শিল্পী আলাউদ্দিন আহমেদ এর জন্ম ১৯৪৬ সালের ২২ ডিসেম্বর, কুড়িগ্রাম। কলেজ অব আর্ট এন্ড ক্র্যাফটস (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) থেকে প্রি-ডিগ্রি সম্পন্ন করেন ১৯৬৪ সালে। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিনে জগন্নাথ কলেজ থেকে ডিগ্রি পাশ করেন। আবার চারুকলা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন ১৯৭৭ সালে।
শিল্পী আলাউদ্দিন আহমেদ
কর্মজীবন
প্রি-ডিগ্রি করেই তিনি বিসিক ডিজাইন সেন্টারে চাকরিতে যোগ দেন ১৯৬৭ সালে। ২০০৩ সালে নকশা কেন্দ্রের চীফ ডিজাইনার হিসেবে অবসর গ্রহন করেন। ২০০৬ সালে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ইউডা’র চারুকলা অনুষদে। এখনও আছেন সেখানেই।
তিনি নকশা কেন্দ্রে থাকাকালীন সময়ে লোকশিল্প ও বাংলার মেলা নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। ছিলেন পটুয়া কামরুল হাসানের সহযোদ্ধা। ১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশে প্রথম বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে। সেই মেলা কামরুল হাসান ঢাক বাজিয়ে উদ্বোধন করেন। মেলার আয়োজক ছিলেন আলাউদ্দিন আহমেদ। ঢাকায় বৈশাখী মেলা, খুলনায় বসন্ত মেলা, রংপুরে পৌষ মেলা ও সিলেটে নবান্ন মেলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাঁর শ্রমে। এই মেলা আয়োজনের মাধ্যমে লোকশিল্পীদের উন্নয়ণ ও লোকশিল্প প্রসারে ভূমিকা রেখেছেন। সেই সঙ্গে তিনি ছবি এঁকে চলেছেন নিয়মিত।
ফটো জার্নালিস্ট মোহাম্মদ আসাদ এর ডায়েরি থেকে
১৯৯৮ সালে মতিঝিল নকশা কেন্দ্র অফিসে গিয়ে দেখা করি আলাউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তখন তিনি সেখানে প্রধান নকশাবিদ। তিনি পটুয়া কামরুল হাসান, ইমদাদ হোসেনের সঙ্গে কাজ করার গল্প শুনালেন। সঙ্গে আমাদের লোককলার গল্প। একটু ড্রইং করে দিতে বললে তিনি আমার হাতে তুলে দেন অয়েল কালারেরর একটি ছোট্ট কাজ। দুটি ক্যানভাস এক সঙ্গে বসানো। প্রতিটি ক্যানভাসের মাপ দুই ইঞ্চি বাই চার ইঞ্চি। তাঁর ছবিটি সেদিন তোলা হয়।








