Humayun Ahmed হুমায়ূন আহমেদ x bfa x fxyz 2

বাংলা সাহিত্যে স্বপ্ন ও সংলাপের জনক: হুমায়ূন আহমেদ

হুমায়ূন আহমেদ তার গানের মত করেই অচিন দেশে, অচিন কোনো গাঁয়ে চলে গেছেন ২০১২ সালের ১৯ জুলাই এক অমাবস্যা রাতে। যদিও তার আকুতি ছিলো এক চাঁদনী…

এখন যাবো অচিন দেশে, অচিন কোনো গাঁয়
চন্দ্র কারিগরের কাছে ধবল পঙ্খী নায়
ও কারিগর, দয়ার সাগর, ওগো দয়াময়
চাঁদনী পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয় ।

Humayun
Ahmed

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক, নাট্যকার, এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ তার গানের মত করেই অচিন দেশে, অচিন কোনো গাঁয়ে চলে গেছেন ২০১২ সালের ১৯ জুলাই এক অমাবস্যা রাতে। যদিও তার আকুতি ছিলো এক চাঁদনী পসর রাইতের। তিনি চাঁদের আলো এবং পূর্ণিমা রাতের মায়াবী সৌন্দর্যকে নিয়ে বারবার লিখেছেন, যা তার কল্পনাশক্তিকে প্রভাবিত করেছিল। তাঁর অনেক চরিত্র, বিশেষ করে হিমু, পূর্ণিমা রাতে হাঁটতে ভালোবাসে এবং চাঁদের আলোতে মিশে যাওয়ার মধ্য দিয়ে এক ধরনের আত্মিক অনুভূতি খুঁজে পায়। তাঁর লেখায় চাঁদকে শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, বরং এক ধরনের সান্ত্বনা, মাধুর্য ও রহস্যময়তার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। চাঁদনী আলোর মতই তিনিও ছিলেন বেশ রহস্যময়। তার রচিত আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা থেকে জানা যায় যে ছোটকালে হুমায়ূন আহমেদের নাম রাখা হয়েছিল শামসুর রহমান; ডাকনাম কাজল। তার পিতা (ফয়জুর রহমান) নিজের নামের সাথে মিল রেখে ছেলের নাম রাখেন শামসুর রহমান। পরবর্তীতে আবার তিনি নিজেই ছেলের নাম পরিবর্তন করে ‌হুমায়ূন আহমেদ রাখেন।

১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ সালে ময়মনসিংহের কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণকারী হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে পরিচিত এই সাহিত্যিক সংলাপ প্রধান নতুন শৈলীর জনক এবং আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ। তাঁর লেখা বইগুলো সাধারণত সহজ, সরল ভাষায় এবং হালকা হাস্যরসের মাধ্যমে মানুষের জীবনের নানা দিক তুলে ধরে, যা পাঠকদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত মনে হয়। তাঁর সৃষ্ট জনপ্রিয় চরিত্রগুলোর মধ্যে মিসির আলি, হিমু এবং শুভ্র উল্লেখযোগ্য।

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ১৯৯৪ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

শিক্ষাজীবন

ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার কেমিস্ট্রি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশে ফিরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। কিছু সময় পরেই লেখালেখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তিনি শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

লেখক হিসেবে জনপ্রিয়তা

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৭২ সালে প্রকাশিত “নন্দিত নরকে” উপন্যাসের মাধ্যমে সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেন, যা বাংলা সাহিত্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপর তিনি একের পর এক জনপ্রিয় উপন্যাস রচনা করেন, যেমন “শঙ্খনীল কারাগার,” “মধ্যাহ্ন,” “জোছনা ও জননীর গল্প” ইত্যাদি। তাঁর গল্পগুলো সহজ ভাষায় রচিত, এবং মজার, আবেগময় ও জীবনঘনিষ্ঠ ছিল, যা সাধারণ পাঠকদের হৃদয়ে গভীরভাবে স্থায়ী হতে পেরেছে। এছাড়াও মাতাল হাওয়া, লীলাবতী, কবি, এবং বাদশাহ নামদার সহ বহু বিখ্যাত উপন্যাস রচনা করেন।

সৃষ্ট চরিত্র

হুমায়ূন আহমেদ কয়েকটি অমর চরিত্র সৃষ্টি করেছেন যা বাংলা সাহিত্যে অমলিন হয়ে আছে। হিমু (একজন বোহেমিয়ান, উদাসীন তরুণ) এবং মিসির আলি (একজন যুক্তিবাদী অধ্যাপক ও রহস্য-সমাধানকারী) তাঁর লেখায় অন্যতম জনপ্রিয় দুটি চরিত্র। শুভ্র চরিত্রটি তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিল তার সৎ ও কোমল মানসিকতার জন্য।

নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণ

হুমায়ূন আহমেদ টিভি নাটক রচনা ও পরিচালনা করে বাংলা নাটকে নতুন ধারা প্রবর্তন করেন। তাঁর নির্মিত নাটকগুলো, যেমন “এই সব দিনরাত্রি,” “বহুব্রীহি,” “কোথাও কেউ নেই,” ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

ব্যক্তিগত জীবন

হুমায়ূন আহমেদ ব্যক্তিগত জীবনে দুইবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাম গুলতেকিন খান, যাঁর সাথে তাঁর চার সন্তান—নুহাশ, নোভা, শীলা এবং শুভ। পরে মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের দুই সন্তান—নিনিত ও নন্দিত।

শেষ জীবন ও মৃত্যু

হুমায়ূন আহমেদ তাঁর জীবনের শেষ কয়েকটি বছর ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যুর পর তাঁকে তাঁর প্রিয় নুহাশ পল্লীতে সমাহিত করা হয়, যেখানে তিনি জীবনের শেষ সময় কাটিয়েছেন।

হুমায়ূন আহমেদের নাটক-সিনেমা কেন এত জনপ্রিয়

হুমায়ূন আহমেদের নাটক ও সিনেমা বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে এতটাই জনপ্রিয় কারণ তার কাজগুলোতে তিনি সাধারণ মানুষের জীবন, হাস্যরস, দুঃখ-কষ্ট, এবং স্বপ্নকে অত্যন্ত সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর নাটক ও সিনেমাগুলো দেখতে দর্শক মনে করতেন, যেন এগুলো তাঁদেরই জীবনের গল্প। কিছু কারণ যা তাঁর নাটক ও সিনেমাকে জনপ্রিয় করেছে:

হুমায়ূন আহমেদ Humayun Ahmed

বাস্তবতা ও জীবনের সাধারণ গল্প

হুমায়ূন আহমেদ সাধারণ মানুষের জীবনের হাসি-কান্না, প্রেম-বিরহ, স্বপ্ন ও সংগ্রামকে তাঁর নাটক ও সিনেমায় তুলে ধরতেন। তাঁর কাহিনিগুলো ছিল বাস্তবিক এবং প্রায় প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে দর্শকরা নিজেদের খুঁজে পেতেন। “এই সব দিনরাত্রি,” “বহুব্রীহি,” এবং “কোথাও কেউ নেই” নাটকগুলোর চরিত্রগুলো বাস্তব জীবনেরই প্রতিফলন।


অমর চরিত্র ও সংলাপ

হুমায়ূন আহমেদ এমন কিছু চরিত্র সৃষ্টি করেছেন যেগুলো সময়ের সাথে সাথে কালজয়ী হয়ে উঠেছে। বাকের ভাই (কোথাও কেউ নেই নাটকের চরিত্র) বা মাজেদা খালা (বহুব্রীহি নাটকের চরিত্র) তার কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। দর্শক এই চরিত্রগুলোর সাথে একাত্ম অনুভব করতেন এবং তাঁদের প্রতি আবেগপ্রবণ হয়ে উঠতেন। তা ছাড়া কোথাও কেউ নেই নাটকটিকে ঘিরেই অত্যাশ্চর্য ঘটনাটি ঘটেছিল। নাটকের চরিত্র ‘বাকের ভাই’–এর ফাঁসি না দেওয়ার দাবিতে মানুষ রাস্তায় নেমে মিছিল করেছিল। দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো হয়েছিল। যেখানে লেখা ছিল, ‘বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘বদির দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’ ইত্যাদি স্লোগান। যা তাঁর চরিত্রগুলোর জনপ্রিয়তার একটি বড় প্রমাণ।


সরলতা ও হাস্যরস

হুমায়ূন আহমেদ তাঁর কাজগুলোতে এমন হাস্যরস যোগ করতেন যা সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করতো। তিনি মজার সংলাপ এবং বিভিন্ন মজাদার পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে মানুষকে বিনোদিত করতেন, যা বাংলা নাটক ও সিনেমার মান উন্নত করেছে। “বহুব্রীহি” নাটকের দৃশ্য ও সংলাপের হাস্যরস আজও দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। এছাড়া এইসব দিনরাত্রি – “খাইতে ভালো লাগে না, ঘুমাইতে ভালো লাগে না, বাঁচতে ভালো লাগে না… অথচ মরতেও ভালো লাগে না!”। অয়োময় নাটকে মজনু: “আমি কিন্তু অনেক বড় কবি হতে পারতাম, যদি একটু চা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারতাম।” কোথাও কেউ নেই নাটকে বাকের ভাইয়ের তার সহজ, অকপট স্বভাব এবং মজার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে বলেন : “এই ছেলে, আমাকেও একটু দোয়া করবা, আল্লাহ যেন আমারও বউ বানায়।”

