তিনি ১৯৯২ সালে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় কার্টুন আঁকার মধ্যে দিয়ে পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। দুই বছর বিচ্ছিন্ন ভাবে কার্টুন আঁকলেও ১৯৯৪ সাল থেকে নিয়মিত কার্টুন আঁকা শুরু করেন।
শিল্পী বিপুল শাহ ‘র জন্ম ১৯৬৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর, নেত্রকোনা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ) থেকে স্নাতক ১৯৮৯ সালে। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেন ১৯৯২ সালে। তাঁদের সময়ে এতই সেশনজট ছিল রেজাল্ট হয়েছে ১৯৯৯ সালে।
শিল্পী বিপুল শাহ
কর্মজীবন
তিনি ১৯৯২ সালে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় কার্টুন আঁকার মধ্যে দিয়ে পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। দুই বছর বিচ্ছিন্ন ভাবে কার্টুন আঁকলেও ১৯৯৪ সাল থেকে নিয়মিত কার্টুন আঁকা শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে প্রথম আলো’র শুরু থেকে এক কলামে কার্টুন আঁকা শুরু করেন। ২০১৮ সাল থেকে কার্টুন আঁকছেন দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায়। তিনি একজন স্বাধীন শিল্পী।
ক্যানভাস
পেশাদার শিল্পী বলতে যেটা বোঝায়। নিয়মিত ছবি এঁকে চলেছেন। (কার্টুন আঁকা তাঁর প্রতিদিনের ক্ষণকালীন কাজ)। ‘ছবির হাট’ শিল্প আন্দোলন, নেত্রকোনায় মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রচলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।
ফটো জার্নালিস্ট মোহাম্মদ আসাদ এর ডায়েরি থেকে
৯৭-৯৮ সালে বিপুল শাহ‘র সঙ্গে পরিচয়। তখন নিয়মিতই চারুকলায় আসতেন। অন্যান্য জুনিয়রের মত আমিও তাঁর পিছনে আঠার মত লেগে থাকতাম। ছবির হাট হওয়ার পর সেই মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। আমি সব সময় তাঁর ছবিই তুলতাম। অনেকেই আমাকে ব্যাঙ্গ করে ডাকত বিপুলদার ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার বলে। জীবনের তাগিদে ছন্দপতন হলেও সেই আত্মিক যোগাযোগটা এখনও আছে। সাংবাদিক গিয়াস আহমেদ বিপুল শাহ‘র এই ড্রইংটি দিয়েছিলেন। তিনি বন্ধু সভার বিভাগীয় সম্পাদক থাকতে এই কাজটি প্রথম আলোতে ছাপা হয়। তবে বিপুলদা আমাকে একটি ছবি দেয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। শর্ত ছিল সেটা তাঁর বাসায় গিয়ে আনতে হবে। সেটা আর আনা হয়ে ওঠেনি।