শিল্পী আহম্মেদ শামসুদ্দোহার জন্ম ১৯৫৮ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট ( বর্তমান চারুকলা অনুষদ) থেকে স্নাতক ১৯৮০ সালে। তারপর ফ্রিল্যান্স আর্টিষ্ট।
শিল্পী আহম্মেদ শামসুদ্দোহা
ক্যানভাস
সেই সময়ে এই দেশে ফ্রিল্যান্স আর্টিষ্ট অনিশ্চিত এক জীবন। সেই পথেই তিনি হেটেছেন এবং সফল হয়েছেন। আত্মপ্রতিকৃতি বা প্রাকৃতিকদৃশ্য তাঁর ক্যানভাসে বাস্তব হয়ে ধরা দেয়। বিশেষ করে মানুষের প্রতিকৃতি ছবির চেয়েও অতি বাস্তব রূপে ফুটিয়ে তোলার দক্ষ শিল্পী তিনি।
তাঁর ছবি সংরক্ষিত আছে জাতীয় চিত্রশালা, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর-ঢাকা, ওসমানি জাদুঘর-সিলেট, ইবসেন’স জাদুঘর-নরওয়ে, আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষ-প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়-ঢাকা, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা ও করতোয়া, পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়, প্রেস ইনস্টিটিউট, বাংলা একাডেমি, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট, বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট, কেন্দ্রিয় কারাগার এবং বিভিন্ন এম্বেসি, হাইকমিশন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিবর্গ।
শামসুদ্দোহার সঙ্গে ১৯৯৮ সালে দেখা করি তাঁর বাসায় গিয়ে। তিনি একজন রিয়াল ফ্রিল্যান্স শিল্পী। ছবি আঁকায় ব্যস্ত ছিলেন। গল্প হয়েছিল এই দেশে ফ্রিল্যান্স শিল্পীজীবন নিয়ে। আনন্দের বিষয় হলো তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে নিজের একটি জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। একটু কিছু এঁকে দিতে বললে প্যাস্টেলে একটি গ্রামের দৃশ্য এঁকে দেন।

facebook থেকে নেয়া :
শিল্পী আহম্মেদ শামসুদ্দোহা সম্পকের্ মন্তব্য করেন শিল্পী Nasreen Begum
দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন আর্টক্যাম্পে অংশগ্রহণের কারণে দোহাকে খুব কাছে থেকে দেখে আমার অবলোকন।—দোহা খুবই সহজ ও অত্যন্ত দক্ষ শিল্পী। জীবন যাপনে প্রতিটি ব্যাপারেই খুবই সুক্ষ ও তিক্ষ্ণ রুচিসম্পন্ন একজন মানুষ। শিল্পী হিসেবে এতো নিখুঁত ও অনূভুতি সম্পন্ন প্রতিকৃতি আঁকে যা আর কারও সাথে তুলনা করা অসম্ভব। শুভকামনা রইলো Doha।![]()
আরও পড়ুন
Bespoke লাইফস্টাইল 𖥧 তোমার রুচি, তোমার নিয়ম
রঙের গল্প: পরিচিত রঙগুলোর অজানা নাম
বাংলাদেশের লোকশিল্প ও কারুশিল্প: এক নজরে
লালনের ছেউড়িয়া থেকে গ্রামবাংলার মেলা—বাংলাদেশের একতারা শিল্প
পাটশিল্পের পুনর্জাগরণ: গ্রামীণ কারুশিল্প থেকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং
লেখা এবং চিত্র : মোহাম্মদ আসাদ