হুমায়ূন আহমেদ Humayun Ahmed

পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ

তাঁর নাটক ও সিনেমায় পারিবারিক বন্ধন, সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার দিকগুলো খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরা হতো। এর মাধ্যমে তিনি পরিবার ও সমাজের সাথে দর্শকদের সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হন। উদাহরণস্বরূপ, “আগুনের পরশমণি” সিনেমায় মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে পরিবারের ভালোবাসা ও ত্যাগের চিত্র তুলে ধরেছেন, যা মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

চমৎকার গল্প বলার কৌশল

হুমায়ূন আহমেদের গল্প বলার অনন্য শৈলী ছিল, যা দর্শকদের গল্পে ডুবিয়ে রাখতে সক্ষম হতো। তাঁর সিনেমা ও নাটকগুলো এমনভাবে সাজানো থাকত যে দর্শক প্রাথমিক থেকে শেষ পর্যন্ত একটানা মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকতেন। গল্পের মোড় এবং চরিত্রের দ্বন্দ্বগুলো তাঁর কাজগুলোকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছিল।

হুমায়ূন আহমেদ Humayun Ahmed

সমসাময়িক সামাজিক সমস্যা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি

হুমায়ূন আহমেদ সামাজিক নানা সমস্যাকে তাঁর নাটক ও সিনেমায় উপস্থাপন করেছেন, যা তাঁর কাজগুলোকে আরো বাস্তবধর্মী করেছে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমাজের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও সহানুভূতি তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে এসেছে।

গুণী শিল্পী ও অভিনয়

হুমায়ূন আহমেদের নাটক ও সিনেমায় তিনি গুণী শিল্পীদের নির্বাচন করতেন এবং তাঁদের থেকে সেরা অভিনয়টি আদায় করতেন। তাঁদের দক্ষ অভিনয় এবং সংলাপের সঠিক উপস্থাপনা তাঁর কাজগুলোকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল। যেমন আসাদুজ্জামান নূর, ‘কোথাও কেউ নেই’– নাটকের চরিত্র বাকের ভাই হিসেবে তার শক্তিশালী অভিনয় দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে। এই চরিত্রের মাধ্যমে তিনি দর্শকদের মধ্যে এতোটাই প্রভাব ফেলেছিলেন যে, বাকের ভাইয়ের মৃত্যুদৃশ্য দর্শকদের আবেগপ্রবণ করে তোলে এবং তারা এ নিয়ে প্রতিবাদও করেছিলেন। হুমায়ূন আহমেদের নাটকে বিভিন্ন মজাদার চরিত্রে অভিনয় করে ফারুক আহমেদ দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ‘বহুব্রীহি’ নাটকে তার অভিনয় দক্ষতা দর্শকদের মনে আনন্দ ও হাস্যরসের সঞ্চার করে। এছাড়া মেহের আফরোজ শাওন, হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় বেশ কয়েকটি নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যেগুলো তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে তার অভিনয় তাকে দর্শকদের কাছে প্রিয় করে তোলে। পরবর্তীতে শাওন হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিগত জীবনেও অংশীদার হন এবং তার শিল্পকর্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

এছাড়া অভিনেতা চ্যালেঞ্জার, ‘বহুব্রীহি’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, এবং ‘অয়োময়’ নাটকে দিলারা জামান, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘অয়োময়’, এবং ‘আজ রবিবার’ নাটকে সুবর্ণা মুস্তাফা, ‘বহুব্রীহি’ এবং ‘এইসব দিনরাত্রি’ নাটকে আফজাল হোসেন, শমী কায়সার, টনি ডায়েস, জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম, তৌকির আহমেদ।

সবমিলিয়ে, হুমায়ূন আহমেদের নাটক ও সিনেমাগুলো সাধারণ মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি এবং আবেগের স্পর্শে গঠিত, যা দর্শকদের মনে একটি গভীর ছাপ ফেলে।



Humayun
Ahmed

হুমায়ূন আহমেদের
পুরস্কার ও সম্মাননা

হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রভাবশালী এবং জনপ্রিয় লেখক হিসেবে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তার সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন উল্লেখযোগ্য কিছু সম্মাননা, যার মাধ্যমে তিনি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যে বহুমাত্রিক সৃজনশীলতা উপহার দিয়েছেন, তার জন্য তিনি অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মাননা পেয়েছেন, যা তার কৃতিত্বের সাক্ষ্য দেয়।

সাহিত্য পুরস্কার:

১৯৭৩ সালে বাংলা কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি লেখক শিবির পুরস্কার লাভ করেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার:

১৯৯২ সালে তার লেখা শঙ্খনীল কারাগার চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

অন্য উল্লেখযোগ্য সম্মাননা:

১৯৯৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক প্রদান করে।


আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংক


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Instagram did not return a 200.
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Your share and comment are an inspiration to us

X (Twitter)
Post on X
Pinterest
fb-share-icon
Instagram
FbMessenger
Copy link
URL has been copied successfully!