে তোলা
আলোকচিত্রী : মোহাম্মদ আসাদ







